©কাজী ফাতেমা ছবি
অক্সিজেনের অভাব বড় দেখা দিয়েছে বয়সীর
কী দিন কী রাত, নিঃশ্বাস টেনে টেনে হয়রান,
চোখের নিচে আগুন জ্বলা পাতিলের তলা রঙ;
কী জানি উনার মনে কী ভয়ানক ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাচ্ছে;
বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা.......যেনো বৃথা, বৃথা, বৃথাই সব।
বিফলে যাবে এতদিনের বেঁচে থাকার সুখ স্বপ্ন,
ধীরে তলিয়ে যাবে বয়সীর সব আশা,
নিস্পন্দ হবে দেহ।
দেহতরী থেমে যাবে জীবনের শেষ পথে;
কী দুঃসহ সময় এখন তাঁর, চোখে কেবল ধূয়াশা।
পাশে বসে দেহে হাত বুলালেই আৎকে উঠি,
কী এক বিষণ্ণতায় তলিয়ে যাই নিমেষে,
মনে যত সুখ ছন্দ উথাল পাথাল,তলিয়ে যায় নিরাশার সমুদ্দুরে।
দীর্ঘশ্বাসের ক্রমশঃ উঠানামায় আমায় করে ফেলে হয়রান।
হাতে হাত বুলিয়ে আমি টের পাই আমার অস্তিত্ব যেনো,
আলোর খোসার মত নরম চামড়ার ভাজে ভাজে লুকানো অশীতিপর বয়স
কে যেনো ডেকে বলে, প্রস্তুত হও এবার তোমার পালা,
কেড়ে নেবে সময় তোমার যত শান্তির আকাঙ্খা,
সুখ, স্বস্তি, চোখের আলো, দেহের শক্তি;
অকেজো হবে দেহের যন্ত্রাংশ তিল তিল,
ভেবেছো বেঁচে যাবে, কিছুই হবে না তোমার, বয়সের দোষ এ যেনো,
কিছুই অমর হয়ে থাকে না, না শক্তি, না বয়স, না শারীরিক যন্ত্র তন্ত্র।
কী বিমর্ষ মুহুর্তগুলো ছুঁয়ে যাচ্ছে বয়সীকে ঠিক আমাকেও
চোখ দুটো যেনো গলে যাচ্ছে, দগদগে ঘায়ের মতন
জলে পূর্ণ চোখ দুটিতে কিসের ছায়া তবে?
কত আহ্লাদী কত আবেগে ভরা জীবন, কত সুখ দুঃখ সাথী করে
এগিয়ে যাওয়া জীবন, সন্তান মানুষ করার পরই সুখের আস্বাদন
অথচ সময় কত নিষ্ঠুর, সন্তান বড় হয়, মা বাবারা বুড়ো হয়,
সুখ কপালে সয় না, না সয় না আর বেশী দিন।
(১৪-০৩-২০১৯)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:২৮