somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

» নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৫ (চলুন আকাশ দেখি, মন রাখি শুদ্ধ)

১১ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
০১।



বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ক্যামেরায় তোলা আকাশের ছবি। আমার মোবাইল ভর্তি আকাশ আর চা, প্রাকৃতিক সিনারী। মানুষ তুলে সেলফি আর আমি তুমি প্রকৃতি। প্রকৃতি ভালোবাসি তাই প্রকৃতিকেই রাখি মনের আয়নায়। ।

আকাশের সাথে সবগুলো লিখাই সংক্ষিপ্ত।

=বালিচর আকাশ ছুঁয়ে উড়ে লাল সবুজ পতাকা=
বয়স তার পঞ্চাশ, সুবর্ণ জয়ন্তি, স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দি
স্বাধীন মানুষের মনে সুখের রঙবাহারী রঙ,
আনন্দে গেয়ে উঠবে, উঠবে নেচে..... স্বাধীনতার দিনে
সহসা আনন্দে নেমে আসলো অযাচিত খরা!

যে যার মত মুক্ত আকাশে উড়াবে স্বাধীনতার ফানুস,
ঘুরবে যত্রতত্র লাল সবুজ রঙ বসন সেজে
জানতো কী কেউ জনতার চলাফেরায় নেমে আসবে অমানিশা,
ঝলমলে আকাশটাও বিবর্ণতার যাবে ছেয়ে!
=====================================================

০২। =সুখি সুখি সময়গুলো পিছনে পরে রয়=
নিস্তেজ রোদ্দুর, খোলা হাওয়া, প্রশস্ত আকাশ,
যেখানে শিশির, প্রজাপতি আর লাল নীল ফড়িংয়ের বসবাস,
সুখি সুখি দিনগুলো সেই জমা হয় অতীতের খাতায়,
জীবন যেন মেঘের মত, কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি
কত দুঃখ সুখ জমা হয় জীবনের পাতায় পাতায়।

সবুজ গাঁয়ের মধ্যিখানে পিচ ঢালা পথ, পথের উপর আকাশ,
সুখ টানতে গিয়ে ফেলি বিষাদের দীর্ঘশ্বাস;
কী যে এক ভালো লাগায় সময় আমার ভরপুর,
এই সুখগুলোও অতীত হয়, যেমন শৈশব কৈশোর
অতীত হয়ে জীবন এখন মধ্যদুপুর।



০৩। ০৪। =কাঠের পৈঠায় বসে সুখ করি রোমন্থণ=
পা ডুবিয়ে বসে আছি স্বচ্ছ পুকুরের জলে,
কী মনোলোভা আকাশের রূপ জলের তলে,
মেঘ'রা ভেসে বেড়ায় যেন জলের মাঝে,
মেঘের ডানায় আমিও ভাসি, কী সুখ বুকের ভাঁজে।

তাল খেঁজুরের পুকুর পাড়ে, বিছানো এক পাহাড় সুখ
আমি মুগ্ধতা খুঁজি, এ যে মনের দারুণ অসুখ,
সুখে খাই লুটোপুটি, চোখের সম্মুখে স্বচ্ছ জল পুকুর
সারি সারি বৃক্ষের ডালে ঝুলে আছে শত অঙ্কুর!



০৪। =সূর্য ডুবে গিয়ে নিয়ে আসিস আশার আলো=
এবেলা ডুবে যা সূর্য, সাথে করে নিয়ে যা করোনা রোগ,
আঁধারে তলিয়ে দিস, এ যন্ত্রণা আর করতে পারছি না ভোগ,
অদৃশ্য জীবানোর দাপটে পুরো বিশ্ব নাজেহাল,
পথঘাট, জনজীবন লন্ডভন্ড, হলো যে বেহাল।

সূর্য তুই গ্রীষ্ম তাপে পুড়িয়ে করোনা, পশ্চিমে যাস ফিরে
আগত দিনে পূর্বাশায় জেগে উঠিস আশার আলো নিয়ে ধীরে,
চৈত্র হয়ে ঝরছিস, তবুও যে করোনারা যায় না মরে,
তার তান্ডবে মানুষ আজ বন্দি ঘরে ঘরে।



০৫। =সূর্যটা ঝুলে থাক্ আজ বৈদ্যুতিক তারে=
আটকে দিলাম তোকে,
মরবি ডুবে না যাওয়ার শোকে,
সময় নিয়ে পালাবি আর তুই,
বিকেল হলেই দিন আঁধার করে ফেলিস নিতুই!

পালাবি কোথায়,
রাখলাম বেঁধে বৈদ্যুতিক সুতায়;
একটি বিকেল হোক্ না লম্বা, হোক দীর্ঘ আরও,
তুই আকাশের বুক করে রাখিস লালাভায় গাঢ়!

ও সূর্য,
কেন বাজাস্ চলে যাওয়ার তূর্য,
তারে ঝুলে রোদটুকু আজ নিস্ মেখে গায়ে,
পথ নেই পালাবার আজ তোর, পথ নেই ডানে বায়ে।



০৬। =অনুভবে আল্লাহর জিকির=
রঙ বদলের আকাশ, এক নিমিষের বদলে যায় রঙ
কখনো তার বুক ফাঁকা, কখনো হয়ে উঠে বেরঙ,
একটি আকাশ বুকে তার কত গল্প আঁকা,
কখনো আকাশের বুক নীল সামিয়ানায় ঢাকা।

কখনো ঘন কালো মেঘেদের আস্ফালন
মেঘেদের নিয়ন্ত্রক মহানুভব করেন সব সঞ্চালন,
সুবহানআল্লাহ বলে উঠি
বিবর্ণ মেঘ'রা নিলে ছুটি,
মেঘের পাহাড় কখনো আকাশের বুকে হয় আনাগোনা,
কালো মেঘের ঘর্ষনে বজ্র নিনাদ কখনো
কান পাতলেই যায় শোনা!



০৭। =শুকনো মাটিতে জলের হাহাকার=
জল গেল হারিয়ে অথৈ মাটির তলে,
বৃষ্টি উধাও, আকাশে সীমাহীন রোদ্দুর ঝলকানি,
তপ্ত হাওয়ায় জমিন খাঁখা ধুঁধু প্রান্তর,
এবেলা বৃষ্টির আকাঙ্ক্ষায় প্রার্থনায় রত নিশ্চুপ।

চাপকল জলশূন্য, পুকুর শুকিয়ে কাঠ,
ধুলোবালি ওড়ে তীব্র তপ্ত হাওয়ায়,
কী জানি এক বিপদের হাতছানি,
বৃষ্টি চাইছি প্রভু, ভরে দাও ধরা জলের ঢেউয়ে।



০৮। =মানুষ মেঘের মত যদি হত!
মানুষ যেন পাথরের পাহাড়, ইট পাথর,
অন্যের অসম্মানে, অন্যের ব্যথায় হয় না কাতর,
মানুষের মন মেঘের মত কেনো হয় না!
অন্যের সুখ অন্যের সাফল্যে মানুষের কেনো সয় না!

মানুষের আবেগ বর্তমানে কঠিন বেড়াজালে বন্দি,
কে কাকে, কেমন করে ঠকাবে, দিনরাত করে ফন্দি,
নানুষের মন কাশফুলের মত হয় না কেন নরম,
মানুষ যেন দুপুর সূর্য, মেজাজ,আকাশ সম গরম।



০৯। =একটি ফুলেল আকাশ তোমায় দিলাম=
এত হতাশ হয়ো নাতো, মনে জাগাও উচ্ছাসের সুর,
এত বিমর্ষ থেকো নাতো, বিষাদ ভাগাও দূর বহুদূর,
এই নাও তোমায় দিলাম একটি ফুলেল আকাশ,
তাকাও মুগ্ধ নয়য়নে, ফেলো না আর দীর্ঘশ্বাস।

মহাকালের তান্ডব, সেতো আছেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পাশে,
কী আর করা যায় বলো, আর কত মরবো তার ত্রাসে,
যা হয় হবে, আল্লাহর নাম জপে না হয় থাকি সতর্ক,
চলো আকাশ দেখি খোলা ছাদে, যাবো না বলে
দেখিয়ো না যুক্তি, করো না তর্ক!



১০। =বিশাল মেঘ আকাশের নিচে দাড়িয়ে=
আকাশের নীলে তাকিয়ে ভাবি, এত বেদনার রঙ তার বুকে,
কী করে আকাশ সয়ে নেয় ব্যিথার পাহাড়, আলো ছড়িয়ে হাসে সুখে;
এতটুকুন ছোট জীবন অথচ এক বিন্দু নীলে যদি ছেয়ে যায় মন আকাশ
সব সুখ ভুলে, সব প্রাপ্তি ভুলে বুকে উঠে সমুদ্দুর দীর্ঘশ্বাস।

একটি আকাশ তার বুকে বিনামূল্যে জায়গা দিয়েছে সূর্যটাকে,
স্থান দিয়েছে শুভ্র, কালো, নীল, রঙবাহারী মেঘেদের,
কত মেঘ কত বৃষ্টি স্থান করে নিয়েছে আকাশের ফা‌ঁকে ফা‌ঁপকে;
অথচ মানুষ মূল্যী দেয় না কেন মানুষের আবেগের।



১১। =যেখানে করোনার নেই আস্ফালন=
হাওয়ায় উড়ে করোনা গিঞ্জি শহরের অলিগলি, পথ ঘাটে,
এখানে আর বসে না মন নিত্যহ কর্মপাঠে,
আতঙ্ক বুকের মাঝে সে‌ঁটে আর কত পথ চলা,
এখানে যায় না দেখা আকাশ, যায় না কারো সঙ্গে কথা বলা!

শহরের গ্যা ঞ্জাম অতীত করে ইচ্ছে চলে যাই তাল পুকুরের পাড়ে,
যেখানে মায়াময়ী প্রকৃতি সুখ বাজায় হরদম মনের তারে,
স্বচ্ছ জলপুকুরের পাড়ে, মিষ্টি হাওয়ার দাপটে মন করতে চাই শান্ত,
এখানে নিত্যয়ই বাক বিতন্ডা ধর্ম নিয়ে, মনে পুষি ধারণা ভ্রান্ত!

ঝলমলে দিনের বুকে মাথা রেখে দেখতে চাই এক টুকরো আকাশ,
এখানে ভয় আর শঙ্কার সাথেই করতে হয় বসবাস;
বন্দি থেকে থেকে দেহতে এসে জরা হলো পূর্ণ,
এখানে অসুখী সময় ঘুরে আমার চারপাশে ঘূর্ণ।

সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০৫
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×