somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

» আবোল তাবোল ছB (মোবাইলগ্রাফী-৯)

০২ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
০১।



আকাশ দেখিস ঠাঁয় দাঁড়িয়ে হয়ে কী তুই উর্ধ্বমুখী
সূর্যমুখী ও সূর্যমুখী,
রূপবিলিয়ে, রঙ দেখিয়ে পরে হলুদ শাড়ী,
জানিস কী তুই, মুগ্ধতায় মন নিয়েছিস কাড়ি!

চলছে ফাগুন হাওয়া, বাংলাদেশের শেষ ঋতু বসন্ত। মাতাল হাওয়া। রাস্তা দিয়ে হাঁটলে দেখি হাওয়ার তোড়ে উড়ছে ঝরা পাতারা সাথে ধুলিকণা। দৃশ্যগুলো অপূর্ব। সব গাছের পাতায় পাতায় ধুলোরা আছে লেপ্টে। পরিবেশ বিবর্ণ তবুও ভালো লাগার আবেশ। ঠাটাপুড়া গরম পড়তে আরও এক মাস বাকী। এই সময়টা ভালো লাগে। এত তীব্র গরম নেই। আর এই ফাগুনের হাত ধরে ফুটে থাকে শহর নগর গাঁও গেরামে নানা রঙের ফুল। ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম।

মাস খানেক ফেইসবুকে দেখলাম। মানুষ সুন্দরের পুজারী হলেও মন অতিরিক্ত স্বার্থপর কুৎসিত। সরষে ফুলের মাঝে নিজেদের মেলে ধরার সময় তাদের খেয়ালই ছিলো না এই জমি কোনো এক কৃষকের। যার স্বপ্নগুলো শ্রম আর ঘামের বিনিময়ে এখানে রুয়ে রেখেছে। সোনা ফলেছে কিছুদিন বাদে বেচাকেনার হাঁটে সোনার ফসল বিকিয়ে সে নিজের খোরাক কিনবে। কিন্তু অসভ্য মানুষগুলো কৃষকের সরষে ক্ষেতগুলো দুমড়ে মুছড়ে দিয়েছে। না জানি কৃষকের মনে কত দুঃখ ছিলো সেদিন।

যে মানুষগুলো অন্য মানুষের দুঃখ কষ্ট অনুভব করতে পারে না আমি তাদের মানুষ বলি না। মানুষের খোলশ কেবল তাদের গায়ে। আবার কয়েকদিন আগে দেখলাম সূর্যমুখীর ক্ষেতও অবিকলভাবে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে মানুষ কেবল সুন্দর ছবি তোলার জন্য। নিজেদের ছবি ফেসবুকে দিয়ে লাইক কমেন্ট কামিয়ে ওদের বুকে কী যে শান্তি। এক ধরণের মানুষ আছে যারা কেবল নিজের ফটো দিয়া ফেসবুকের ওয়াল ভরে ফেলে। নিজেদেরকে এরা এতই ভালোবাসে অন্যের মনের খবর নেয়ার সময়ই পায় না।

আবোল তাবোল ফটো দিলাম। আমার সময়গুলো কেমন করে যেন উধাও হয়ে যাচ্ছে জীবন থেকে। ইচ্ছা সত্ত্বেও এখানে সময় পোস্ট দিতে পারি না। অথচ ইচ্ছে করলে দিনে অনেকগুলো পোস্ট দিতে পারতাম রাজীব ভাইয়া মত হাহাহাহাহা। যাই হোক ফটো দেখিয়া ভাবিয়েন না আমি মানুষের বাগান তন ফটো তুলছি। এসব ফুল আমাদের ব্যাংকের বাগান আর ছাদ বাগান থাইকা তুলছি। ক্যামেরা ছিলো স্যামসাং এস নাইন প্লাস।

০২। মিহি রঙ গোলাপের, তোমার মন কেমন গো,
পাথরের রঙ যেমন, নাকি মন তেমন গো?
আমি যদি হই গোলাপ, তুমি হও পাথর,
মৌমাছি হয়ে উড়ে বসো চোখে,
ফুটাও কথার হুল, আমি ব্যথায় কাতর।



০৩। তুমি গোলাপ হও, আমি শিশির হবো, ঝরবো বুকে
যদি না মেলো প্রেম পাপড়ির ডানা,
আদালতে মামলা দেবো টুকে,
তুমি গোলাপ পাপড়ির মত হও নরম আবেগী
আমি শিশির হবো, নিশিতে তোমার লাগি রবো জাগি,
এসো মন কাননে হয়ে গোলাপ ফুল,
ভালোবাসায় মাখামাখি, হলে হোক কিছু ভুল।



০৪। বলেছিলি খোঁপায় তুলে দিবি হলুদ গাঁদা,
মনে আমার লাগিয়ে দিবি প্রেম ধাঁধা,
কত বসন্ত এলো, বদলালো ক্যালেন্ডারের পাতা,
আমার মনে খুললি না তুই প্রেমের খাতা।



০৫। না না আমি রক্ত রঙ গোলাপ চাই না, গোলাপের কেন হবে রক্ত রঙ
হৃদয় ছিঁড়ে যে রক্তক্ষরণ, তার রঙও কি লাল? বরং
তুই গোলাপী গোলাপ দিস উপহারে আমায়,
অথবা সাদা গোলাপ,
যার ঘ্রাণে মাতাল হয়ে সময় যেন তোর সম্মুখেই নিয়ে থামায়,
বলে দেবো ভালোবাসি,
মনের তারে একদিন বাজাতে পারিস না মোহ সুর বাঁশি?



০৬। ঝরে পড়লে ফুল, তাতে কী বৃক্ষের ভুল,
যতটুকু আয়ূ যাবে ক্ষয়ে, নড়বে না সময় এক চুল,
ঝরে ফুল হতে শেখার যে আছে অনেক কিছু,
ফুল তার ঘ্রাণ বিলায়, বিলায় সুন্দর,
তারপর অগোচরে যায় ঝরে, আর আমরা মানুষ
নিজ স্বার্থেই কেবল নেই ধরার মোহ পিছু।



০৭। ইহা চন্দ্রপ্রভা ফুল
হিমুরা আজ একলা থাকতে নারাজ, থাকতে চায় বন্ধু ঘেঁষে,
হই হুল্লোড়, উচ্ছাসে ফেটে পড়ে কাটাতে চায় জীবন হেসে হেসে,
হিমু'রা দলবদ্ধ হয়ে মানবতার কর্মে হতে চায় লিপ্ত,
অন্যায় দেখলেই হিমু'রা হয়ে উঠে ক্ষিপ্ত!
আহা এমন যদি হতো! অন্যায়ের বিরুদ্ধে হিমু'রা উঠাতো হাত,
সুখালো, মানবতার আলো ঝলমল করে উঠতো রোজ প্রভাত।
ডিভাইস-স্যামসাং এস নাইন প্লাস



০৮। বেগুনী রঙ দুঃখগুলো রেখে দিলাম শিম ফুলে
তুমি আমার অভিমানগুলো তুলে নিয়ো ভুলে;
রেখে দিয়ো বুক পকেটে, কখনো মায়া হলে আমার জন্য,
অভিমান ভাঙ্গাতে এসে করো ধন্য।
এবেলা বেগুনী শিম ফুলে কিছু দুঃখ তুলে রাখি,
এই জানো কী, বিষাদে মন পুড়ে ছাই, জলে ভেজা আঁখি।



০৯। মন আমার চিরসবুজ সে তুমি জানো,
তবে কেন বয়সের ফ্যাসাদে আমায় টানো,
মন আমার সবুজের মাঝখানে ধবধবে সাদা ফুল
শুদ্ধ মন বিচরণ করতে কেন তবে হারাও কূল?



১০। ম্যাজেন্ডা রঙ শাড়ী গায়ে, সবুজ তার পাড়,
তুমি গেঁথে দাও ম্যাজেন্ডা ফুল চুলে,
মনে তুলো প্রেমের ঢেউ, ভালোবেসে তুলো ঝড় তুলপাড়
খোঁজ নাও মনের বাপু, মন যে বসন্তের হাওয়া দুদ্যোল দুলে।



১১। প্রজাপতি দিনগুলোয় তুমি বিষাদে করে দাও সয়লাব
ডানা আছে তবুও যেন ডানা ভাঙ্গা, ডানা থেকেই বা কী লাভ;
আমি খঞ্জ হতে চাই, আর তুমি হুতোম পেঁচা,
বন্দি করতে চাও আমায় আর আমি ভাঙ্গতে চাই খাঁচা।



১২।
নীল ছিলো না হাতের চুড়ি, রঙ ছিলো তার সবুজ
নীলের রঙের পরতে চুড়ি, মন হয়ে যায় অবুঝ!
রিনিঝিনি হলুদ সবুজ, দু'হাত ভরা চুড়ি
নীল শাড়িতে সাজলে, মনে, ফুটে প্রেমের কুঁড়ি।

এই দিবে কি কিনে আমায় চুড়ি হাজার ডজন
এমন বায়না বন্ধুর কাছে রাখে বলো ক'জন?
হলামই বা বুড়ি আমি শখের তোলা আশি
দিলে আমায় চুড়ি তোফা বলবো ভালোবাসি।

দু'হাত ভরে পরবো চুড়ি নীল শাড়িতে সেজে
দেখলে আমায় যাবে মনে প্রেমের বাজনা বেজে।



১৩। ঝরা বকুলের যে কী মাতাল ঘ্রাণ, তুমি কী কখনো টেনেছো নাকে,
কেবল টাকা গুনে গুনে কাটাও দিন, বসন্ত দিন গেলো ফাঁকে
তোমার বসন্ত আসে না, আসে না ফাগুন,
তুমি গ্রীষ্ম, চৈত্রের আগুন।
আর আমি বকুল ফুলের ঘ্রাণে মাতাল হই, দেখি প্রকৃতির মনোহারী রূপ,
আমার মুগ্ধতার কথা তোমাকে জানালে তুমি থাকো চুপ।



১৪। সবুজ পেয়ারায় দাঁত লাগানোর দিনগুলো শেষের দিকে,
বুড়ো মনে সবুজ স্বপ্নগুলো হয়ে গেলো ফিকে,
দেহে ভর করেছে রোগ পোকা,
এখনো মনে শক্তি পুষি কী বোকা!
দাঁতগুলো নেই আগের মতন শক্ত,
আমি এখন হয়ে পড়েছি নরম খাদ্যের অনুরক্ত।



সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:১৩
১৫টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×