©কাজী ফাতেমা ছবি
=ফ্রেমবন্দির গল্প=
গতকাল বিকেলে ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলাম, ঠিক তখনি এক পসলা বৃষ্টি হলো। কিন্তু বৃষ্টি থেমে গিয়ে গরম দিলো বাড়িয়ে। নেয়ে ঘেমে একাকার। ছুটির ঘন্টাও পড়তেছে না। তাই হাঁটাহাঁটি করতেছি স্কুলের মাঠে। ডানে বামে চোখ ঘুরিয়ে দেখি। ফুটা ফুলগুলোতে বৃষ্টি ঝুলে আছে। কী যে স্নিগ্ধতার আবেশ আহা। গরম নিমেষেই উধাও। এই গোলাপগুলো স্কুলের বারান্দা ঘেঁষে একটু উঁচুতে। লোভ সামলাতে না পেয়ে, রেলিং বেয়ে উঠে এক এক করে ছবি উঠাচ্ছি। স্কুলের দারোয়ান কেরানী ভাইয়েরা হাসতেছে দেখে। ফুলের ছবি উঠিয়ে নামতে যাবো ভাইয়েরা বললো আপা শুধু গোলাপ তুলবেন কলি কী দোষ করলো। তাকিয়ে দেখলাম দুটো কলিও আছে। তাদেরকেও ক্যামেরা বন্দি করে রেলিং বেয়ে নেমে পড়লাম।মুগ্ধতাগুলো স্মৃতি হয়ে রইলো।
আবার চোখ ঘুরিয়ে দেখি কামিনির ডালে ডালে শুভ্রতার রঙ মাখানো। যদিও বেশীরভাগই কলি হয়ে আছে। তাতেই বৃষ্টির ফোঁটা ঝুলে আছে। সেগুলোকেও বন্দি করেছি। সেটা আরেকদিন দেবো। বৃষ্টির পরের দৃশ্য গুলো খুবই সুন্দর লাগে দেখতে। ভেজা মাটি, এখানে সেখানে জমে থাকা পানির আয়নায় আকাশের ছবি। বৃষ্টির ফোঁটা পাতায় পাতায় গাছের ডালে বসে থাকে আহা আঙ্গুল ছুঁয়ে দিলেই গড়িয়ে পড়ে। বৃষ্টির ফোঁটার আবেগ কত আহা, ছুঁলেই কেঁদে দেয় যেনো।
ঘাস লতা পাতা সবই সজীব হয়ে উঠে বৃষ্টির পরে। তাই বৃষ্টি ভালোবাসি। গাছ লতা পাতা ফুল পাখি মানুষ সবই ভালোবাসি। কিন্তু দেশে যে পরিস্থিতি মাঝে মাঝে অবাক হই মানুষ দিন দিন কীভাবে অমানুষ হয়ে উঠছে। মানুষের মনের আবেগ আদর শুদ্ধতা কোথায় হারাচ্ছে দিন দিন। সবাই কেমন যেনো পশু হয়ে উঠতেছে। এই গল্প লেখার সময় একটা নিউজ পড়লাম। বাবার জানাজায় না গিয়ে ছেলে ভাতিজিকে ধর্ষন করে মেরে ওড়না পেচিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে। আল্লাহ গো এসব কী শুনি গো আল্লাহ। মানুষের মন থেকে মহব্বত উঠে যাচ্ছে গো মাবুদ sad কেনো এই শহরে গজব আসবে না sad কেনো এডিস আসবে না কেনো ডেংগু হবে না। মানুষ যেভাবে পাপে নিমজ্জিত হচ্ছে, তাদের পাপের খাতিরে দেশের উপর গজবের তুফান উড়ে যাচ্ছে। এক ঘরের পাপে দশ ঘরকে পায়। তাই হচ্ছে যেনো শহর নগর গ্রামে। মানুষের ভেতর থেকে মনুষত্ব্য উঠে যাচ্ছে। অথচ আল্লাহ তাআলা সৃষ্টির সেরা ছিলো সেই মানুষই। কত সুন্দর করে আল্লাহ আমাদেরকে বানিয়েছেন। চোখ মন মাথা দেহ হাত পা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন দুনিয়া। কত সুন্দর ফুল পাখি পাহাড় পর্বত ঝরনা সমুদ্দুর কত কিছু দিয়েছেন আমাদের উপকারের জন্য। আর আমরা তাঁর অবদান তাঁর দয়া ভুলে পাপের পথে হেঁটে যাচ্ছি নির্দ্বিধায়। ভাল্লাগেনা আমার আর। এত শত দু:সংবাদ শুনে শুনে কেমন যেনো অন্যমনস্ক থাকছি সারাবেলা আর আল্লাহর কাছে দয়া চাইছি। আল্লাহ আমার আপনাদের পরিবারকে ডেঙ্গু মুক্ত রাখুন। সবাই যেনো সুস্থ ও নিরাপদ থাকে তাই কামনা করছি। (এগুলো আগের ঘটনা, আগের গল্প ২০১৯ সালের যখন ছবি তুলেছিলাম তখনকার, আর কিছু ছবি ইদানিংকালের)
২।
৩।
৪।
৫।
৬।
৭।
৮।
৯।
১০।
১১।
১২।
১৩।
১৪।
১৫।
১।
বৃষ্টির পরে এই পরিবেশ, লাগে আমার ভালো
চারিদিকে ঝলমলানি, সুখ ছড়ানো আলো।
বৃষ্টির ফোঁটা পাতার উপর, মুক্তোর মত জ্বলে
একটুখানি হাওয়া এলে, ফোঁটা'রা যায় গলে।
ফুলের পাপড়ি গাছের ডালে, বৃষ্টি বসে থাকে;
দূর্বাঘাস'রা সুখের বৃষ্টি, যেনো গায়ে মাখে।
হেথায় সেথায় জমে থাকে, বৃষ্টির জল'রা আহা
মনে সুখের বাজে বাঁশি, পাপিয়া পিউ কাহা।
বৃষ্টির পরে এই প্রকৃতি, সজীবতায় হাসে
ভালো লাগে হাঁটতে তখন ভেজা দূর্বাঘাসে।
আল্লাহ তোমার সুন্দর সৃষ্টি, এই দুনিয়ার সকল
মন যে আমার মুগ্ধতাতে, করে নিলো দখল।
শোকর গুজার করি মাবুদ, তোমার তরে হাজার
কী যে সুখের উচ্ছ্বাস দিলে, আমার বুকের মাঝার।
তোমার দয়া রেখো মাবুদ, সবার উপর তুমি
পূন্যি দিয়ো ভরে তুমি, মনের অথৈ ভুমি।
সুস্থ রেখো সব পরিবার, রেখো নিরাপদে
থেকো সাথে তুমি মাবুদ, সব বিপদ আপদে।
২।
এসো মুগ্ধতাতে ভিজিয়ে দেই তোমায় এবেলা,
পা ভিজে যাবে বলে থেকো না আর ঘরে বন্দি
এসব সুখ মুগ্ধতাকে, আর করো না অবহেলা
মনের দোরে তালা সেঁটে দিতে করো না আর ফন্দি।
এসো সুখ ছুঁয়ে দেই তোমার চোখের পাতায়
নগ্ন পায়ে এসো দূর্বাগাসে হাঁটি
তুমি শিরোনাম হও আজ আমার ছন্দো কাব্য খাতায়;
দেখো কী ঘ্রান ছড়ানো সোঁধা মাটি।
ছুঁয়ে দাও পাতা, জল গড়িয়ে পড়ুক তোমার হাতে
তুমি সুখ শিহরণে উঠো কেঁপে
এসো কিছু মুহুর্ত স্মৃতি করে রাখি তোমার মন ঘরে
এসো আমার সাথে...
কী হবে আর বলো পথ চলে এমন মেপে মেপে?
দেখো তাকিয়ে সুনীল আকাশ, শুভ্র মেঘের আচ্ছাদন
দেখো সোনালী ডানার উড়ন্ত চিল
এসো বাইরে, কেঁটে দাও যত অনিচ্ছার বাঁধন
এসো দেখবে এসো স্বচ্ছ জলের ঝিল।
ধরো হাত, চলো সূর্যের আলোয় মন করি বিকিকিনি
ভালোবাসার দামে সময় করি উৎসর্গ
এসো চোখে তাকিয়ে হাতে হাত রেখে দু'জনার মন চিনি
তুমি চাইলে আমি সাজিয়ে দিতে পারি আমার প্রেমের অর্ঘ।
চলো হারিয়ে যাই প্রেমে ভালোবাসায়, বৃষ্টির পরের প্রহরে
হেঁটে যাই বহুদূর পথ, নিশ্চুপ পাশাপাশি
এত কিছু মুগ্ধতার বাণী শুনেও কী প্রেম ঝড় উঠে না
তোমার মনের শহরে?
এসো আজ না হয় হোক পাশাপাশি সুখে হাসাহাসি
আর আনন্দে ভাসাভাসি।
স্যামসাং এস নাইন প্লাস দিয়ে ছবি তুলেছি। ছবি তুলেছি মতিঝিল ব্যাংক কলোনী স্কুল থেকে। ভালো থাকুন সবাই। ফি আমানিল্লাহ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০৬