প্রিয় কঙ্কাবতী রাজকন্যা,
অথবা অপ্সরা কিংবা চিলেকোঠার রাজকুমারী বা তোমাকে ডাকতে পারি নীরা নিরুপমা। কোন নামে ডাকি বলো প্রিয় বেহেনা? কেমন আছো? নিশ্চয়ই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছো? আচ্ছা ব্যস্ত সময়গুলো কী করে কাটাচ্ছো?
ছবি আঁকছো?
গল্প লিখছো?
নাকি কবিতার বাগান চষে বেড়াচ্ছো
অথবা খানা দানার আয়োজন নিয়ে ব্যতিব্যস্ত?
কিংবা তুমি ঘর সাজাচ্ছো আপন মনে?
অথবা তোমার বাচ্চাদের নিয়ে পাপেট শো’র আয়োজনে আছো মত্ত?
সকল গুণে গুনবতী প্রিয় আপু? তোমার জীবনে কী কষ্ট নেই? কখনো রাগতে দেখি না!
কখনো উচ্চস্বরে কাউকে মন্দ বলতে শুনিনি, তোমার জীবনে কী বিষণ্ণতা নেই?
বিষাদ তোমাকে ছুঁয়েছে কখনো?
কারো উপর রেগে গিয়ে রাগ বুকের বাড়ী পুষেছো কখনো?
ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে কখনো একলা থেকে ফেলেছো চোখের জল?
তুমি কী পাথর মানুষ কঙ্কাবতী? কখনো বিতৃষ্ণা দেখিনি তোমার মাঝে। এত হাসিখুশি থেকে জীবনটাকে করে তুলেছো ফুরফুরে। তোমাকে দেখলেই না মানে তোমার লিখাগুলো অথবা খাবারের আয়োজন দেখলেই মনে হয় তোমার কোনো দুঃখ নেই । নেই কোনো বিষাদ বিষণ্ণতা। কখনো বিরহের অনলে জ্বলেছো কি?
তোমাকে দেখলে কখনো ভয়ও পাই। কেমন করে যেন হাসতে হাসতে তুমি কঠিন বলে ফেলতে পারো। মাঝে মাঝে তোমার মত হতে ইচ্ছে করে। কিছু কিছু মানুষ আমাকে এমন কষ্ট দেয় ইচ্ছে করে হাসতে হাসতে অনেক কঠিন বলে ফেলি। কিন্তু আমি যে তা পারি না। তোমার মত হওয়া দুঃসাধ্য।
আচ্ছা চিলেকোঠার রাজকুমারী, তোমার এমন কোনো কষ্ট আছে যা কাউকে বলোনি। তোমাকে দেখলে কখনো দুঃখীই মনে হয়। মনে হয় রাজ্যের সুখ তুমি নিজেই অর্জন করে বসে আছো। অবশ্য এতে তোমার ক্রেডিটই বেশী। তুমি তো দুঃখ ব্যথা কারো অবহেলাকে পাত্তাই দাও না। তোমার বুকে দীর্ঘশ্বাস আছে কিছু?
কত গুণ মহাব রব তোমাকে দিয়েছেন। মুহূর্তেই মানুষকে কাবু করার ক্ষমতাও তোমার আছে মাশাআল্লাহ। তুমি জ্ঞানী মানুষ। তোমার তুলনায় আমি নির্বোধ। বেভোলা মানুষ আমি আর তুমি দুনিয়ার সবার কথা মনে রাখতে পারো।
তোমার মন্তব্যগুলো পড়তে বেশ লাগে। কী সুন্দর করে মানুষের তিতে কথার উত্তর মিষ্টি ভাষায় দিয়ে দেও বাপরে। আমি তো কেঁদেই ফেলি মানুষ কটু কথা বললে। কিছু বলতেই পারি না। অফিসে কাজের ঝামেলায় আছি কাউকে বলতে পারি না অথচ কেঁদে ফেলি একা একা।
তোমাকে সামনা সামনি দেখার বড় ইচ্ছে। জানি তুমি সহজে দেখা দিবে না। তা না হলে বইমেলাইতে হয়তো দেখা হয়ে যেত। আচ্ছা আমি নির্গুণ মানুষ দেখা নাই বা করলে। একদিন কফি খেতে খেতে তোমার গল্প শুনতেও ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে তোমার সাথে সারাটি দিন ঘুরে বেড়াই। মনের গোপন ব্যথাগুলো তোমাকে বলে দেই।
আমি ব্যস্ত খুব। অফিস আমাকে সময় দিচ্ছে না। অথচ আমি সময় চাচ্ছি। আমি ঘুরে বেড়াতে চাচ্ছি, ছবি তুলতে চাচ্ছি আর লিখতে চাচ্ছি অজস্র কবিতা। তোমাকে নিয়ে লিখার ইচ্ছেও মাটি হয়ে যায়। আজ লিখলাম পনেরো মিনিট সময় পেয়েছি হাতে।
রাজকন্যা আজ তবে আসি। কাজ পড়ে আছে। কেমন করে যেন সময়গুলো উধাও হয়ে যাচ্ছে। সকালের আলোয় চোখ রাখতেই সন্ধ্যা এসে ডাকে। আমি নীড়ে ফিরে যাই, সাংসারিক কাজে ব্যস্ত হই, তারপর স্বপ্নময় ঘুমে হই আচ্ছন্ন। তোমার রোজকার কর্মগুলো হতে তুমি কী করে সময় বের করো। সময় নিজের করে নিতে আমায় শিখাবে?
ভালো থেকো, আল্লাহ নেক হায়াত দান করুন। সদা প্রফুল্ল থাকো এই কামনাই টানছি ইতি।
পুনশ্চঃ আজ তোমার জন্মদিন। ভালোবাসা দোয়া ও শুভেচ্ছা রইলো অফুরন্ত।
আজ তোমার জন্মদিন নিরুপমা, আজ তোমার জন্মদিন
শুভেচ্ছা আর প্রার্থনায় বলি কেটে যাক অমানিশা কেটে যাক দুর্দিন
আজ তোমার জন্মদিন প্রিয় কঙ্কাবতী,
বয়স আশিতে যাক তুমি থেকে যেয়ো প্রজাপতি।
তোমার ডানায় ভর করুক রঙধনু রঙ
মনের হাঁটে বসুক তোমার সুখের আড়ং
বয়স বাটিতে যাক, মন উজানেই বাক বৈঠা
তুমি পার হও এক এক সাফল্যের পৈঠা!
আজ তোমার জন্মদিন চিলেকোঠার রাজকন্যা
তোমার বাড়ীতে যাক বয়ে আনন্দের বন্যা
তুমি তোমার মত, গুনবতী রূপবতী ধৈর্যবতী হাসিবতী
সু ইচ্ছেগুলোর পিছনে কখনো টেনো না যতি;
গল্প লিখো, লিখে ফেলো উপন্যাস, লিখো হাজার কবিতা;
তুমি শায়মা, অপ্সরা অথবা তোমায় ডাকতে পারি মৌমিতা।
আজ তোমার জন্মদিন প্রিয় বেহেনা, রাজকুমারী নীরু,
বয়স হাঁটে ভবিতব্যের পথে...... তোমার যাত্রা হোক সবে শুরু
জ্ঞানোবতী কঙ্কাবতী......... তুমি বাপু প্রজাপতি,
বয়স তোমার থাকুক কুড়ি, সাফল্য হোক হাওয়ার গতি।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৫৭