বিয়ের অনেকদিন পর বাচ্চা হয়না দেখে স্বামী-স্ত্রী মিলে ডাক্তার দেখালে ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা করে দেখলো স্ত্রী সন্তান ধারনে সক্ষম কিন্তু স্বামী সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম । পরে তারা দুইজন মিলে সিদ্ধান্ত নিলো ওই স্ত্রী তার দেবর অর্থাৎ স্বামীর আপন ছোট ভাইয়ের সাথে শারীরিক মিলন করে সে সন্তান ধারন করবে , অন্য কেউ জানবে না। যেই ভাবা সেই কাজ । দেবর ভাবির মিলন হলো নির্দিষ্ট সময় পর বাচ্চা হলো । বাচ্চা একটু বড় হবার পর সেই দেবর সন্তানের পিতৃত্বের দাবি করে বসলো । সেই দম্পত্তি পড়লো মহা ফ্যাসাদে ।
(এটা কোন রুপকথা না , সত্য ঘটনা । যা একটি পত্রিকায় চিঠি লিখে আইনি পরামর্শ চাওয়া হয়েছিলো)
ফিরে যেতে চাই ৪৪ বছর পিছনে । সেই ১৯৭১ এ সেই রক্তমাখা ৯ মাস , যার সাথে জড়িয়ে আছে ৩০ লাখ মানুষের জীবন আর ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম(যদিও পরাজিত শক্তি এমনকি স্বপক্ষের অনেকেই বলে থাকেন তা নাকি মাত্র ৩ লাখ।)
আগে পরে অনেক বিতর্ক থাকলেও এটা ঐতিহাসিকভাবেই প্রতিষ্ঠিত সত্য যে সেই মহান যুদ্ধের মধ্য দিয়েই আমরা পেয়েছি আমাদের এই ৫৭ হায়ার বর্গমাইলের বাংলাদেশ। অনেকেই বিতর্কের খাতিরে বলে বঙ্গবন্ধু নাকি স্বাধীনতা চাননি , চেয়েছিলেন পাকিস্থানের শাসনক্ষমতা । আবার এটাও প্রমান করার চেষ্টা করে ৭ মার্চ উনি নাকি জিয়ে পাকিস্তান বলেছিলেন । এসবই পরাজিত শক্তির হাতিয়ার । তারা সেই একাত্তর পরবর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত বলে যাচ্ছে । তাতে লাভ হয়নি আশা করা যায় হবেও না ।
এই পরাজিত শক্তির আর একটি অন্যতম অপপ্রচার হলো – একাত্তরে আমাদের যুদ্ধে ভারত অনেক সাহায্য , তারা নিজের স্বার্থে পাকিস্তানকে আলাদা করার জন্য আমাদের সাহায্য করেছে । এটাও বলে থাকে পাকিস্তান বিভক্তিকরন নাকি র এর প্রথম প্রজেক্ট , যেটায় তারা সফল ।
আরে বোকার দল ভারতের কি স্বার্থ বা র এর কি স্বার্থ তা তো আমার দেখার বিষয় না । শুরুতে যে গল্প বলেছিলাম , সেখানে ওই দম্পতির দরকার ছিল সন্তান । আর সেটা দিতে গিয়ে ওই দেবর যেমন তার ভাবির সাথে দৈহিক মেলামেশার অবাধ সুযোগ না চাইতেই পেয়েছে । তেমনি আমাদের দরকার ছিলো স্বাধীনতা । হয়ত ভারতের দরকার ছিলো পাকিস্তান আলাদা করা । যখন ভারত বাংলাদেশের চাওয়া এক হয়েছে তখন একে ওপরকে সাহায্য করেছে ----- এতে দোষের কিছু আপাতত দেখিনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭