©কাজী ফাতেমা ছবি
=ফ্রেমবন্দির গল্প=
আমার ক্যামেরা হলো ক্যানন ৬০০ডি, প্রথম লেন্স কিনেছিলাম ১৮-১৩৫, কিন্তু চাঁদকে কোনোভাবেই কাছে আনতে পারছিলাম না। কথায় বলে না শখের তোলা ৮০ টাকা। আমার বেলায়ও তাই হলো। টাকায় যখন চুলকায় তখন যেকোনো ভাবেই টাকা পকেট থেকে চলে যাবে এটাই স্বাভাবিক হাহাহা, টেকা পয়সা হলো তেজপাতা, সে উড়ে যাবেই। শেষে একদিন মনস্থ করলাম যে আরেকটা লেন্স কিনবাম। শেষে গিয়ে ৭৫-৩০০ লেন্স কিনে নিয়ে আসছি। আনছি কিন্তু ছবি তোলার জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ধারে কাছে সুন্দর লোকেশনও নাই। মনে মনে ভাবলাম বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনীতে তো ফুলের বাগান আছে, সেখানেই ট্রাই করে দেখবো।
ছেলেকে স্কুলে দিতে যাওয়ার সময় হাতে ক্যামেরাখান তুলে নিলাম। ভাবলাম বাগানের গেইট যেহেতু খোলা না দূর থেকেই চেষ্টাটা ভালো হবে। ছেলেকে স্কুলে দিয়ে লেগে গেলাম অসাধ্য সাধনে। কিন্তু বদের বদ লেন্স কোনোভাবেই বাগে আনতে পারছিলাম না। ম্যানুয়ালীই তুলেছি ছবিগুলো কিন্তু আশানুরূপ ফল পাই নি। জুম বাড়িয়ে কাছে আনি কিন্তু ফোকাস হয় না।
কী আর করা তাও চেষ্টা চালিয়ে যাই এবং বিশেষভাবে এই সূর্যমূখিটাকেই টার্গেট করি। দূর থেকে ছবি গুলো ভালোই আসে, তবে জুম করলে ফেটে যায়, যাই হোক কিছু সুন্দর দূর থেকে দেখলেও ভালো লাগে। ঐ দিন আরও ছবি তুলেছিলাম, সেগুলা অন্যদিন না হয় দিবো।
ছবি তোলা যদিও আজাইরা সময় নষ্ট, সবাই বলে -আমি না। ছবি তোলা একটি শখের কাজ। সুন্দর দেখা আর সুন্দর ধরে রাখার প্রয়াস মাত্র। আমার প্রতিটি ছবি পোস্ট করার আগে ডেস্কটপের ওয়ালপেপার হিসাবে ইউজ করি। দেখে কী যে ভালো লাগে বলার মত না। খুব শান্তি অনুভব করি। আমি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার না, তাও কোনো কোনো ফেবু ফটোগ্রুপে বেস্ট ফটো, ফটো অব দা ডে, সুপার ফটোগ্রাফী হিসাবে মির্বাচিত হয়। এটা আমার এক্সট্রা পাওনা হয়ে যায়, ভালো থাকার। মুগ্ধ প্রহরগুলো তবে হয়ে থাক ক্যামেরা বন্দি, নিজে দেখি এবং সবাইকে দেখাই। আল্লাহ সবাইকে সুন্দর অনুভব করার জন্য একটা মন দান করুন। ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা সবাইকে। ফি আমানিল্লাহ।
ফ্রেমবন্দির গল্প যদি পাঠকের ভালো লাগে তবেই ফ্রেম বন্দির গল্প সিরিজ হিসেবে দিতে পারি। পাঠকের চোখেই তবে পোস্ট দেয়া না দেয়া নির্ভর করে- ভালো থাকুন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:২০