©কাজী ফাতেমা ছবি
নিশ্চুপ নিরবতায় কেটে যায় সময়,
ঝাঁঝাল স্ক্রীণে চোখ রেখে আর কত ভালো থাকা যায়,
বিতৃষ্ণার আড়ালে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে যায় এক নিমেষে,
বন্ধ চোখ খুলেই দেখি...
মুক্তির দেয়ালে আঁকা পিঞ্জিরার ছবি,
এ দেয়াল কাটবো কী করে, পথ নেই আর জানা!
নেই দিন নেই রাত, সমান্তরাল পথ ধরে ছুটে চলেছি
কোথায় গিয়ে থামবো শেষে,নেই জানা গন্তব্যের ঠিকানা,
আলোকিত ধরা কখন যে হয়ে গেলো অন্ধকার,
ছুটে চলা পথে কখন পড়লো অদৃশ্য ব্যারিকেড,
কখন যে পায়ে অস্পৃশ্য এক বেড়ী পড়ে নিলাম
কে ভেবেছিলো এমন দিনও আসতে পারে জীবনে!
মানুষ এগিয়ে যাবে সাফল্যের হাত ধরে,
নিত্য নৈমিত্তিক জীবন আরো সহজ করার মানসে
আবিস্কারের গায়ে ঠুকবে মাথা,
আলোচনায় উঠে আসবে বিজ্ঞানীদের নানা আবিস্কার!
সেই সাফল্যের সন্ধিক্ষণে করোনা আলোচনা
মোড় ঘুরিয়ে আবিস্কারের বুকে মারলো পাথুরে আঘাত,
মুখ থুবড়ে বিজ্ঞান ধুলায় শুয়ে এখনো।
গত রমজানেও কী কেউ ভেবেছিলো এমন
নিরবতার কোলে বসে অনাড়ম্বর ইফতার হবে আয়োজন,
কে ভেবেছিলো এবার ঈদের পোষাকও হবে না কেনা,
কেউ কি জানতো ইফতার পার্টি সেহরি পার্টি হবে না এবার,
দল বেঁধে গলা ছেড়ে হবে না পার্টির উৎসব,
নেচে গেয়ে উঠবে না মেতে এ বছর আর ঈদ পূনর্মিলনীতে।
পাপের সমুদ্দুরে ডুবে কেউ ভাবেনি আসবে এমন দুঃসময়,
খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে এবার চড়া মূল্যে হবে না পণ্য বিক্রয়,
ভাবেনি সেই ঠিকাদার এবার পাবে না টেন্ডার
নকল জিনিসে রাস্তার মেরামত, নকল উপকরণে প্রাসাদ তৈরী হবে না,
হবে না অন্যায়ের বুকে বসে অতিরিক্ত অর্থ কামানো,
অফিসের অধঃস্তনও ভাবেনি তৈল মর্দন করে
হাতানো যাবে না এবারের প্রমোশনটাও!
চারিদিকে শত কোটি অন্যায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠার ক্ষণে
ভাবেনি কেউ আসবে না এমন ক্রান্তিকাল।
মহান আল্লাহ কেবল দেখে, শুনে, জেনে গিয়েছেন
মানুষ হয়নি সতর্ক, বেলাল্লাপনায় মেতে মানুষ
উঠে গিয়েছিলো অন্যায়ের শীর্ষ শিখরে,
পাপের পর পাপ, মানুষ যেনো দুনিয়ার বাদশা,
বুক ফুলিয়ে এখনো মানুষ হেঁটে যায় পাপের পথেই,
এখনো মানুষ দুর্নীতিতে নেয় অংশগ্রহণ,
এখনো মিথ্যের নায়ে ভেসে, যেতে চায় মোহপুরে।
চারিদিকের মৃত্যুর সুরাসুর শুনেও মানুষের বুকে নেই
একফোঁটা মৃত্যু ভয়, তবে আর কবে শুধরাবে মানুষ?
(২৬/০৪/২০২০)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৩৯