
©কাজী ফাতেমা ছবি
হৈ চৈ শেষ হয়ে গেলে অথৈ আনন্দ সঞ্চয় করে
অবশেষে নীড়ে ফিরে কেউ অনুতাপে পুড়ে,
অথচ ফেরার পথ নেই আর।
একদিন আবেগের নদীতে সাঁতার কেটে সে
কথা দিয়েছিলো, কেউ বলেছিলো
আসছে চৌদ্দ তারিখে তোমাকে ছোঁয়ার প্রতিশ্রুতি দাও,
আমাদের ভালোবাসা অমর হবে,
এই জীবন তোমার, তুমি চাইলেই প্রতিদিন এনে দেবো বসন্ত।
কত পরিকল্পনা বুকের বামে খায় আকুলি বিকুলি,
লোক সম্মুখে নাকি কোন এক আঁধারী রুমে,
সে কী রাজী হবে, হতেই হবে, আবেগি প্রতিশ্রুতি
বৃথা যেতে শুনিনি, আসুক সে ফাগুন পাখি হয়ে ওড়ে।
অতঃপর মহেন্দ্রক্ষণ এসে হোঁচট খায় তার পায়ে
যে সর্বনাশি খেলার সংকল্পকারী,
সেই আবেগি পাখি বসন্ত সাজে ভালোবাসা বরণ করতে
পরীর সাজে হাজির....
আর যাবে কই প্রতিশ্রুতির বুকে মাথা রেখে ভাড়া করা
আঁধার ঘরে হাত ধরে বসে থাকা মুহুর্ত,
আহা দেহে সুখ শিহরণ,
আবেগি পাখির না বোধক সম্মতিতেও হ্যাঁ বোধক হয়ে
যায়, যৌবন ফুলে মৌ পোকা সুখের হুল ফুটায়,
মধুবনে ফাগুনের হাওয়া, কে দেখে আর সময়
অসময়, শুদ্ধতা আর অশুদ্ধতা,
তারুণ্যের নদীতে ঝাপুর ঝুপুর সাঁতার কেটে শান্ত নদী
থেমে যায় ঢেউ।
অনুতাপের করুণ কাহিনী কেবল চোখের কোণে নিরবে
অশ্রু পতন, পেটে মোচড়ে উঠে, কাহিনী আগায়
একটি জীবন হত্যার দিকে,
মুখ দেখাতেও যে লজ্জা, ও লজ্জাবতী আবেগ কোথায় সে?
সমাজের ধুর ছাই মানুষ তুই, চরিত্রের উপর কালো কালির
আঁচড়, সে আঁচড় চিরকালের, মুছবি কী করে?
যে তোর সর্বনাশ করে পালালো,
সে তোকে আর একটিও বসন্ত দেয়নি, দিয়েছে বারোমাসি গ্রীষ্ম
আর চৈত্রের খরা,
একদিন তোর বিয়ে হবে, কেউ জানবে না তুই অসতি
অথচ তুই অনুতাপের অনলে পুড়তেই থাকবি,
একদা তোর মেয়েটাও এই পথ ধরবে,
কী করে ঠেকাবি বল্? তোর মেয়েও কোন এক ১৪ ফেব্রুয়ারিতে
পোয়াতি হবে, তখন কী হবে তোর, দ্বিতীয় মরণ,
আর কতবার মরবি মেয়ে?
১৪/০২/২০২০
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




