somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসুন কিছু বদভ্যাস ধীরে ধীরে পরিবর্তন করি...

১৩ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



অপচয় জিনিসটা আমার মোটেও সহ্য হয় না। এ ব্যাপারে অনেকেই অনেক অসচেতন। বিষয়টা বার বার আমায় ভাবায় । মানুষ নিজের জিনিস যেভাবে হেফাজত করে অন্যের জিনিসের বেলায় তা না। অনেকেই দেখি অফিসের সীট থেকে উঠে গেলে প্যাডস্টাল ফ্যান অফ করেন না। বাথরুমের কল শক্ত করে মোচড় দেন না যার ফলে পানি অনবরত পড়তেই থাকে।

নিজেদের বাসায় থাকলে কী আপনারা এক রুম হতে অন্য রুমে গেলে ফ্যান অফ করে যান না? নাকি ছেড়েই যান। বিল উঠবে বলে আতঙ্কে সচেতন থাকেন অনেক বেশী। সেই আপনারাই অফিসে কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত অবস্থায় কী করেন? ফ্যানের সুইচ অফ না করেই অন্যত্র চলে যান, যার ফলে ফ্যান চলতে থাকে মানুষহীন রুমে ফলশ্রুতিতে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত। মনে মনে ভাবেন এতে আমার কী। বিদ্যুত বিল তো দেবে প্রতিষ্ঠান বা সরকারে। ভাইবোন চিন্তা করে দেখেন এই গরমে হাজারবার লোড শেডিং হয়ে যাচ্ছে। কতই না কষ্ট আমাদের হচ্ছে। বাচ্চাদের বুড়োদের কষ্ট বেশী পরিমাণ। আর আপনার এইভাবে বিদ্যুত অপচয় করছেন নির্দ্বিধায়। নিজের ঘরে যদি ফ্যান অফ রেখে অন্য রুমে যান তবে কেনো অফিসে সীট ছেড়ে গেলে ফ্যান অফ করেন না। এতটা অসচেতন আপনারা ভাবাই যায় না। এসবের বিচারও কিন্তু হবে। অন্যের জিনিস হেফাজত করলে আল্লাহ নিজের জানমাল হেফাজত করেন।

ওয়াশরুমে গিয়ে কী ভাবেন এত, আসার সময় কল শক্ত করে বন্ধ করেন না। অথবা কলের পানি পড়তে থাকা ধারায় বদনাটা রেখে আসেন না। অন্তত কিছুটা পানি তো সঞ্চয় হবে তাই না। এতটা অসচেতন কেনো হোন বারবার। অফিসের কাগজের যাচ্ছে তাই ব্যবহার। কত সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন অথচ অন্যের জিনিস ভেবে তার নির্দ্বিধায় অতিরিক্ত অপচয়ই করে যাচ্ছেন।

এমনিতেই বাংলাদেশে ফিটিংস খুবই দুর্বল। যেখানেই যে প্রতিষ্ঠানেই যান না কেনো, দেখবেন কল দিয়ে অনবরত পানি পড়তেই আছে। এদিকে কারো ভ্রুক্ষেপই নেই। যেদিন আমাদের দেশ পানির অভাবে ভুগবে সেদিন বুঝবে পানির মর্ম। আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝদান দিন। হেদায়েত করুন আমাদের। অপচয় হতে নিজেকে বাঁচান, এবার সাবধান হোন। এই অভ্যাসগুলো আস্তে আস্তে চেঞ্জ করুন দয়া করে।




আপনার সন্তানের খোঁজ খবর রাখুন
----------------------
সদ্য কলেজে পড়া বাবুরা, আপনার আমার সন্তান, বিভিন্ন কলেজে পড়ছে বর্তমানে। আমি এখন বলছি নটরডেম কলেজের কথা।
প্রতিদিন তামীমকে স্কুলে নিয়ে যা্ওয়ার সময় যুগান্তরের গলি নামে ছোট আরেকটা গলি আছে শর্টকাট। বাসা থেকে স্কুল-স্কুল থেকে বাসা অই পথ দিয়ে প্রায়ই যাওয়া আসা করি। এই পথ ধরে যখন হাঁটি, অজানতেই মনটা বিমর্ষ হয়ে যায়, খুব মন খারাপ হয়। ছোট একটা হোটেল আছে এখানে, চার পাশে প্রিন্টিং প্রেস কারখানা, বাস কাউন্টার।
সেই হোটেলের সামনে এসেই থমকে যাই। সদ্য মুছ গজানো ছেলেরা, অন্তত বিশ থেকে পঁচিশ জন বা তারও বেশী হবে। কী মিষ্টি মিষ্টি চেহারা দেখলেই বুঝা যায় তাদের বয়স কতো! ওদের দিকে তাকালে আমার বড় ছেলেকে দেখি।

প্রত্যেকটা ছেলের হাতে সিগারেট! সবাই জম্পেশ আড্ডা দিচ্ছে সিগারেট ফুঁকে আর চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে। আমার ধারণা ওদের মা বাবা ওদের টিফিনের অথবা যাত্রা ভাড়া দিয়ে থাকে পকেটে ভরে। আর ওরা সেটা দিয়ে বিষপান করছে এই ছোট বয়সেই। আমারও খুব ভয় হয় আমার ছেলে কলেজে উঠলে এসব বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে না আবার সিগারেট ফুঁকে দেয়।

আমার কথা বিশ্বাস না হলে প্লিজ একবার হলেও খোঁজ নিন আপনার সন্তানের। কলেজ ছুটি হওয়ার পর একবার চলে আসুন নটরডেম কলেজের অপজিটে একটা গলিতে। যে গলিটা বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনীর সাথে লাগোয়া।েএসে দেখুন আপনার আদরের সন্তানদের কারবার। এখনো ঠোঁট হতে দুধের গন্ধ যায় নি আর ওরা অবলীলায় সিগারেট টেনে টেনে আপনার কষ্টের উপার্জন ছাই করে দিচ্ছে। নজর দিন -খবর নিন। এভাবে মৃত্যুর হাতে ঠেলে দিবেন না আপনার সন্তানকে।

আমার বড় ছেলে ক্লাস নাইনে। তার ক্লাসের অনেকেই সিগারেট খায়। ছেলে এসে বলে আমাকে। এক ছেলে ইলেকট্রনিক সিগারেট টানে। বড় ছেলে বলে মা-ওরা আমাকে বলে সিগারেট খেলে কিছু হয় না একটা টান দিয়ে দেখ্ শালা। ছেলে বলে মা-আমি তো জানি সিগারেট খা্ওয়া ভালো না। আল্লাহ ওকে হেফাজত করুন আরও হেদায়েত দান করুন।

আপনার সন্তানের খোঁজ নিন আবারও বলছি। তাদের এই বদভ্যাস পরিবর্তনে সহায়তা করুন। কাউন্সেলিং করুন। এত তাড়াতাড়ি ওদের কলিজা পুড়তে দিয়েন না প্লিজ




সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭
২৬টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×