অপচয় জিনিসটা আমার মোটেও সহ্য হয় না। এ ব্যাপারে অনেকেই অনেক অসচেতন। বিষয়টা বার বার আমায় ভাবায় । মানুষ নিজের জিনিস যেভাবে হেফাজত করে অন্যের জিনিসের বেলায় তা না। অনেকেই দেখি অফিসের সীট থেকে উঠে গেলে প্যাডস্টাল ফ্যান অফ করেন না। বাথরুমের কল শক্ত করে মোচড় দেন না যার ফলে পানি অনবরত পড়তেই থাকে।
নিজেদের বাসায় থাকলে কী আপনারা এক রুম হতে অন্য রুমে গেলে ফ্যান অফ করে যান না? নাকি ছেড়েই যান। বিল উঠবে বলে আতঙ্কে সচেতন থাকেন অনেক বেশী। সেই আপনারাই অফিসে কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত অবস্থায় কী করেন? ফ্যানের সুইচ অফ না করেই অন্যত্র চলে যান, যার ফলে ফ্যান চলতে থাকে মানুষহীন রুমে ফলশ্রুতিতে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত। মনে মনে ভাবেন এতে আমার কী। বিদ্যুত বিল তো দেবে প্রতিষ্ঠান বা সরকারে। ভাইবোন চিন্তা করে দেখেন এই গরমে হাজারবার লোড শেডিং হয়ে যাচ্ছে। কতই না কষ্ট আমাদের হচ্ছে। বাচ্চাদের বুড়োদের কষ্ট বেশী পরিমাণ। আর আপনার এইভাবে বিদ্যুত অপচয় করছেন নির্দ্বিধায়। নিজের ঘরে যদি ফ্যান অফ রেখে অন্য রুমে যান তবে কেনো অফিসে সীট ছেড়ে গেলে ফ্যান অফ করেন না। এতটা অসচেতন আপনারা ভাবাই যায় না। এসবের বিচারও কিন্তু হবে। অন্যের জিনিস হেফাজত করলে আল্লাহ নিজের জানমাল হেফাজত করেন।
ওয়াশরুমে গিয়ে কী ভাবেন এত, আসার সময় কল শক্ত করে বন্ধ করেন না। অথবা কলের পানি পড়তে থাকা ধারায় বদনাটা রেখে আসেন না। অন্তত কিছুটা পানি তো সঞ্চয় হবে তাই না। এতটা অসচেতন কেনো হোন বারবার। অফিসের কাগজের যাচ্ছে তাই ব্যবহার। কত সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন অথচ অন্যের জিনিস ভেবে তার নির্দ্বিধায় অতিরিক্ত অপচয়ই করে যাচ্ছেন।
এমনিতেই বাংলাদেশে ফিটিংস খুবই দুর্বল। যেখানেই যে প্রতিষ্ঠানেই যান না কেনো, দেখবেন কল দিয়ে অনবরত পানি পড়তেই আছে। এদিকে কারো ভ্রুক্ষেপই নেই। যেদিন আমাদের দেশ পানির অভাবে ভুগবে সেদিন বুঝবে পানির মর্ম। আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝদান দিন। হেদায়েত করুন আমাদের। অপচয় হতে নিজেকে বাঁচান, এবার সাবধান হোন। এই অভ্যাসগুলো আস্তে আস্তে চেঞ্জ করুন দয়া করে।
আপনার সন্তানের খোঁজ খবর রাখুন
----------------------
সদ্য কলেজে পড়া বাবুরা, আপনার আমার সন্তান, বিভিন্ন কলেজে পড়ছে বর্তমানে। আমি এখন বলছি নটরডেম কলেজের কথা।
প্রতিদিন তামীমকে স্কুলে নিয়ে যা্ওয়ার সময় যুগান্তরের গলি নামে ছোট আরেকটা গলি আছে শর্টকাট। বাসা থেকে স্কুল-স্কুল থেকে বাসা অই পথ দিয়ে প্রায়ই যাওয়া আসা করি। এই পথ ধরে যখন হাঁটি, অজানতেই মনটা বিমর্ষ হয়ে যায়, খুব মন খারাপ হয়। ছোট একটা হোটেল আছে এখানে, চার পাশে প্রিন্টিং প্রেস কারখানা, বাস কাউন্টার।
সেই হোটেলের সামনে এসেই থমকে যাই। সদ্য মুছ গজানো ছেলেরা, অন্তত বিশ থেকে পঁচিশ জন বা তারও বেশী হবে। কী মিষ্টি মিষ্টি চেহারা দেখলেই বুঝা যায় তাদের বয়স কতো! ওদের দিকে তাকালে আমার বড় ছেলেকে দেখি।
প্রত্যেকটা ছেলের হাতে সিগারেট! সবাই জম্পেশ আড্ডা দিচ্ছে সিগারেট ফুঁকে আর চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে। আমার ধারণা ওদের মা বাবা ওদের টিফিনের অথবা যাত্রা ভাড়া দিয়ে থাকে পকেটে ভরে। আর ওরা সেটা দিয়ে বিষপান করছে এই ছোট বয়সেই। আমারও খুব ভয় হয় আমার ছেলে কলেজে উঠলে এসব বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে না আবার সিগারেট ফুঁকে দেয়।
আমার কথা বিশ্বাস না হলে প্লিজ একবার হলেও খোঁজ নিন আপনার সন্তানের। কলেজ ছুটি হওয়ার পর একবার চলে আসুন নটরডেম কলেজের অপজিটে একটা গলিতে। যে গলিটা বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনীর সাথে লাগোয়া।েএসে দেখুন আপনার আদরের সন্তানদের কারবার। এখনো ঠোঁট হতে দুধের গন্ধ যায় নি আর ওরা অবলীলায় সিগারেট টেনে টেনে আপনার কষ্টের উপার্জন ছাই করে দিচ্ছে। নজর দিন -খবর নিন। এভাবে মৃত্যুর হাতে ঠেলে দিবেন না আপনার সন্তানকে।
আমার বড় ছেলে ক্লাস নাইনে। তার ক্লাসের অনেকেই সিগারেট খায়। ছেলে এসে বলে আমাকে। এক ছেলে ইলেকট্রনিক সিগারেট টানে। বড় ছেলে বলে মা-ওরা আমাকে বলে সিগারেট খেলে কিছু হয় না একটা টান দিয়ে দেখ্ শালা। ছেলে বলে মা-আমি তো জানি সিগারেট খা্ওয়া ভালো না। আল্লাহ ওকে হেফাজত করুন আরও হেদায়েত দান করুন।
আপনার সন্তানের খোঁজ নিন আবারও বলছি। তাদের এই বদভ্যাস পরিবর্তনে সহায়তা করুন। কাউন্সেলিং করুন। এত তাড়াতাড়ি ওদের কলিজা পুড়তে দিয়েন না প্লিজ
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭