Coronary artery তে যখন প্লাক জমতে থাকে তখন হার্ট এটাক ঘটে। ধমনিতে রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে এমন টি ঘটে। হার্ট এটাক ঘটলে ঐ নির্দিষ্ট tissue নির্জীব হয়ে পড়ে যথাযথ রক্ত প্রবাহের অভাবে। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি বুকে প্রচন্ড কষ্ট অনুভব করেন। যদি সময়মতো কোন medical person পাওয়া না যায় তবে ঐ tissue নির্জীব হয়ে পড়াটা খুব মারাত্বক হতে পারে। তবে কোন কোন সময় হার্ট এটাক পূর্ব জানান দিয়ে আসতে পারে। চিহ্ন গুলি চিনে রাখুন।
অতিরিক্ত ক্লান্তি
যখন coronary artery খুব সংকীর্ণ হতে থাকে তখন হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ বাধা পেতে থাকে। ফলে heart এর muscle গুলিকে রক্ত সরবরাহের জন্য বেশি কষ্ট করতে হয় স্বাভাবিকের চেয়ে। এজন্য অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ হতে থাকে।
শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হওয়া। হৃদপিণ্ডে যখন কম রক্ত প্রবাহিত হয় তখন ফুসফুসে অক্সিজেন কম বাহিত হয়। ফলে শ্বাস কষ্ট হয়। cardiovascular এবং respiratory system সম্পূর্ণ একে অন্যের উপর নির্ভর করে। তাই এদের কোন সমস্যা হলে সতর্ক হওয়া উচিৎ।
দুর্বল লাগা। হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ কমে গেলে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হয় ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে খুব দুর্বল লাগতে পারে। মাসলগুলিতে যথাযথ ভাবে রক্ত প্রবাহিত না হওয়ার কারনে এমন হয়।
মাথা ঘোরা সেই সাথে শরীর ঘেমে ঠান্ডা হওয়া খুব খারাপ লক্ষণ। poor cardiac circulation মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহে বাধা দেয়। হঠাত করে বসা বা শোয়া অবস্থা থেকে উঠার সময় এমনটি হতে পারে।
বুকে কষ্ট হওয়া। heart muscle এ অক্সিজেন suuply কম হওয়ার কারনে এমন হয়। সত্যিকারের হার্ট এটাক হওয়ার আগে এমন ব্যথা থাকতে পারে।
প্রিয়জনের জীবনের মুল্য তার নিকটজনেরাই বুঝতে পারে। অনেক সময় নারীদের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলি খুব সুক্ষ্ণ থাকে, ঠিক ভাবে ধরা যায় না। তাই নিয়মিত ডাক্তারের চেক আপে থাকা উচিৎ। পরিবারে কারো হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে এবং শরীরে অস্বাভাবিক কিছু ঠেকলে সাবধান হওয়া উচিৎ। অনেকেই এই উপসর্গগুলিকে দুঃশ্চিন্তার কারনে হয় বলে মনে করেন ও আমল করেন না যেটা একেবারেই উপেক্ষা করা উচিৎ না। যদি এর কোনটি বা একাধিক উপসর্গ পূর্বে দেখা দেয় তবে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। অতি জরুরীভাবে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। কারন হার্ট এটাক হয়ে গেলে কাউকে বিন্দুমাত্র সময় বা সুযোগ দেয় না।
হার্ট অ্যাটাকের কিছু সাধারণ লক্ষণঃ
— সব হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক অবস্থায় সবার ক্ষেত্রে বাম হাতে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
— প্রাথমিক অবস্থায় সবার ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের সময় বুকে ব্যাথা শুরু হবে এমন নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাবস্থায় চোয়ালে তীব্র যন্ত্রণা হলে সাবধান হতে হবে।
— বমি বমি ভাব ও বমি হওয়াসহ অসম্ভব পরিমাণে ঘাম হওয়া অন্য আনুষঙ্গিক লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ খুবই লক্ষ্য করা যায়।
— শতকরা ১০ জন মানুষের গভীর ঘুমাচ্ছন্ন অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক মারাত্মক হয়। আর সে ঘুম ভাঙে না।
— তবে এমন অবস্থাতেও চোয়ালের তীব্র যন্ত্রণা ঘুমের আচ্ছন্নতা থেকে জেগে উঠতে সাহায্য করে।
ওই সব যাবতীয় বিষয়ে আমাদের যথেষ্ট জানা দরকার এবং সদা সতর্ক হওয়া দরকার। হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ বিষয়ে যত বেশি জানা সম্ভব হবে ততই অগ্রিম সতর্ক হওয়া যাবে আর হার্ট অ্যাটাকের ভয়ঙ্কর পরিণতি যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণে রেখে সুচিকিত্সার সুযোগ সম্ভব হবে। তবে নিজে নিজে কর্তব্য স্থির করতে গিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হওয়া বা অন্যদের উদ্বিগ্নে ফেলা অনুচিত। যত শিগগিরই সম্ভব চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
মুজিব বকস
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬