somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কিশোর মাইনু
মোহাম্মদ মইন উদ্দীন। ডাক নাম মাঈনু। কিছু কিছু ফ্রেন্ডের কাছে কিশোর। বাড়ি চট্রগ্রাম। পড়ালেখার কারণে ঢাকায় থাকি। কৌতুহল একটু বেশী, হয়তো বাড়াবাড়ি ধরনের ই বেশী। দূঃসাহসী, কিন্তু সাহসী কিনা এখনো জানতে পারিনি।

রথচাইল্ড ফ্যামিলি(১)

২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
দুনিয়ার একমাত্র Trillionaire ফ্যামিলি।


পুঁজিবাদী বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবান এই পরিবারের সদস্যদের সম্মানার্থে এখন পর্যন্ত ১৫৩টি পতঙ্গের, ৫৮টি পাখির, ১৮টি স্তন্যপায়ীর, ১৪টি উদ্ভিদ, ৩টি মাছ, ৩টি spider এবং ২টি সরীসৃপের বৈজ্ঞানিক নামকরণ করা হয়েছে।
যেমন Ornithoptera Rothschildi (প্রজাপতি) Camelopardalis Rothschildi (জিরাফ) etc
ইহুদী ফ্যামিলি’টির সদস্যদের নামে ইসরাইলের অসংখ্য রাস্তাঘাট ও বেশ কিছু স্থানের নামকরণ করা হয়েছে।
এমন কী এন্টারটিকায় Rothschild island নামে একটা দ্বীপ পর্যন্ত আছে।
২০০ বছর ধরে পুঁজিবাদী দুনিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাধর পরিবার Rothschild যাদের’কে বলা হয় Red Shield তাদের logo
During the 19th century, the Rothschild family is believed to have possessed by far the largest private fortune in the world as well as by far the largest fortune in modern world history.
তাহলে কেন আমরা তাদের চিনি না??
নামও তো মনে হয় আজ প্রথম শুনছি!! নাকি?
আসলে আমরা তাদের চিনি। তবে একটু ভিন্ন নামে। সে সম্পর্কে নিচে বলছি।
গত ২০০ বছরের পৃথিবীর ইতিহাসে ঘটা প্রায় সব কিছুতেই ছিল তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হাত।
আজকের এই পুঁজিবাদী অর্থনীতি তাদেরই হাতে গড়া।
উইনস্টন চার্চিল একবার বলেছিলেন,
"The further backward you look, the further forward you can see."
সেহেতু আসুন। একটু পেছন থেকে দেখা যাক, কীভাবে একটি পরিবার step by step দুনিয়ার মোড়লে পরিণত হয়েছিল।
শুরু করা যাক, Mayer Amschel Rothschild (1744 – 1812) নামের এই জার্মান ভদ্রলোক’কে দিয়ে, যাকে বলা হয়, "Founding father of international finance,"
M.A Rothschild was ranked seventh On the Forbes magazine list of “The 20 Most Influential Businessmen of All Time"
তিনি Rothschild banking dynasty-এর Founding Father.
Which is believed to have become the wealthiest family in human history.
টাকা পয়সার কারবারের সাথে পরিচয় ঘটেছিল তার পারিবারিক সুত্রে। তার বাবা ছিলো goods-trading and currency exchange-এর ব্যবসা।
পৈত্রিক ব্যবসার হাল ধরেন M.A Rothschild, 1757 সালের দিকে।
French Revolution (১৭৮৯-১৭৯৯)-এর ফায়দালুটে- সে তার banking ব্যবসাকে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বানায়।
French বিপ্লবের সময় ব্রিটিশ সরকার Rothschild (Red Shield)-কে বিপুল অংকের টাকা দিতে থাকে।
উদ্দেশ্য, অর্থের বিনিময়ে ভাড়াটে জার্মান যোদ্ধা (mercenaries) বা গুন্ডামাস্তানদের ফ্রান্সে পাঠানো।
ফ্রেন্স বিল্পবীদের সামরিকভাবে সাহায্য করার জন্য!!
তো Red shield টাকা মারতে শুরু করে।
ধরেন, ১০ টাকা দিলে ৩ টাকা ব্যয় করতো। বাকি ৭ টাকা নিজেদের পকেটে ভরতো।
ব্যাংকিং-এর সাথেসাথে বিবিধ ব্যবসা বানিজ্যের ডালপালা খুলতে শুরু করে Red shield.
১০ ছেলেমেয়ে ছিল M.A Rothschild-এর।


এদের ভেতর সবচেয়ে ধূর্ত আর আলোচিত Nathan Mayer Rothschild (1777 – 1836)-কে £20,000 মূলধন দিয়ে জার্মানি
থেকে ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়, textile importing ব্যবসা চালু করার জন্য।
(£20,000, আজকের ১৮ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড বা বাংলাদেশের ২১ কোটি টাকার সমান)
Nathan Mayer-এর শরীরে চিরায়ত ইহুদী ব্যবসায়ী রক্ত।
ব্যবসায় সাফল্য পেতে তেমন সময় লাগে নি তার।
১৮০৪ সালে নিজেই লন্ডনে একটা ব্যাংক খুলে বসে সে।
সে হয়ে যায় ব্রিটিশ নাগরিক। শুরু করে Rothschild banking family of England
একইভাবে,
ছোটছেলে Jakob Mayer Rothschild, (1792 -1868)-কে পাঠানো হয় প্যারিসে, ১৮১১ সালে।
সেখানে সে Rothschild-এর French branch খোলে। হয়ে যায় ফ্রান্সের নাগরিক।
১৮১২, বাবা M.A Rothschild মারা গেলে
জার্মান branch এর দায়িত্ব নেন মেঝ ছেলে A.M Rothschild (1773 – 1855)
পরবর্তীতে, আরেক ছেলে Salomon Mayer Rothschild (1774 – 1855)
১৮২০ সালে অস্ট্রিয়ায়
আর আরেক ছেলে Carl Mayer Rothschild (1788 – 1855)
১৮২১ সালে ইতালিতে Rothschild house খোলেন।
Rothschild বা Red shield এভাবে multinational হয়ে যায়।
পাঁচ ভাই শুধু পাঁচটা দেশের ব্যবসায়ী শুধু নয়, সেই দেশের নাগরিকও বটে।
অর্থাৎ Red Shield হয়ে যায় Multinational Family
এ তো গেল বিস্তৃতির সময়কাল। এবার Red shield এর মহীরুহ হয়ে ওঠার ঘটনায় আসি।
ফ্রেন্স বিপ্লবের ফলসরূপ ফ্রান্সের ক্ষমতায় আসেন Napoleon Bonaparte
১৮০৪ সালে।
এরপর থেকে ১৮১৫ সাল পর্যন্ত,
একটার পর একটা যুদ্ধ লেগেই থাকে গোটা ইউরোপ জুড়ে।
আর অদ্ভুত ব্যাপার হল,
এসব যুদ্ধ’কে একরকম জুয়াখেলার মত use করে Red shield, তাদের নিজেদের ভাগ্য বিনির্মাণে !
কীভাবে???
কিছু উদাহরণ দেয়া যাক।
১৮০৯ সালে বাধে ফ্রান্স আর অস্ট্রিয়ার যুদ্ধ।
এ যুদ্ধের আগে M.A Rothschild অস্ট্রিয়াকে 6,20,000 gulden দিয়েছিলো
(Gulden হল German and Dutch term for gold coin)
মাত্র একদিন পরেই
তার ছেলে A.M Rothschild ফ্রেন্স আর্মিকে 2,50,000 gulden দিলো।
বাংলা কথা হল, তারা technically both side কে আর্থিকভাবে সাপোর্ট দিল।
এতে করে, দিনশেষে যে দেশ যুদ্ধে জিতে যেত,
সে দেশ Rothschild এর প্রতি অনুগত হয়ে পড়ত।
তাকে business সুযোগ সুবিধা দিত।
আর যে দেশ হেরে যেত,
সে দেশ পড়ত Rothschild এর দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ খপ্পরে।
কিন্তু এটা তো ভাল করেই বুঝতে পারছেন, পরাজিত শক্তির পক্ষে তাদের দেশ
টিকিয়ে রাখায় হয়ে যায় মসিবত। Rothschild এর ঋণ শোধ করবে কীভাবে??
ফল সরুপ, সমগ্র দেশটি Rothschild এর কাছে
Economically দীর্ঘ মেয়াদী ফাঁদে আটকে যেত।
রথ চাইল্ড তখন একরকম নিজে নিজে দেশটিকে টেনে তুলতো। নিজেদের মনের মত করে।
তখন ইউরোপে যুদ্ধ লেগেই থাকতো। ইউরোপের সবগুলো দেশেই তখন budget deficit ছিলো।
যার কারণে সবদেশেই লোণের দরকার পড়ত।
Rothschild bank তখন কাজ করত একালের বিশ্বব্যাংকের মত।
1806 সালের দিকে ইউরোপের প্রায় সবগুলো দেশের বাজেট করা হয়েছিল সম্ভাব্য
যুদ্ধের কথা মাথায় নিয়ে। এসময় Rothschild একাই Russia, Austria,
France আর Spain কে লোন দিয়েছে।Continue

সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×