আকাশ দেখিস ঠাঁয় দাঁড়িয়ে হয়ে কী তুই উর্ধ্বমুখী
সূর্যমুখী ও সূর্যমুখী,
রূপবিলিয়ে, রঙ দেখিয়ে পরে হলুদ শাড়ী,
জানিস কী তুই, মুগ্ধতায় মন নিয়েছিস কাড়ি!
চলছে ফাগুন হাওয়া, বাংলাদেশের শেষ ঋতু বসন্ত। মাতাল হাওয়া। রাস্তা দিয়ে হাঁটলে দেখি হাওয়ার তোড়ে উড়ছে ঝরা পাতারা সাথে ধুলিকণা। দৃশ্যগুলো অপূর্ব। সব গাছের পাতায় পাতায় ধুলোরা আছে লেপ্টে। পরিবেশ বিবর্ণ তবুও ভালো লাগার আবেশ। ঠাটাপুড়া গরম পড়তে আরও এক মাস বাকী। এই সময়টা ভালো লাগে। এত তীব্র গরম নেই। আর এই ফাগুনের হাত ধরে ফুটে থাকে শহর নগর গাঁও গেরামে নানা রঙের ফুল। ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম।
মাস খানেক ফেইসবুকে দেখলাম। মানুষ সুন্দরের পুজারী হলেও মন অতিরিক্ত স্বার্থপর কুৎসিত। সরষে ফুলের মাঝে নিজেদের মেলে ধরার সময় তাদের খেয়ালই ছিলো না এই জমি কোনো এক কৃষকের। যার স্বপ্নগুলো শ্রম আর ঘামের বিনিময়ে এখানে রুয়ে রেখেছে। সোনা ফলেছে কিছুদিন বাদে বেচাকেনার হাঁটে সোনার ফসল বিকিয়ে সে নিজের খোরাক কিনবে। কিন্তু অসভ্য মানুষগুলো কৃষকের সরষে ক্ষেতগুলো দুমড়ে মুছড়ে দিয়েছে। না জানি কৃষকের মনে কত দুঃখ ছিলো সেদিন।
যে মানুষগুলো অন্য মানুষের দুঃখ কষ্ট অনুভব করতে পারে না আমি তাদের মানুষ বলি না। মানুষের খোলশ কেবল তাদের গায়ে। আবার কয়েকদিন আগে দেখলাম সূর্যমুখীর ক্ষেতও অবিকলভাবে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে মানুষ কেবল সুন্দর ছবি তোলার জন্য। নিজেদের ছবি ফেসবুকে দিয়ে লাইক কমেন্ট কামিয়ে ওদের বুকে কী যে শান্তি। এক ধরণের মানুষ আছে যারা কেবল নিজের ফটো দিয়া ফেসবুকের ওয়াল ভরে ফেলে। নিজেদেরকে এরা এতই ভালোবাসে অন্যের মনের খবর নেয়ার সময়ই পায় না।
আবোল তাবোল ফটো দিলাম। আমার সময়গুলো কেমন করে যেন উধাও হয়ে যাচ্ছে জীবন থেকে। ইচ্ছা সত্ত্বেও এখানে সময় পোস্ট দিতে পারি না। অথচ ইচ্ছে করলে দিনে অনেকগুলো পোস্ট দিতে পারতাম রাজীব ভাইয়া মত হাহাহাহাহা। যাই হোক ফটো দেখিয়া ভাবিয়েন না আমি মানুষের বাগান তন ফটো তুলছি। এসব ফুল আমাদের ব্যাংকের বাগান আর ছাদ বাগান থাইকা তুলছি। ক্যামেরা ছিলো স্যামসাং এস নাইন প্লাস।
০২। মিহি রঙ গোলাপের, তোমার মন কেমন গো,
পাথরের রঙ যেমন, নাকি মন তেমন গো?
আমি যদি হই গোলাপ, তুমি হও পাথর,
মৌমাছি হয়ে উড়ে বসো চোখে,
ফুটাও কথার হুল, আমি ব্যথায় কাতর।
০৩। তুমি গোলাপ হও, আমি শিশির হবো, ঝরবো বুকে
যদি না মেলো প্রেম পাপড়ির ডানা,
আদালতে মামলা দেবো টুকে,
তুমি গোলাপ পাপড়ির মত হও নরম আবেগী
আমি শিশির হবো, নিশিতে তোমার লাগি রবো জাগি,
এসো মন কাননে হয়ে গোলাপ ফুল,
ভালোবাসায় মাখামাখি, হলে হোক কিছু ভুল।
০৪। বলেছিলি খোঁপায় তুলে দিবি হলুদ গাঁদা,
মনে আমার লাগিয়ে দিবি প্রেম ধাঁধা,
কত বসন্ত এলো, বদলালো ক্যালেন্ডারের পাতা,
আমার মনে খুললি না তুই প্রেমের খাতা।
০৫। না না আমি রক্ত রঙ গোলাপ চাই না, গোলাপের কেন হবে রক্ত রঙ
হৃদয় ছিঁড়ে যে রক্তক্ষরণ, তার রঙও কি লাল? বরং
তুই গোলাপী গোলাপ দিস উপহারে আমায়,
অথবা সাদা গোলাপ,
যার ঘ্রাণে মাতাল হয়ে সময় যেন তোর সম্মুখেই নিয়ে থামায়,
বলে দেবো ভালোবাসি,
মনের তারে একদিন বাজাতে পারিস না মোহ সুর বাঁশি?
০৬। ঝরে পড়লে ফুল, তাতে কী বৃক্ষের ভুল,
যতটুকু আয়ূ যাবে ক্ষয়ে, নড়বে না সময় এক চুল,
ঝরে ফুল হতে শেখার যে আছে অনেক কিছু,
ফুল তার ঘ্রাণ বিলায়, বিলায় সুন্দর,
তারপর অগোচরে যায় ঝরে, আর আমরা মানুষ
নিজ স্বার্থেই কেবল নেই ধরার মোহ পিছু।
০৭। ইহা চন্দ্রপ্রভা ফুল
হিমুরা আজ একলা থাকতে নারাজ, থাকতে চায় বন্ধু ঘেঁষে,
হই হুল্লোড়, উচ্ছাসে ফেটে পড়ে কাটাতে চায় জীবন হেসে হেসে,
হিমু'রা দলবদ্ধ হয়ে মানবতার কর্মে হতে চায় লিপ্ত,
অন্যায় দেখলেই হিমু'রা হয়ে উঠে ক্ষিপ্ত!
আহা এমন যদি হতো! অন্যায়ের বিরুদ্ধে হিমু'রা উঠাতো হাত,
সুখালো, মানবতার আলো ঝলমল করে উঠতো রোজ প্রভাত।
ডিভাইস-স্যামসাং এস নাইন প্লাস
০৮। বেগুনী রঙ দুঃখগুলো রেখে দিলাম শিম ফুলে
তুমি আমার অভিমানগুলো তুলে নিয়ো ভুলে;
রেখে দিয়ো বুক পকেটে, কখনো মায়া হলে আমার জন্য,
অভিমান ভাঙ্গাতে এসে করো ধন্য।
এবেলা বেগুনী শিম ফুলে কিছু দুঃখ তুলে রাখি,
এই জানো কী, বিষাদে মন পুড়ে ছাই, জলে ভেজা আঁখি।
০৯। মন আমার চিরসবুজ সে তুমি জানো,
তবে কেন বয়সের ফ্যাসাদে আমায় টানো,
মন আমার সবুজের মাঝখানে ধবধবে সাদা ফুল
শুদ্ধ মন বিচরণ করতে কেন তবে হারাও কূল?
১০। ম্যাজেন্ডা রঙ শাড়ী গায়ে, সবুজ তার পাড়,
তুমি গেঁথে দাও ম্যাজেন্ডা ফুল চুলে,
মনে তুলো প্রেমের ঢেউ, ভালোবেসে তুলো ঝড় তুলপাড়
খোঁজ নাও মনের বাপু, মন যে বসন্তের হাওয়া দুদ্যোল দুলে।
১১। প্রজাপতি দিনগুলোয় তুমি বিষাদে করে দাও সয়লাব
ডানা আছে তবুও যেন ডানা ভাঙ্গা, ডানা থেকেই বা কী লাভ;
আমি খঞ্জ হতে চাই, আর তুমি হুতোম পেঁচা,
বন্দি করতে চাও আমায় আর আমি ভাঙ্গতে চাই খাঁচা।
১২।
নীল ছিলো না হাতের চুড়ি, রঙ ছিলো তার সবুজ
নীলের রঙের পরতে চুড়ি, মন হয়ে যায় অবুঝ!
রিনিঝিনি হলুদ সবুজ, দু'হাত ভরা চুড়ি
নীল শাড়িতে সাজলে, মনে, ফুটে প্রেমের কুঁড়ি।
এই দিবে কি কিনে আমায় চুড়ি হাজার ডজন
এমন বায়না বন্ধুর কাছে রাখে বলো ক'জন?
হলামই বা বুড়ি আমি শখের তোলা আশি
দিলে আমায় চুড়ি তোফা বলবো ভালোবাসি।
দু'হাত ভরে পরবো চুড়ি নীল শাড়িতে সেজে
দেখলে আমায় যাবে মনে প্রেমের বাজনা বেজে।
১৩। ঝরা বকুলের যে কী মাতাল ঘ্রাণ, তুমি কী কখনো টেনেছো নাকে,
কেবল টাকা গুনে গুনে কাটাও দিন, বসন্ত দিন গেলো ফাঁকে
তোমার বসন্ত আসে না, আসে না ফাগুন,
তুমি গ্রীষ্ম, চৈত্রের আগুন।
আর আমি বকুল ফুলের ঘ্রাণে মাতাল হই, দেখি প্রকৃতির মনোহারী রূপ,
আমার মুগ্ধতার কথা তোমাকে জানালে তুমি থাকো চুপ।
১৪। সবুজ পেয়ারায় দাঁত লাগানোর দিনগুলো শেষের দিকে,
বুড়ো মনে সবুজ স্বপ্নগুলো হয়ে গেলো ফিকে,
দেহে ভর করেছে রোগ পোকা,
এখনো মনে শক্তি পুষি কী বোকা!
দাঁতগুলো নেই আগের মতন শক্ত,
আমি এখন হয়ে পড়েছি নরম খাদ্যের অনুরক্ত।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:১৩