©কাজী ফাতেমা ছবি
১। ইচ্ছেরা উড়ে মন আকাশে
সময়ের কোলে মাথা রেখে বড্ড অবুঝ হতে ইচ্ছে করে,
আনমনা হতে ইচ্ছে করে, ভাবতে ইচ্ছে করে
কল্পনার সমুদ্দুরে নীল জলে ভাসতে ইচ্ছে করে,
কিছুটা আবেগী হতে ইচ্ছে করে,
সব ইচ্ছেই আজ স্তব্ধ, পাথর সমাধান।
২। চলো আজ অবুঝ হই, ফিরে যাই অতীতে=
চলো ছেলেবেলায় ফিরে যাই,
চলো অবুঝ হই, বয়সটাকে করি বোতলবন্দি,
একটুখানি লুকাই শৈশব অথবা কৈশোরে,
খেলি গোল্লাছুট, দৌঁড়ঝাপ দিন আহা,
বয়স হোক না আশি, চলো কুড়িতে যাই ফিরে।
চলো সব হতাশা ভুলে একটু বাঁচি;
অসুখী সময়ের হাতছানিতে আজ না হয় সাড়া না দেই;
আরে বাবা, বয়স হোক না মধ্য,
চলো কানামাছি ভোঁ ভোঁ দিনে ফিরে যাই,
একটু না হয় বাঁচি, উচ্ছ্বাসে উল্লাসে।
চলো মেঘবালিকা হই, দৌঁড়ি ধুলোওড়া পথে পথে
ছোট ছোট সুখ কুঁড়াই মেয়েবেলার ফুল তোলা ফ্রকে;
সময়টাকে ঠিক দেই থামিয়ে, চলো থামাই,
বেঁধে রাখি সময়, পিছনে যাই একদম পিছনে
যেখানে হাডুডু দিন, যেখানে দাঁড়িয়াবান্ধা সুখ দিন
ডাকে হাত বড়িয়ে।
চলো ঘুড়ি উড়াই খোলা মাঠে, দৌঁড়াই আর দৌঁড়াই,
বুনোফুল কেটে কুচি কুটি করে করি রান্না,
চলো ফিরে রান্নাবাটি খেলাঘরে, ইটের মসলা পিষি,
বালির ভাতে হাত ডুবিয়ে মিছেমিছি তুলি তৃপ্তির ঢেঁকুর,
সম্মুখে তাকিয়ে চলো ফিরে যাই পিছনে।
চলো ভিজি, অঝোর ধারার বৃষ্টিতে, একটু অবুঝ হই
নিজেকে বানাই ছোট্ট, চাঁদের আলোয় স্নান করি,
সবুজ মাঠে শুয়ে তারা গুনি, একটু আহ্লাদি হই;
চলো ছুটি ফড়িংয়ের পিছু, সুতো বাঁধি লেজে।
চলো ফিরে যাই পিছনে যেখানে বিছানো আছে
শিমুল ফুল, কামিনীর ঘ্রাণ মাখানো শুভ্র পাপড়ি
আর শিউলী বিছানো ধুলো।
আতঙ্ক ভুলে বন্ধ চোখে মুগ্ধ হই স্মৃতিঘরে শুয়ে,
একটু হাসি, মৃদু অথবা অট্ট
আজ না হয় বয়সটাকে দেই থামিয়ে,
সময়ের লেজে বেঁধে রাখি সুতো, সময় হয়ে যাক
মেয়েবেলার লাল ফড়িং,
আজ না হয় হলামই বা একটু অবুঝ, আবেগী আর আহলাদী।
(০৯/০৬/২০২০)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৫৮