somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

» প্রকৃতির ছবি, দেশের ছবি (ক্যানন ক্যামেরায় তোলা)-২

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
বিভিন্ন সময়ে তোলা ক্যানন ক্যামেরার ছবি। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের ।



হীম পড়েছে তো হয়েছেটা কী-টক খেতে কী মানা
পকেট থেকে বের করো তো পয়সা দু'আনা,
কিপটে মানুষ ফাঁকি বাজি-কত কিছু জানো
যেমন করে পারো বাপু
বাজার থেকে টকফল কিনে আনো।
অলস সময় কাটছে আমার-মিষ্টি খেতে ভাল্লাগে না
ধনে-লংকায় মাখলাম মুড়ি-তাও দেখি ঝাল্লাগে না।
টকের কথা ভাবলে আহা-জিভে আসে জল গো
কামরাঙার প্যাকেট আসবে নিয়ে,
প্লিজ করো না ছল গো।

২। #নিবে_সঙ্গে_আমায়?
ভাঙ্গা তোমার তরীখানি-ভিড়াও আমার ঘাটে
মন বসে না তুমিছাড়া-নিত্য কর্মপাঠে!
#যাবে_সঙ্গে_আমার?
চলো ভাসি পঙ্খীরাজ নৌকা করে-উড়ুক কি ভাসুক
যাবে সঙ্গে তুমি, দু'দন্ড শান্তি নিতে
দূরে কোথাও
চলো সকল কর্ম ফেলে হয়ে যাই দু'জন
দূরে উধাও!
জলের দীঘি হোক না তা-কিংবা স্রোতের নদী
ইচ্ছে সকল দাও না সঁপে
আজ আমার উপুর
মাঘের হাওয়ায় ভাসবো ঢেউয়ে
একটি উদাস দুপুর।



৩। দশটি নয় একটি ডিঙিতেই চলবে
তুমি আর আমি চলো ভেসে যাই পদ্মা নদীর অথৈ জলের ঢেউয়ে
দেখো তাকিয়ে আকাশ নেমে পড়েছে জলে
জলের আয়নায় উড়ছে গাঙ চিল
রঙবাহারী দিন মনের ভিতর আকুলি বিকুলি প্রেম তুলে
চারিদিকে না থাকুক পাহাড়ায় শত ডিঙি
তুমি আমার থাকলে পাশে, ভয় নেই মনে
তুমি হয়ো ডিঙির মাঝি-আমি হবো যাত্রী
তুমি হয়ো প্রেমের মাস্টার-আমি হবো ছাত্রী।
চলো বিকেলটা কাটিয়ে দেই জলের বিছানায় বসে
জলে হাত ছুঁয়ে দিলেই দেখবে-ভাল লাগার শিহরণ
আচ্ছা তুমি কি সাঁতার জানো? না জানলে তো বিপদ!
ক্যানন 600ডি (লোকেশন-ব্রহ্মপুত্র নদী-ময়মনসিংহ)



৪। নি:শ্বাস টেনে নেই হীম হাওয়া-আহা কি স্নিগ্ধতা চারিপাশ জুড়ে
দিবাকর হেসে উঠে-মৃদু আলোর কিরণ চোখে আমার
ভেজা ঘাসের ডগায় ডগায় শিশির বিন্দু
কুয়াশার আবরণ ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে আমি দাঁড়াই ধলাই নদীর তীরে।
চুপচাপ নিস্তব্ধ প্রকৃতি, ঘুমিয়ে আছে গ্রাম
ঘুমিয়ে আছে পাতা'রা, মর্ত্যে নুয়ে
জেগে উঠবে ওরা সব-
দিবাকর জানিয়ে যায় সে আসছে আলো নিয়ে।
এই যে মুগ্ধতা-এই যে স্নিগ্ধ প্রহর সে আর কোথা পাই বলো!
ছায়াঘেরা সবুজ এক একটি গ্রাম যেনো-
আমার দেশের মায়াময়ী ছায়াময়ী সুখের মুখোচ্ছবি।



৫। দুধ সাদা ফুল দাও না এনে-নাকফুল পরব নাকে
কেমন জানি সুর উঠেছে-আমার হৃদয় বাঁকে....
শাখে বসে গাইছে পাখি-মিষ্টি মধুর সুরে
ছন্দগুলো উঠছে আহা-বক্ষ আমার ফুঁড়ে।
এলোমেলো বইছে হাওয়া-খাঁখাঁ বিরানভূমি
মূলাফুল রঙ শাড়ী আমায়-দাও না কিনে তুমি।



৬। আমি আকাশ হয়ে যাই, তুমি দেখতে যখন চাও-দেখো
তাল পুকুরের পাড়ে বসো-
জলের আয়নায় দু দন্ড ক্ষণ, তোমার দৃষ্টি তাক করে রেখো!

কি! দেখতে পাচ্ছো আমায়-তুমি মাথা নেড়ে না বলো না
তখন আমি শুভ্র মেঘ হয়ে যাই-মেঘের ছায়া জলের আয়নায়.....
বলো না আবার বৃষ্টি হয়ে গলো না।



৭। গোধূলিয়ার রঙ মেখে সেজে আছে আকাশ, এসো এখানে খানিক'টা বসি
শুনো, দিবাকর ডুবে যাবে চোখের পলকে-ডুবে যাওয়া দিবাকরের আকাশ'টা চষি
নীল মেঘ দিয়ো-না আর মনে-সে-তো আকাশের বুকের ধন
চেয়ে দেখো আকাশের কপালে লাল টিপ-আমারও এমন আনচান করে মন।
দাও না এনে লাল টিপ-পরিয়ে দাও কপালে আলতো
ভেবো না তুমি মনে গোপনে-মুখ বেঁকিয়ে বলো'না যত্তসব ফালতু।



৮। এই চলো না, ঘুরে আসি-দেশের সবুজ প্রান্তরে-যাবে?
যেথায় গেলে শান্তি পাবে-তুমি বাপু খুব বদলাবে!
স্বচ্ছ ঝিল'টা ভরা শাপলায়- সবুজ বরণ জল
আর করো-না আমার সাথে -তুমি একটু ছল।
ঝিলের পাড়ে মিষ্টি হাওয়া-উথাল পাতাল বইছে
বুনোফুল'রা হেসে হেসে-কি যেনো কি কইছে।
হাত বাড়িয়ে ডাকছে দেখো-সবুজ পাহাড় দূরে
গাইছে পাখি গাছে গাছে-আহা মধুর সুরে।



৯। পাল ওড়াইয়া যাস রে মাঝি-এপাড় আমায় থুইয়া
কষ্ট উথলায় বুকের ভিতর- জল পড়ে চোখ চুইয়া
ছলাৎ ছলাৎ ঢেউয়ে ঢেউয়ে- সীমা ছাইড়া গেলা
তোমার পথে চাইয়া মাঝি-গেলো বইয়া বেলা।
পানের খিলি হাতে নিয়া-বইসা আছি পাড়ে
ওরে পাখি দিস্ রে খবর-যদি বা পাস্ তারে।



১০। তোমার মনের মতই আজ আমার আকাশ বিবর্ণ
মন খারাপের দিনগুলো আমার চারিদিকে ঘূর্ণ,
ঐ-তো ছায়ায় ঘেরা দূর্বাঘাসের গালিচা-খাঁখাঁ রোদ্দুর
তুমি পড়ে আছো সাত সমুদ্দুর তেরো নদীর ওপাড়ে বহুদূর
শুদ্ধু অক্সিজেন সে আর কই, কাছে থেকেও আছো দূরে
বুঝি না, কাটিয়ে দিচ্ছো নিশ্চিন্তে একেকটা দিন কিসের ঘোরে!
ভালবাসা হারাবে তুমি-স্বস্তির ছায়া সরে যাবে মাথার উপর
বিতৃষ্ণার রোদ্দুর বুকে চেপে ধরবে-
তোমার দিনরাত একেকটি উদাস দুপুর।



সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৪
১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×