somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাব্য কণা (১০৩-১২২)

২৯ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১০৩।
চোখের কোণে আলোর প্রহর-মনের ভিতর আঁধার জ্বলে
ভাল্লাগে না ক্ষনগুলো এই। ধ্যত্তেরি ছাই!
ঠোটেঁ হাসি ধরে আছি ভালো থাকার ছলে।
২৮-০৯-২০১৭

১০৪।
বুকের বাম কোণাটায় দিবানিশি স্বপ্ন বুনি,
চারিদিকে স্বপ্ন সুতোয় নীড় বুনে মধ্যিখানে বসে প্রহর গুনি
কে যেনো সহসা ছিটিয়ে দেয় ধূলো,
ঝাপসা হয় স্বপ্নগুলো,
খসে পড়ে নীড়
কষ্ট বাড়ায় ভিড়
আর আমি মাকড়শার মত পিলপিল হেঁটে দেয়ালে ঠেসে দেই পিঠ,সয় না
দেয়ালে ঠেকলেও পিঠ,স্বপ্ন নিয়ে লড়া হয় না।
২৮-০৯-২০১৭

১০৫।
চোখের সীমা ছুঁয়ে বৃষ্টিরা পড়ছে অক্ষর হয়ে,
ধপাস পড়ে ফেটে যায়,শব্দ ঝংকারে শুনি বৃষ্টি,
আহা পর্দার ফাঁকে আমার বৃষ্টি আকাশ,
আছে নারিকেল পাতা,আম গাছের পরগাছা
আর ভেজা কাক প্রহর
আর মানি প্লান্টের বৃষ্টির ফোঁটা মুগ্ধতা, স্নিগ্ধতা ভালবাসি।
২৯-০৯-২০১৭

১০৬।
জীবন খেলাঘরের এপাশে তুমি ওপাশে আমি,
যুগ ধরে হয়ে আছি প্রতিপক্ষ,
কথার বল ছুঁড়ে মারো
অবেলায় হা করে গোলবক্স হয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে কেবল গোল হজম করে যাচ্ছি,
তুমি সীমাহীন আনন্দে বীরদর্পে এগিয়ে যাচ্ছো তোমার পথে তোমার মতই,
তুমিই হতে থাক জয়ী অনন্তকাল পর্যন্ত, তৃপ্তি কি তবে পেয়েছিলে এই পর্যন্ত?
২৯-০৯-২০১৭

১০৭।
ঘাসপাতা পোকামাকড়,আহা কত রঙে ভরা দেহ,মানুষেরা কেবল সৌন্দর্য্য বিনাশে মত্ত,রঙিন জোড়া পাখি দেখলেই-আহ খেতে মজাই লাগবে,চলো শিকার করি!
৩০-০৯-২০১৭

১০৮।
জারুলফ্রেমে বেঁধেছি অব্যক্ত যন্ত্রণা,
ফিরে আসেনা সুখ মুহুর্ত,নেই কোনো সুখসুর মন্ত্রণা,
সময় যায় যাক না,
ব্যথার সুর বুকে লেগে থাকে থাকনা
৩০-০৯-২০১৭

১০৯।
জীবন পরতে পরতে টুকরো ভালবাসারা বালি হয়,
না যায় মুঠোয় পুরা,
না যায় আঁচলে রাখা,
ঝরঝর ঝরে যায়,
জীবনাকাশে ধুলির ঝড়,
ঝরে পড়ে ভালোবাসা অবেলায়।
০১-১০-২০১৭

১১০।
বুক মরুর খাঁখাঁ প্রান্তর,
তৃষ্ণায় কাঁপে অন্তর
লাগেনা ভাল কিছু
ছায়া হয়ে দুঃখ নিলো পিছু,ওড়ছি সাইমুম ঝড়ে,
ঝড়ো হাওয়ায় বালিতে নীলব্যথা ঝরে।
০১-১০-২০১৭

১১১।
পানসে সময়,চোখে ঝিমুনি ঘুম,মনে আকুলি বিকুলি তৃষ্ণা
এক পেয়ালা গরম চায়ে ঠোঁট ডুবাবো,এই সঙ্গ দেবে কি?
এসো-মাঝে টেবিল-মুখোমুখি তুমি আমি।
০২-১০-২০১৭

১১২।
তাক করে আমার দিকে মারো কথার তীর-
তীর যে বিঁধে বুকে,ব্যথা বাড়ায় ভিড়
চারিদিকে তীরফলা,ওমা একি কান্ড,
বন্দি আমায় করলে বুঝি,পাই কষ্ট দন্ড
০২-১০-২০১৭

১১৩।
গোধূলীর গা ছুঁয়ে আশ্বিন সন্ধ্যা ডেকে আনে
উপরে লাল আভা নিচে আবছা আঁধারী রং,
টানে আমায় পিছু টানে;
কতকাল দেখিনি দূর্বাঘাসে বসে পশ্চিমে সূর্যডোবা
হারায় হারায় সব দৃশ্য মনোলোভা।
০৩-১০-২১

১১৪।
আলোছায়ার পথ,কেউ হেঁটে শান্তি খুঁজে,কেউ খুঁজে গন্তব্য,
বৃক্ষের ফোঁকর গলে এক টুকরো চাঁদালোর প্রহর,
কে আর উঁকি দিয়ে দেখে কী মুগ্ধতা পুরো আকাশ জুড়ে,
এখানে অট্টালিকার ফাঁকে রূপার আলো কাছে টানি;
একটা উঠোন থাকলে মন্দ হতো না!
শীতলপাটিতে বসে চাঁদালোয় স্নান করতাম।
০৪-১০-২০১৭

১১৫।
উপর নিচ ডানবাম যেদিক তাকাই ক্লান্তির তীর এসে চোখে বিধেঁ
ঘুমচোখে গুনি প্রহর
আহ্ কখন যে লেগে গেছে চায়ের খিদে এই চলো চা পানে হই মত্ত
০৫-১০-২০১৭

১১৬।
বিদ্যুৎ পানি যার আছে সে ধনবান,সুখ শান্তির পরিবার,
যার নাই এসব কিছু তার সাধ্যি কি শান্তি আঁকড়ে ধরিবার।
পুড়ছি আজ-এই শহরের মাঝ।
০৬-১০-২০১৭

১১৭।
একফোঁটা আঁধারে কেঁপে উঠে বুক,
আতংক এসে গলা শুকিয়ে দেয়,
অথচ অথৈ আঁধার যখন আলিঙ্গনে জড়াবে,
আমি কি তখন মুক্ত হতে আপ্রাণ চেষ্টায় হবো কাতর!
বৃথা সব চেষ্টা,বন্ধ চোখে দেখি গোরের আঁধার।
০৬-১০-২০১৭

১১৮।
টুকরো টুকরো সুখ নীলাভ সিরামিক ব্যাংকে জমিয়ে আমি একদিন পাহাড় ছুঁতে যাব।
যতগুলো অভিমান বুকের গভীরে কান্না হয়,
ঝর্ণার কাছে বিকিয়ে আসব!
পাগুলো দেবে যাবে স্বচ্ছ জলের গভীরে
হীম জলের ছোঁয়ার দেহমনের তিক্ততা বিনামুল্যে ঢেলে দেব নেমে আসা ঝর্ণার গভীর ডহরে।
০৭-১০-২০১৭

১১৯।
চোখ ধাঁধানো গাঢ় রঙ আচ্ছন্ন করে রাখে-সে এক মোহ রঙ।
মানুষেরও রঙ আছে,মুখোশের রঙ, সে এক বিভ্রান্ত রঙ।
মুখ দেখে যায় না বুঝা,
থাকা লাগে মন ঘেঁষে,
রঙ দেখে আচ্ছন্ন নয়, চোখ সওয়া রঙ বেচে নাও,
মুখ দেখে ভালবেসো না, সঙ্গে থেকে পরখ করে নাও।
০৮-১০-২০১৭
১২০।
ক্লান্তির ছায়া ঘিরে ধরে আছে- চোখ
জ্বলুনি-তে কেটে যায় অযস্র প্রহর
ভাবনাগুলো হারায় কাজের তোপে
কেবল কষ্টে ভিজে যায় মনের শহর।
০৯-১০-২০১৭

১২১।
হাসিতে মুক্তো ঝরে-তা আর বলি-নে বাপু
হাসো ঠিকই-দাঁত লাগে তরমুজ বীচি
ভিতরে অহম পুষো-বাহিরেতে লোক দেখানো হাসো মিছেমিছি। ধুচ্ছাই!
১১-৬-২১

১২২।
বুকজুড়ে ব্যথার আঁচড়, ভয়ংকর কথার নখরে ক্ষতবিক্ষত করো
কী আমায় ভালো লাগা হতে ফিরিয়ে রাখতে পেরেছো?
তবুো আমি শান্তির থালায় সুখ গিলি আর তুমি গুমরো মুখে বসে অশান্তির গ্লাসে বিতৃষ্ণা গিলো।
০৫-১০-২০১৭


সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×