
©কাজী ফাতেমা ছবি
ঘড়িতে আসান অথবা ঘড়িতে তুফান, কার সাধ্যি দেয় রুখে,
এক সমুদ্দুর বিতৃষ্ণা শেষে, সুখ এসেত দাঁড়ায় সম্মুখে,
এইতো গরমে পুড়ে ছাই ভষ্ম দেহ, মানুষের বৃথাই বিলাপ,
কী দিন কী রাত তিক্ত অনুভূতির প্রকাশ অনুলাপ...
পৃথিবীটাই যেন পুড়ে ছাই, বৃক্ষ তরু লতা চুপসে যাওয়া ক্ষণ,
মুখে মুখে বিড়বিড় প্রলাপ, ভালো নয় এ লক্ষণ,
রোদ্দুর ঝাঁঝা দিনের বুকে আগুন যেন আছো সেঁটে,
গন্তব্যে ছুটে যাওয়া পথিকের তিয়াশায় যায় বুক ফেটে।
সব কিছু ভেস্তে দিয়ে দিনের বুকে নেমে আসে সমুদ্দুর শান্তি
মহান আল্লাহ তা'আলার নিয়ামত ছুঁয় মানুষের মন
নিমেষেই কেটে যায় ভ্রান্তি;
বৃষ্টির ছাটে ভিজে বৃক্ষ তরু'রা দাঁড়ায় মাথা তুলে,
মলিন পাতার উজ্জ্বল হাসি, পাতারাও যায় বিগত বিতৃষ্ণা ভুলে।
কার সাধ্যি আছেল বলো! রোদ্দুর আগুন দেয় নিভিয়ে এক পলকে,
সমস্ত কষ্টের হাপিত্যেশ কোথায় হলো উধাও এক ঝলকে,
এক পাহাড় কষ্টে যখন মুষড়ে পড়ে মনে পুষি তিক্ততা,
সবুর নেই মনে, হই ধৈর্্য্যহারা... মন বাড়িতে নেমে আসে রিক্ততা।
এই যে এত হাহাকার করো গরমের তাপে,
নিজেকে যে ডুবিয়ে রাখো দুনিয়ার মোহ পাপে,
ভেবেছো কী জাহান্নামের আগুন কী নয় এর চেয়েও উত্তাপ,
রোদ আগুনে পুড়ে যখন ছাই হও, মনে পুষো না পাপের জন্যি সন্তাপ!
করুণাময় তিনি, তিনি দয়ার সমুদ্দুর
তিনিই পারেন এক মুহুর্তে নিভিয়ে দিতে আগুন রোদ্দুর,
তার উপর ভরসা নেই, বিশ্বাসের ভিত বড্ড নড়বড়ে,
হতাশার রোদ্দুরে জ্বলে মন উঠোনটা শুকনো খড়খড়ে
ধৈর্য্যরহারা হয়ে বিতৃষ্ণাতে সময় কাটাই,
কী করে থাকবো সুখে, কী করে হবো হীম মনে ফন্দি আঁটাই।
একবারও প্রার্থনায় বলে উঠিা না, হে পরম দয়াময়,
কঠিন মুহূর্ত করছি পার, করো দয়া, ধরিত্রিকে করো অনাময়,
হাপিত্যেশ করে কী লাভ, যদি মনের ঘর না করি পবিত্র,
না যদি হই করুণাময়ের ইবাদতের পরম মিত্র!
চেয়ে দেখো, অনুভব করো, দেখো তাকিয়ে এক নিমেষে পৃথিবী হিম,
তার দয়াতেই দেহমনে নেমে আসে শান্তি, তিনি রহমান তিনি রহিম,
বলো আলহামদুলিল্লাহ, করো তার তরে লক্ষ কোটি শোকর গুজার,
তাঁরেই ডাকি চলো, জমপি তাঁরই নাম মন করে উজার।
ছবিটি এখান থেকে সংগৃহীত
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



