গত পরশু রাতে বিশিষ্ট অন লাইন Independent TV ইর এক টক শোতে উপস্থাপিকার এক প্রশ্নের জবাবে বিশিষ্ট অন লাইন Activist অনন্য আজাদ বলেন- মুক্তচিন্তা করতে হলে তাকে নাস্তিক হতে হবে। এটা শুনে অনেকক্ষণ নির্বাক হয়ে ছিলাম। তখন বারবার শুধু মাথায় ঘুরতে লাগল- তাহলে ঈদ, পুজা, কিম্বা যীশু এর জন্মদিনের দিন- জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ঈদ মুবারাক, শারদীয় পুজার শুভেচ্ছা কিম্বা মারী খ্রিস্মাস লেখায় ফেছবুক কিম্বা মোবাইলে মেসেজে যে ভোঁরে যায়-,এটা তাহলে কোন চিন্তার ফল।
আমার জ্ঞান খুব কম তবে অন্তত এতটুকু জানি বাংলা ধর্ম মানে হচ্ছে ধারন করা। সেই ক্ষেত্রে আস্তিক মানে হচ্ছে হ্যাঁ-ঈশ্বরে ধর্মে বিশ্বাসী তেমনি নাস্তিকেরা না-ঈশ্বর ধর্মে বিশ্বাসী। এই ক্ষেত্রে দুই দলই দুই বিপরীত ধর্মী বিশ্বাসকে ধারন করে। সেই অর্থে কেউই ধর্মের বাইরে নয়।
( আমার এই ব্যাখ্যা হয়তো পুরটাই ভুল, তবে এই ধারনাই আমি ধারন করি।)
তবে অনন্য আজাদের কথাই যদি সত্যি হয় তাহলে এই দেশে পালিত একমাত্র Valentines Day ছাড়া অন্য কোন উৎসবই সার্বজনীন নয়।)
আমি আত্মস্বীকৃত নাস্তিক দাবিকৃত অনেকেরই অনেকেরই লেখা পড়ি এমন কি ফারবির লেখাও পড়েছি। এদের লেখা পড়ে আমি আসলে কি চিন্তা করবো এর চর্চাই আসলে মুক্ত চিন্তা হয়তো।
যাইহোক- আমার বন্ধু তালিকায় কেউ যদি টিভি টক শো নিয়ে কাজ করেন তাহলে তার প্রতি অনুরধ দয়া করে আলোচক হিসেবে কাউকে নির্বাচিত করার আগে তাকে নিয়ে বিশেষ ভাবে ভাবুন। কারন ফেছ বুকে লেখা আর সরাসরি ক্যামেরার সামনে দাড়িয়ে ১৬ কোটি জনগণের সামনে কথা বলা এক নয়। পরশু রাতে অই অনুষ্ঠানে উপস্থিত দুই আলোচিত(!) নন্দিত ফেছবুক এক্তিভিস্ত এর পোস্ট দেখেই অই অনুষ্ঠান দেখেছিলাম। এবং আমি হতাশ হয়েছি। আলোচক বা বক্তা হিসেবে তারা যে কতটা অপরিপক্ক তা দেখে সত্যি হতাশ। এদের একটা ভুল কথা দেশে আরও নাজুক অবস্থার তৈরি করতে পারে।
প্রসঙ্গত সুশীল মান্না তো মিডিয়ারই সৃষ্টি।
( সব শেষে একটা লাইন দিয়ে শেষ করছি- ‘শুন হে মানুষ ভাই সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।’)
যদি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যদি কোন কিছু ভুল বলে থাকি তাহলে ক্ষমাপ্রার্থী)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




