নি:শব্দ রাতের গভীরে, জ্বরের ঘোরে-
তোমার পায়ের আওয়াজ শুনতে পাই-
শুকনো পাতার পরে!
কন্ঠনালী চেপে গিয়েছে,নির্বাক হয়েছি,
অন্তরের ভাষা অশ্রু হয়ে চোখের কোনায় জমেছে!
পাজর ভেঙ্গে যাবে, তবু শব্দ বেড় হবে না!
তোমার অপূর্ব শরীরের ছায়া পড়েছে আমার ঘরের-
পুরনো ইটের খসখসে দেয়ালে,
মুচকি হেসে মুখ ধরেছ-
যেন আমার নিসঙ্গতা তোমার ভালো লাগে।
আমি পারছিনা দাড়াতে -
পারছিনা তোমায় ধরতে,
পাথরের মত পরে আছি;
তোমার হাতের ঠান্ডা স্পর্শ এই ক্রান্তিলগ্নে খুব প্রয়োজন।
ছাদের আস্তরণ ফেটে গেছে,
শ্রান্ত দেহে চুনের গুড়ো পড়ে হয়েছে সাদা আবরণ,
তোমার হাতে সাজানো ফুলের টবের পানি শুকিয়ে গাছ গুলো প্রাণহীন।
তোমার পরনের রঙিন শাড়িগুলো-
কালী পরে রং মুছে গেছে!
জানালার ধারে পাখিরা বসে না।
অদূরে কেবল কিছু কাক কা কা করে।
জানালার পাশে বট বৃক্ষ বুড়ো থেকে আরো বুড়ো হয়েছে,
রাতে চাদের আলো ঢুকে না,
তারা গুলো ঝিকমিক করে না,
শুধু ঝোনাকির দল মৃদু আলো দিয়ে যায়।
রাগিনী,
তোমার অপেক্ষাতেই থাকি,
জ্বরের ঘোরে কেবল তোমার পায়ের আওয়াজ শুনি,
তোমার ছায়া দেখি;
রাগিনী,
এত কাছে এসেও কেন চলে যাও....!?
এবার আমায় ছুয়ে যাও,
জ্বরের ঘোরে গান গেয়ে ঘুম পাড়িয়ে দাও।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭