মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা এক বিশেষ ফরজ ইবাদত। সক্ষম একজন মুসলমানের জন্য এই ইবাদত খোদা কর্তৃক আবশ্যক করা হয়েছে। কোন মুসলমান যদি মনে করে তার এবং যাবতীয় সৃষ্টির মালিক মহান এই খোদা তবে তার এই আমল করতে দিধা কোথায়?
ধরুন, নিয়মের বাহিরে আপনাকে হটাৎ অফিসে যেতে হবে সকাল ৮:০০ টায়। এতে আপনার এই ক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়তো বিঘ্ন ঘটতেও পারে তবে নিয়মিত ৯:০০ টায় অফিস যাওয়ার ক্ষেত্রে বিঘ্নিত হওয়ার চান্স প্রায় ০০২℅। কেননা বেপারটা আপনার নৈমিত্তিক ক্রিয়ায় রুপান্তরিত হওয়ার ফলে আপনার প্রাকৃতিক স্বভাবের উপর প্রভাব পড়ায় আপনি যথাযথ তা করতে পারেন। আর এই পুরো ক্রিয়া টাই আপনার জাগতিক বেচে থাকার একটা অতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
মুসলমানদের জীবনে "সিয়াম" তো হটাৎ করে আসেনি অথবা আপনি একজন মুসলিম হয়ে সিয়াম সম্পর্কে জানেন-ই না বিষয়টি তো এমন নয়। বরং একজন মুসলমানের ধর্মীয় দায়িত্ব হল তা যথাযথ পালনের মাধ্যমে খোদার নৈকট্য লাভকরা এবং অন্য ধর্মালম্বীদের ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করা। তবে এর বিপরীতে আপনি একজন সুস্থ, সক্ষম মুসলিম হওয়া সত্বেও কেন আপনাকে মাইকে ঘটা করে ডেকে দিতে হবে, "সিয়াম সাধনার মাস"এটা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য রাত ৩টা থেকেই কেন মাইকে ইসলামিক গজল, হামদ-নাত বাজাতে হবে? অন্যের অসুবিধা হয় এমন ইবাদত খোদা তায়ালার কাছে কখনোই গ্রহণ যোগ্য নয়। এই বিষয়টি আমাদের মুসলিম সমাজে স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরার জন্য শায়েখ আহাম্মদ উল্লাহকে ধন্যবাদ।
দেখুন, নৈমিত্তিক কাজের প্রতি আপনার দরদ থাকা আর আল্লাহর প্রদত্ত হুকুম আহকাম এর প্রতি দরদ না থাকাটাই যে গায়েব-এর প্রতি পরিপূর্ণ ঈমান অর্থাৎ বিশ্বাস না থাকার পরিচয় দেয়া সেটা কি আপনি জানেন? আর এই অপরিপুর্ন ঈমান থাকা-ই হল মারাত্মক এক শিরক। রমজান মাস এলে আমরা সময়মতো ঘুম থেকে উঠবো, বেশী বেশী নফল ইবাদত করব, যথা সময়ে সেহরী খাব রোজা রাখবো এবং পাঁচ বেলা নিষ্ঠার সাথে সালাত আদায় করব, কুরআন তিলওয়াত ও কুরআন পাঠ-খতম দিব এটাই যেন আমাদের মুসলমানদের ধর্মীয় রীতিতে স্বাভাবিক ক্রিয়ায় রুপান্তরিত হয়। আল্লাহপাক আমাদের সকলকেই সরল ও সু-দৃঢ় পথে পরিচালিত করুক, আমিন।
_________________চৌধুরী আসিফ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০৫