©কাজী ফাতেমা ছবি
#বাহ্যিক দহন জ্বালা সইতে পারি
অন্তর জ্বালা সে সইতে পারিনে
০১।
তেত্রিশতম দন্ত.... বিদ্রোহ ঘোষনা করেছেন তিনি
বন্দি থাকতে চান না আর আঁধার গোরে...
আচানক নাড়াচাড়া দিয়ে ভুমিকম্প ঘটিয়ে দিয়ে
উনি হাসছেন অট্টহাসি...
আর ওদিকে ব্যথায় কাতরাই চেপে ধরে হাত!
আঃ আঃ ব্যথা ব্যথা...
মরে যাই আঃ, কথাগুলো দলা পাকায় গলায়
মুখ কিঞ্চিত হা করা....
কথা এসে ফিরে যায় গলায়..
ধীরে ধীরে ব্যথাগুলো ডালপালা গজাচ্ছে
দাঁতের পাটিতে....চাপায়.....কানে...চোখে.... মাথায়
লিখতে গিয়েও ফিরে এসেছি...।
কবিতারা বেঘোর ঘুমে...
আমি আজ লিখব না কিছু
কবিতা গল্প ছড়া গান,
ব্যথারা এসে ছন্দ নিয়েছে কেড়ে
আমি নিঃস্ব আজ.;
শব্দরা পালিয়ে গেছে ব্যথার ভয়ে।
নিথর বসে ব্যথাদের সঙ্গ দিব আজ,
সয়ে যখন নিয়েছি, সয়ে আরো নিব
সকল কষ্টকে স্বাধীনতা দিয়ে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।
ছবি এখান থেকে
০২।
বেখেয়ালি অগুছালো হয়েই কেটে যায় প্রহর
কিসের ধেয়ানে কাটে ক্ষণ কে জানে
ভুলে যাওয়ার মন্ত্র কে দিল ফুঁকে
আমি তারে শুধাবার চাই...
এমন অশুভ মন্ত্র সে কেনো দিলো ফুঁকে!
বিপর্যস্ত জীবন হেলায় কাটে সময়,
এটা সেটা, আগে না পরে... কী যে করি
সিদ্ধান্তহীনতার ফাঁপরে পড়ে ডুবে যাই কোন সে ধেয়ানে
ভুলে যাই সব ভুলে যাই..
পিছন ফিরে তাকাই না আর।
সামনে মশাদের খেলা, পিছনে হাতির মত সমস্যা
ছোট ছোট শখে ডুবে যাই
বড় হাতিকে কেয়ার করি কী আর!
ফলাফল
পুড়ে ছাই রূপার সাসপেন...
সাদা পুড়ে কালো, মন পুড়ে তবে কি রঙ নেয় সে!
দুধ পুড়ে হলো নিগ্রো...মৌ মৌ ঘ্রাণে মাতাল আমি
পুড়ে যাই.... দহন জ্বালা কেমন?
যে পুড়ে সে-ই বুঝে!
ছবি এখান থেকে
০৩।
চোখের কিনারে সহসা জ্বলন
সেকী বিভৎস জ্বালা,
চোখের পাতা ভারি, গড়িয়ে পড়ে দু’ফোটা অশ্রু
জলের ছোঁয়ায় মেলে না স্বস্তি
জ্বলন সেতো বাঁধ মানে না কিছুতেই!
চিকন জ্বালা স্পর্শে মিলে না আরাম...
সুত্র খুঁজে দেখি একদা হাতে নিয়েছিলাম
কাঁচা লংকা...ক্রোধ মিটাতে বটিতে ঘ্যাচাং ঘ্যাচাং
দিতেই.. ওরাও বিদ্রোহ করে ঘোষনা..
প্রতিশোধ নিবে তাই আদরে ছুঁয়ে দেয় চোখের পাতায়!
ওদের সোহাগে শিহরিত আমি
কেঁপে উঠি জ্বলনে জ্বলনে.
জ্বালারে আহা! কি যে জ্বালা
আমি নিশ্চুপ বসে সয়ে নেই জ্বলন
ওরা অবশেষে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়...
এহ আমায় জ্বালাতে আসে..সে কি করে সম্ভব!
ছবি এখান থেকে
(এটা পিন্টারেস্ট থেকে)
০৪।
বাহ্যিক জ্বালা সয়ে নেয়া যায় দাঁতে দাঁত চেপে
ঔষধ খেলে সেড়ে যায় ব্যথা... পূড়ার জ্বালায় মলম;
শান্তির প্রলেপে পুড়া ক্ষত সেড়ে উঠে..
মরিচের জ্বলন সেতো সয়ে নিতেই পারি
কিন্তু মনের ব্যথার নিরাময়ে ঔষধ আছে?
যুগের পর যুগ মিথ্যাবাদি হয়েছি বারবার
মোচড় দিয়ে বুকে উঠে ব্যথা...
আহঃ এ ব্যথার ডাক্তার কোথায় পাব..
কে দিবে সাড়িয়ে আমার
বুকের বামে মুচড়ে উঠা ব্যথার কাঁপন।
আমি বাহ্যিক ব্যথা সয়ে নিতে পারি
মনের ব্যথা - সে সইতে আর পারি নাকো;
বড্ড অসহায় আমি... তাই এলোমেলো
অগুছালো জীবনই আমার প্রিয়।
তোমরা আমায় ভালো নাই বা বাসলে।
(০৫-০৯-২০১৬)
(অটঃ পুরোনো ব্যথা, কোন সে ব্যথা মনে নাই)
ছবিগুলো নেট থেকে সংগৃহীত। ছবির লিংক দিতে গিয়ে পারলাম না।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪৭