প্রিয় পাঠক, এর মুল কারণ হচ্ছে, যে জীবনব্যবস্থাকে আল্লাহ পাঠিয়েছেন সমগ্র মানবজাতির জীবনে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য, সেই জীবনব্যবস্থাকেই ছেলের হাতের মোয়া বানিয়ে এক শ্রেনীর ধর্ম ব্যবসায়ী মোল্লারা নানান কায়দায় ধর্মের দোহাই দিয়ে মসজিদের মিম্বারে দাড়িয়ে অথবা কোন ওয়াজ-মাহফিলের স্টেজে ঘটা করে মনগড়া বানোয়াট ভিত্তিহীন কথা বলে সাধারণ মুসলিম জনতাকে শুভংকরের ফাকি দিয়ে, ঈমানের ধোকা দিয়ে ভিন্ন সম্প্রদায়ের বিরোদ্ধে হিংসাত্মক করে তোলে। এতে সাধারণ মুসলিম জনতা সমভিব্যাহারে জিহাদির জ্বালাময়ী চেহারা ধারন করে উচ্চকন্ঠে আল্লাহু আকবার, আলহামদুলিল্লাহ, আমীন আর সোহবানআল্লাহ বলে ঝড় তুলে ফেলে। কিন্তু এদের মধ্য কেউ-ই একবারের জন্যেও মোল্লাদের কথার সত্য মিথ্যা যাচাই করে দেখলোনা। আর এভাবেই এদেশে হাজার হাজার ভুলে ভরা ফেৎনার স্থান পায় বলেই মুসলিম-মুসলিমে ঘটে রক্তপাত আর দলাদলি।
সেই মোল্লাদের নেতৃত্বে তারা ভাংচুর করে দেশের জাতীয় সম্পদ, রাষ্ট্রের বিরোদ্ধে তারা বিপরীত অবস্থান তৈরী করে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে অচল করে দিয়ে লাখো মানুষকে অসহায়ের কারা-জালে বন্দি করে রাখে। যার ফলে রাস্তায়-ই মারা যায় কত মা, কত সন্তান, কত বাবা কেবল সময় মত হসপিটালে পৌছতে না পারার কারনে। তারা দলে-মতে বিভক্ত হয়ে অন্যের মসজিদ থেকে লা-ই-লাহা ইল্লাল্লাহ লিখা তুলে ফেলতেও দিধাবোধ করে না। তারা মসজিদে নামযরত মুসুল্লিদের উপর মরনাত্নক বম্বিং করে। তারা জ্বালিয়ে পুরিয়ে ছাই করে দেয় সরকারের ব্যবস্থাপনার অধীনে থাকা সাধারণ নিরিহ মানুষের সম্পত্তির গোটা নথীপত্র।
সুতরাং, ঈমানের ধোকা দানকারী ধর্মব্যবসায়ী এবং নায়েবে রসুল দাবিদার মোল্লাদের আচরণ ও কর্মের সঙ্গে উম্মতে মোহাম্মদীর দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। ভাই, এরা হলো যাত্রাদলের কাঠের বন্দুক। দেখতে আসল বন্দুকের মতোই কিন্তু গুলি ছোড়া যায় না। যাত্রাদলের রাজা-রানীরাও রাজকীয় পোশাক পরে ভাবসাব দেখায়, তর্জন গর্জন, লড়াই করে ঠিকই কিন্তু তাদের নজর থাকে দর্শকের পকেটে, তেমনি আজকের নায়েবে রসুলরাও আরবী লেবাস-সুরত ধারণ করে সম্মান কুড়ায় কিন্তু তাদের নজর ঐ মুসল্লীদের পকেটে। তাদের এই ধ্বংসাত্মক কাজের কারণে পুরো মানবজাতি অন্যায় অশান্তিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে। সমাধানের পথ যে সত্য জীবনব্যবস্থা তাকে ভাঙ্গিয়ে সম্মান আর অর্থ উপার্জন যারা করছেন তারা যে আসমানের নিচে সবচেয়ে নীচ, নিকৃষ্ট প্রজাতি তাতে কোনোই সন্দেহ নেই।
____________চৌধুরী আসিফ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৮