somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

» ফ্রেমবন্দির গল্প-৬

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
=ফ্রেমবন্দির গল্প=
১।



কয়েকদিন যাবত ঝাঁঝাল রোদ, শুকনো মরুভূমি প্রান্তর, শহরের পথঘাট রোদে ডুবে আছে যেনো। সেই রোদ সমুদ্দুরে ডুব দিতে দিতে হাঁপিয়ে উঠে যখন রাতের বেলা বৃষ্টির দেখা পাই, ঠিক তখনি আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করি। আর বলি হে আল্লাহ তুমি রহিমু রহমান। আমাদেরকে শান্তির বৃষ্টি দিয়েছো এজন্য তোমার কাছে চির কৃতজ্ঞ।

আচ্ছা রোদের রঙ কী হলুদ? নাকী সোনালী, অথবা বাসন্তি? রোদ চশমা ছাড়া বাইরে তাকানো কষ্টকর। কপাল কুঁচকে রোদ দেখলে শেষে কপালে বলিরেখা পড়ে যাবে। সেই ভয়ে রোদ চশমা পড়ে দুপুর বেলা হাঁটি আর ভাবি রোদের রঙ হলুদ অথবা বাসন্তি। এই শ্রাবণের কোলে বসে আপনাদেরকে আজ দেবো হলুদ অথবা বাসন্তি রোদ উপহার।

এই বাসন্তি হলুদ ফুলগুলো বিভিন্ন সময়ে তোলা, আমার মোবাইল ক্যামেরায় ঠাসাঠাসি করে ওরা বেঁচে আছে মুগ্ধতা নিয়ে। পোস্ট করার সময় নিতান্তই কম, তাই ফ্রেমবন্দির গল্প আমাকে সুযোগ করে দিয়েছে, ছবির সাথে গল্প বলার। গল্প লিখতে বা বলতে আম খুব কমই পারি। আমাকে যদি বলা হতো এই বাসন্তি হলুদ নিয়ে ছন্দ লিখেন তাহলে কথাই ছিলো না। লিখে ফেলতাম একশত দুইখানা পদ্য। মোবাইল ক্যামেরা আমাদেরকে ছবি তোলার দারুন সুযোগ এনে দিয়েছে। যখন যেভাবেই যেখানে সেখানে থাকি না কেনো, চোখে সুন্দর ধরা পড়লেই হলো, ব্যস ক্লিক আর ক্লিক। আমি বা আমরা অনেকেই প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার না। তাই ফটো ভালো মন্দের চিন্তা ভাবনা ছাড়াই যা-ই ছাঁইফাঁস তুলি সবার সম্মুখে তুলে ধরি, হোক তা যাচ্ছে তাই।

যারা ফুল ভালোবাসে তাদের জন্য ফুলের পোস্ট আত্মার জন্য শান্তিদায়ক। আমারও তাই। এসব ছবিতে আমার কখনো একঘেঁয়েমী আসে না। একই ফুল প্রতিবছর ফুটে অথচ প্রতিবছরই আমি ছবি তুলে ক্যামেরার মেমরী বোঝাই করি। অনেকের কাছেই এসব বিরক্তের কারণ। কিন্তু তাদের মধ্যে দশ পাঁচজন তো অবশ্যই আছেন যাদের এসব ফুলের ছবি দেখলে একঘেঁয়েমী আসে না। তাদের জন্যই আমার ছবিগুলো, করলাম তাদেরকে উৎসর্গ।

ছবি তোলার সময় মাঝে মাঝে লজ্জা অনুভূতি হয় আমার। চারিদিকের মানুষ কেমন করে যেনো তাকিয়ে থাকে। ক্লিক করতে গিয়ে নাড়াচাড়া লেগে ছবি বেশীর ভাগই নষ্ট হয়ে যায়। আর যদি ফাঁকা থাকে ছবি তোলা লোকেশন টা, তাহলে ধীরে সুস্থে ছবি তোলা যায় এবং ছবিগুলোও ভালো হয়। পাঁচটি ছবির মধ্যে আছে অলকানন্দা, হলুদ অথবা বাসন্তি গাঁদা আর মিনি সূর্যমূখী। তিনটা ফুলই চোখের আয়নায় সুন্দরের প্রতিচ্ছবি। ভালোবাসি ফুল, ভালোবাসি প্রকৃতি, ভালোবাসি দেশ এবং দেশের মানুষকে। সবাই ফুলের মতন সুন্দর থাকুন সারাবেলা। আল্লাহ তাআলা সবাইকে নিরাপদে এবং সুস্থ রাখুন।

২।



৩।



৪।



৫।



৬।



৭।



৮।



৯।




১। হলুদ রঙের প্রেমের ছন্দ
হলুদ শাড়ি পড়ে আছি,আসবে তুমি বন্ধু
মনে জমা তোমার জন্য,প্রেম বন্ধু এক সিন্ধু!
দেবে তুমি চুপ পরিয়ে?গাঁদা ফুলের মালা
দাও সাজিয়ে হলুদ ফুলে,আমার মনের ডালা।
হলুদ গাঁদা বালা হাতে,দাও পরিয়ে আমার
মন জমিনে গড়ো বন্ধু,তোমার প্রেমের খামার।
চুলের খোঁপায় অলকানন্দা,কানে ফুলের দুলও
দাও পরিয়ে বুনোফুলের,আমার এলো চুলও।
গলায় পরাও ফুলের মালা,হলুদ রঙের সাজে
তোমায় নিয়ে আজ হারাবো,গোধূলিয়ার সাঁঝে।
সন্ধ্যার প্রহর তোমার আমার,হলুদ আলোর প্রহর
নদীর ধারে বসবো দুজন,মনে সুখের লহর।
ডুববে সূর্য নদীর জলে,হলুদ আলোর ধারা
হলুদ প্রহর তোমার আমার সুখে পাগল পাড়া।

১০।



১১।



১২।



১৩।



১৪।



১৫।



১৬।



১৭।



১৮।



২। =তুই বলেছিলিস...... কোন এক দুপুরে.....
তুই বলেছিলিস, এই তুই কী বাসন্তি সাজবি?
আমি তোকে এনে দেবো গাঁদা ফুলের পাপড়ি
সূতোয় গেঁথে গলায় পরে নিস;

তুই বলেছিলিস, এই তুই কী আমার ফাগুন হবি?
অলকানন্দা রঙের শাড়ী পরবি?
হাতে পড়বি গাঁদা রঙ চুড়ি,
চুরে পড়বি সূর্যমূখী রঙ চুলের কাঁটা।

তুই বলেছিলিস, এই তুই কী আমার বসন্ত হবি?
চোখের কাজল কালো না দিয়ে বাসন্তি রঙ কাজ পরবি
হাতের বালা দুটো যেনো হয়, সোনালো ফুলের পাপড়ি রঙ,
কপালে এঁকে দিস কৃষ্ণচূড়া রঙ টিপ,
ঠোঁট রাঙাস কিন্তু শিমুল রঙে।

তুই বলেছিলিস, এই তুই কী আমার বসন্ত ফাগুন হবি?
আমার মন না কেমন পাগল পাগল,
বুকের ভিতর তোর জন্য ঢেউ উঠে প্রেমের নিরবধি,
বুকের পাড় ভেঙ্গেচুড়ে তুই ভেসে যাস অন্য কোথাও!
কেনো রে, তুই কী আমার হতে পারিস না?

তোর প্রশ্নের উত্তর আজও দিতে পারিনি,
বেলা বয়ে যায়, ব্যস্ততার গায়ে বসে আজও তোকে ভাবিরে,
সময়গুলো কেমন করে উড়ে গেলো বৈরী হাওয়ায়,
বুকের বাড়িতে আর বসন্ত হাওয়া এসে করে না ধাওয়া,
ফাগুন এসে লাগায় না তোর জন্য আর বিরহের আগুন।
তোকে ভালোবাসি, বলা হয়নি তখন,
অথচ ভালোবেসেছি তোকে অযস্র প্রহর।
তোর জন্য এখনো বসন্ত রঙ শাড়ীতে সাজি,
ফাগুন রঙ ঠোঁটে মেখে হাসির ফুলঝুরি উড়াই হাওয়ার তোড়ে,
তুই সুযোগ পেলে হাতের মুঠোয় পুড়িস আমার প্রেমগুলো
রেখে দিস বুকের বামে, না হয় থেকেই গেলাম
অদৃশ্য অস্পৃশ্য ভালোবাসার বেড়াজা আটকে দুজন।
(মোবাইল-স্যামসাং এস নাইন প্লাস+মতিঝিল)

(বলেছিলিস, খেয়েছিলিস এসব কথা আসলে ব্যাকরণে নাই। কিন্তু লেখার সময় এগুলো কেনো জানি আমাকে ভালো লাগা জানিয়ে যায়। আবেগ ভরা ভরা লাগে। আসল কথা এগুলো ব্যাকরণগত ভুল, আর অকবিতায় ঠিক :D
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০১
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×