১/ আন্তর্জাতিক একটি সেমিনারে ৫০ জনের একটা গ্রুপ উপস্থিত ছিল। বক্তা হঠাৎ তার বক্তৃতা থামিয়ে সবাইকে একটা করে বেলুন এবং মার্কার দিয়ে নিজ নিজ বেলুনের উপর নাম লিখতে বললেন। এরপর সবাইকে বললেন, বেলুনগুলো স্টেজের সামনের মেঝেতে এনে রাখতে। ৫০টা বেলুন একসাথে রইলো।
বক্তা সবাইকে বললেন-“৩ মিনিট সময় দিলাম, যে যার নিজের বেলুনটা খুঁজে বের করুন ।” সঙ্গে সঙ্গে হুড়াহুড়ি লেগে গেল ৩ মিনিট সময়ের বধ্যে কেউই তার নিজের বেলুনটা খুঁজে পেলেন না।
এবার বক্তা সবাইকে থামিয়ে দিয়ে বললেন- “আপনারা এবার ইচ্ছেমতো বেলুন হাতে নেন। সেখানে যার নাম লেখা থাকবে তার নাম ডেকে,তাকে দিয়ে দেন ।” অবাক ব্যাপার হল- কয়েক মিনিটের মধ্যে যার যার বেলুন সে সে পেয়ে গেল।
বক্তা এবার বলা শুরু করলেন-“ঠিক এই ব্যাপারটিই আমাদের জীবনে ঘটে যাচ্ছে। আমরা প্রত্যেকেই চারপাশে নিজের সুখ খুঁজে বেড়াচ্ছি, কিন্তু ঠিক কোথায় সুখ,তা কেউই জানিনা! আমাদের সুখ আসলে নিহিত আছে অন্যের সুখের মধ্যে। অন্যদেরকে তাদের সুখ দিয়ে দিন, আপনি আপনার নিজের সুখ ঠিক খুঁজে পেয়ে যাবেন ।”
২/ একটি তামিল মুভি দেখেছিলাম, নাম ছিল Bheesma. মুভির একটি সিন আছে এরকম, যেখানে ভীষ্ম প্রসাদ (নিথিন) অফিসে প্রতিটি কর্মচারীকে একটি বেলুন এবং একটি পিন দেন এবং ঘোষণা করেন যে এক মিনিটের কাউন্টডাউনের পরে যার বেলুন অক্ষত থাকবে তার বেতন বৃদ্ধি পাবে। কাউন্টডাউন শুরু হল। এবং কর্মচারীরা সবাই নিজের বেলুন রক্ষার পাশাপাশি বাকীদের বেলুন কে ফোটানর কাজে লেগে পড়ল। কাউন্টডাউন শেষ হতে হতে সবার বেলুন ই টাস টাস। এবার ভিস্মা বলল, "আমি বলেছি যার বেলুন অক্ষত থাকবে তার ই বেতন বাড়বে, যদি সবার বেলুন ই অক্ষত থাকত, তাহলে সবার ই বেতন বাড়ত। শুরুতেই একজন আরেকজনের সাথে প্রতিযোগীতার চিন্তা না করে যদি সহযোগীতার চিন্তা করতেন তাহলে সবার ই বেতন বাড়ত। কিন্তু এখন কারো ই বাড়বে না।"
এগুলো আসলে একধরণের সাইকোলজিক্যাল মাইন্ড ইফেক্ট। কিন্তু এই ধরণের মনোভাবগুলো আমাদের ছোটবেলা থেকেই তৈরী হয় পরিবার-পরিবেশের কারণে। কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে এইধরনের চিন্তাধারা পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজনীয় নয়???