somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফ্রেমবন্দির গল্প (মোবাইলগ্রাফী)

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



©কাজী ফাতেমা ছবি
=ফ্রেম্বন্দির গল্প=
দিন কেঁদেই চলেছে অবিরাম। হিম আবেশ ছুঁয়ে থাকা মন উচ্ছ্বাস হারিয়ে বন্দি ঘরের কোণে। হেমন্তের এই মেঘলা দিনে মন উড়ু উড়ু। এ রুম ও রুম পায়চারী, কাহাতক লাগে আর ভালো। আলসেমি এসে ভর করে চোখের পাতায়। অথচ বিছানায় দেহ ছুঁয়ালেই ফরমায়েশের হাক, এ দাও ও দাও, এই করো, কাছে এসো উফ! বেটা বাচ্চার দুরন্তপনায় আরাম এলোমেলো।



ঘুম আবেশ, বিতৃষ্ণায় মন। জিভের লোভ ছটফট। কিছু খাওয়ার জন্য মন এগিয়ে যায় রসনা পানে। কী খাওয়া যায়! কী খাওয়া যায়! এ করেই কেটে যায় অফুরন্ত সময়। ঘড়ির কাঁটা বুঝে না মন, ঠিকঠিক টিকটিক এগিয়ে যায় ভবিতব্যে।



তবুও খাওয়ার তৃষ্ণা যায় না মুছে। হুম ঠান্ডা দিনের কোলে বসে কিছু খাওয়াই চাই। আইডিয়া বলেই জ্বলে উঠে দিমাগ কি বাত্তি। সবুজ বাদামী প্রলেপে মোড়া হলুদাভ স্বপ্ন দানা, আহা ওদের গায়ে সোনা রঙ বসন। আর কেনো তবে দেরী, মুঠোয় পুরে আদরে আহলাদে নিয়ে যাই চুলোর কিনারে। পাতিলে তেলের ফোঁটা এক চিমটি  লবণ আর চামচ, ওদের ঢেলে দেই! সরি উৎসর্গ করি আগুনের শিখায়।



চামচ নাড়াচাড়ায় ওরাও নড়ে উঠে, হেসে উঠে ঝুপঝাপ শব্দে। নিমেষেই ফুটুস ফাটুস বোম ফুটিয়ে ওরা উল্লাসে উঠে মেতে। ঢাকনার অন্দরে ওরা খেলে বন্দুক বন্দুক যুদ্ধ আর আমি তুষ্টি মনে দাঁড়িয়ে থাকি ঠাঁয় চুলো ঘেঁষে। ওদের খেলা শেষ ঢাকনা উঠাতেই একি! শুভ্র বসনে সেজে আছে ওরা, আমায় দেখেই ওরা শুদ্ধতায় সন্তুষ্টি প্রকাশে ব্যস্ত।



ওদের আদুরে রূপ আহা, ঢেলে দেই সবুজ রঙ্গা ঝুড়িতে। মুঠোয় পুরে একসঙ্গে সবাই কুড়কুড়ে স্বাদে ডুবে যাই মেঘলা দিনের মিষ্টি হাওয়ার বৃষ্টির জলে। ওরা ওদের উৎসর্গ করে গুটি কয়েক জিভের জলে। উদরে হোক এবেলা ওদের বসবাস। ব্যস কিচ্ছে খতম। তো এবার ছন্দ হয়ে যাক সুরে সুরে সুর মিলিয়ে চলো গেয়ে উঠি একসাথে সবাই।



মেঘলা দিনের আরাম ছুঁয়ে, কে কী খাবে বলো
কুড়মুড়ে স্বাদ নিতে তবে, সঙ্গে আমার চলো!
বসো বসো সোফায় বসো, অপেক্ষাতে থেকো,
টিভির মাঝে এবার তবে, দৃষ্টিখানা রেখো।

মুড়ি খাবে বিস্কিট খাবে, নাকি কফি খাবে?
চায়ের স্বাদে জিভ রাখতে কী, তোমরা মত বদলাবে!
চিপ্স নাকি চানাচুর খাবে, খাবে কী পপকর্ণ,
কানের কাছে বাজিয়ো না, খাই খাই সুরের হর্ণ!



আচ্ছা বাবা রাজী আছি, পপকর্ণই আজ খাবো
একই সাথে খাবো আহা কী যে মজা ভাবো!
দেখবো টিভি গাপুস গুপুস খানা দানা হবে,
ছুটির দিনের মজার সময় স্মৃতি হয়ে রবে।

ভুট্টার দানা তেল আগুনে, জ্বলে হবে ভষ্ম
শীতে হাওয়ায় আসবে ফিরে, দেহে মিহি উষ্ম;
পপকর্ণের এই বিকেল ক্ষণে, দাও না হেসে সুখে
কে যে রাখে সবার ঠোঁটের হাসিখানা রুখে।
(স্যামসাং, স্থান৷ আমগো বাসার রান্নাঘর)



পপকর্ণ এক্কেরে সহজ বানানো

উপকরণ-ভুট্টা এক মুঠ, তেল, লবণ, হাঁড়ি, ঢাকনা, চামচ, রান্নাঘর, চুলা আর আগুন।

হাঁড়ি চুলায় দিয়া তেল দিয়া তাতে লবণ, গরম হলে ভুট্টা দিয়া নাড়ন আর চাড়ন, খানিকক্ষণ পরেই এক দুই ভুট্টা লাফাইয়া উঠিবেক। তাত্তারি ঢাকনা দিয়া দাঁড়াইয়া কান পেতে সেই মধুর সুর আহা গুরুম গারুম আওয়াজ, আর নাক পেতে ঘ্রাণ আহা মজাই মজা। শব্দ বন্ধ হলে ঝুড়িতে নামায়া একটুপর মুখে পুরুন ব্যস পপকর্ণ হু গেয়া।
(কাঁথার নিচে শুইয়া শুইয়া পোস্টের আবির্ভাব)
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×