সরকারের দেওয়া কঠোর লকডাউন কেউ মানুক আর না মানুক, আমি পুরো দমে মানছি। গত ১৪ এপ্রিল থেকে ঘর খেকে একবারের জন্য বাহিরে যায়নি শুধু মাত্র পুকুর ঘাটে গোসল করতে যাওয়া ছাড়া।
ছবি আমার তোলা
গত মাসে আমার সখের বাসাটা ছেড়ে দিয়েছি। এবার বাসা নিয়েছি একেবারে গ্রামে শহর থেকে আমার বাসা ৩৭ কিঃমিঃ দূরে। বাসা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যুদ্ধ করেছি, অনেক যুদ্ধ। নিজের সাথে যুদ্ধ। কারন আমার জন্ম এই শহরে। বেড়ে উঠা, চিন্তার রসদ যোগার করা, বন্ধুরা সবাইতো শহরে। আমি কি করে গ্রামে থাকবো? এসব ভাবতে ভাবতেই গ্রামে বাসা নিয়ে নিয়েছি। এখন গ্রামেই থাকি। যন্ত্রের শহরে সবকিছুই যন্ত্রের, এমন কি মানুষ, পাখি , পোকামাকর সব। শান্তি প্রিয় মানুষগুলো এসব থেকে মুক্তির জন্য হয়তবা গ্রামে চলে যায়। গ্রামে আসার পর এটাই অনুভব করছি। গ্রমে সবকিছুর একটা গন্ধ আছে – মানুষের, গাছের, পাতার, পাখির, রাস্তার , পুকুরের, আর ফসলের।
শহরে থাকা কালে মাথা নানা চিন্তায় ভরপুর থাকতো, এখানে মাথায় অতো চিন্তা কাজ করে না। তার অবশ্য কিছু কারন আছে, প্রথম করন হলো, আমি এখন জীবন নিয়ে জটিল চিন্তা করিনা। জীবন জীবনের মতোই সহজ সরল। শুধু আমরাই তাকে জটিল করে ফেলি।
আমি একজন সুখী মানুষ। বর্তমানে আমি মানুষের জীবন আর দুঃখের কারন নিয়ে কাজ করছি। এ কাজ করতে গিয়ে কয়েকটা নতুন জিনিস শিখলাম, যা জীবনকে সুখী করতে কিছুটা কাজ করে।
১) কর্মের বাহিরে আশা করি না। অর্থাৎ যতটুকু কাজ কাজ করি প্রাপ্তির আশাও ঠিক ততটুকু।
২) প্রথম দেখায়, নিজের বুদ্ধি দিয়ে কাউকে পরিমাপ করার চেষ্টা করি না।
৩) অন্যের ভালো কিংবা খারাপ কথায় নিজেকে প্রভাবিত করি না।
আপাতত এই তিনটি চেষ্টা করছি ভালোই ফলাফল পাচ্ছি।
কৃষি কাজ করার জন্য একজনের সাথে যৌথভাবে একটা জমি নিয়েছি দুবছরের জন্য। এবার নিজের খাদ্য নিজেই উৎপাদন করবো। মন থেকে আনন্দে আছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০২১ ভোর ৪:২৫