যখন নাগরিক যন্ত্রণায় একের পর এক ভুলণ্ঠিত হতে থাকে হৃদয়জাত স্বপ্নগুলো। তখন ভাবি কারা আমার চেয়ে অধিকতর যন্ত্রণায় কাতর। খোঁজতে থাকি তাদের। ফুটপাতে প্রতিটি পায়ের চাপ পেলে যখন হাঁটি আর ভাবি নগরে আমি তো একা নই, যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যাওয়ার মানুষ তো দেখতে পাই। তখন সাহস পাই, ঘুরে দাঁড়াই। ভেঙ্গে পড়ার মুহূর্তে নিজের সাথে বহুরকমের বোঝাপোড়ার মধ্যদিয়ে একটা জায়গায় নিজেকে দাঁড় করাই। সুখ টোকাই কোথায় আছে সুখের পোয়ারা। বেদনা বয়ে বেড়াতে বেড়াতে ক্লান্ত হলেও বেদনাকেও খোঁজি । তখন খুলে যায় মগজের সমস্ত দরজা। দেখতে পাই আমার চেয়েও বেদনার ভার বহন করছে এমন লোক তো এ শহরেই বেশি। ফলে হালকা লাগে বেশ হালকা লাগে, মন একধরনের বুঝ পেয়ে যায় যে আশপাশের মানুষের চেয়ে সে মুটোমুটি ভালোই আছে। লড়াই করে যাওয়ার শক্তি আছে তাঁর। একথা গুলো বলার নিশ্চয় কোন কারণ আছে। গতকাল রাত থেকে বিভিন্ন পত্রিকা পড়ছি , এশিয়া কাপের ১৪ তম আসরের পাকিস্তানকে ৩৭ রানে হরিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ। টাইগার বাহিনীর ছড়িয়ে দেওয়া আনন্দে বুঁদ হয়ে আছে পুরো দেশ। এসব আনন্দে গা ভাসিয়ে বেশ তো আছি আমি-আমরা। মন ভালো করার জন্য এর চেয়ে মুধরতম আনন্দ আর কি হতে পারে। বলছি, পড়ছিলাম বিভিন্ন পত্রিকা, তখনই খোঁজে পেয়ে যাই, এক লড়াকু বীরের। যারা এ লেখা পড়ছেন তারা নিশ্চয় বুঝে ফেললেন আমি কার কথা বলছি, হ্যাঁ মাশরাফি । যার নাম উচ্চারণ করলেই বিদ্যুতের মত সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ‘সাহস শব্দটি। সেই মাশরাফি আমার সাহসের উৎস। খেলার মাঠে এক মুগ্ধমন্ত্রের নাম মাশরাফি, আমাদের ভালোবাসার মাশরাফি। এবং কেন যেন মনেহয় আগামীকাল ভারতকে হারিয়ে এবারের এশিয়া কাপের শিরোপা আমরাই ঘরে তুলবো। জীবন যখনই থেমে যাবে, আমি পাঠ করব মাশরাফিকে। কারণ এ নামের ভিতর লুকিয়ে আছে ‘সাহস’। যে দেশে মাশরাফির মত মানুষ জন্মেছে সেই দেশে জীবনের প্রতিটি অনাকাঙ্খিত ঝড়ে আমি কোনদিন কাবু হব না। চোটের (পড়ুন বেদনা) সাথে যার নিত্য বসবাস সে জানে কিভাবে জয় ঘরে তুলতে হয়। কিভাবে জীবনের প্রতিটি দুঃখ জয় করতে হয়। কিভাবে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত রাঙিয়ে দিতে হয়। শুভ কামনা সাহসের অপর নাম মাশরাফির জন্য। শুভ কামনা সকল টাইগারদের জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০