বাবার অসুস্থতার কথা শুনলে কুঁকড়ে যায় ভিতরে ভিতরে। এক অজানা ভয় ভীষণভাবে বুকের চারপাশে দৌড়াদৌড়ি করে। পেশা সাংবাদিকতা হলেও এখনো নিজের অবস্থান মুজবুত হয়নি বিধায়। শ্রমে-ঘামে, রাত জেগে পরিশ্রম করার পরেও মাস শেষে বেতন না পেয়ে হতাশ হয়ে বাসায় ফিরে। বাতি বন্ধ করে গাঢ় অন্ধকারে বিড় বিড় করে বোকে যায় । কিছুই হলো না তাঁর । ২০০৮ সালে ঢাকায় আসার পর থেকে শহরের মানুষদের বিবিধ চিন্তার সাথে মানিয়ে নিতে কত না চোখের জল, অপমান, খিস্তি খেউর সহ্য করে দু’পায়ের দশটি আঙ্গুল সচল রেখেই চলেছে। বুক ভরা বেঁচে থাকার নিঃশ্বাস, মননজুড়ে ক্রিয়েটিভ চিন্তার ভাঁজে ভাঁজে হালের এসময়ে এসে ফিরে তাকালো ঢাকার জীবন। অথচ কি চেয়েছিল সে, কি ভেবে ছিলো। সাধারণ মানুষের মত বাঁচার স্বপ্ন ! না কি একটু ভিন্নভাবে বাঁচার ! না কি আপোস করে নিজেকে বিকিয়ে দিয়ে বাঁচার ! ঠিক তার হিসেব মিলাতে পারে না। বাবার অসুস্থতা, মা’র দুচোখ জুড়ে স্বপ্ন খেলা করে ছেলে পড়ালেখা করেছে, করবে চাকুরি, পেটভরে গিলবে স্বাস্থ্যকর খাবার। এখনো পলাশের পেট চলে পিতার দুই রতের ওপর। বিয়ের বয়সও যায় চলে, জীবনের আটাশটি বসন্ত কোন কাম ছাড়া ঘাম ছাড়া প্রেম ছাড়া কিভাবে পার করলো সে ! বড় বিস্ময় জাগে পলাশের কাছে। এ শহরের অলিতে-গলিতে পলাশরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে যাদের জীবনের অর্থ খুঁজতে-খুঁজতে পৃথিবীর কিছুই দেখা হলো না...
২৪.০৯.২০১৮, ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০০