©কাজী ফাতেমা ছবি
কত অত্যাচারই না সয়ে যায় সুকন্যা নদী,
নদী নাম নিয়ে একদা তার জন্ম, কী হুলস্থুল কান্ড!
কলকল হেঁটে চলে শিশু নদী, উচ্ছ্বলতায় ভরা বুক তার,
টলটলে জল, তার বুকের উপর তখনো শ্যাওলারা আসন পেতে বসেনি।
নদী বড় হতে থাকে, তখন তার ভরা যৌবন,
বুকে প্রেমের উত্তাল ঢেউ, নদী যেদিকে যায়
তাকিয়ে থাকে মানুষ, পাখ-পাখালি
এমনকি আকাশটাও, নদীর বুকে ফুঁলে ফেঁপে উঠে ভালোবাসার জল,
সে জলের আয়নায় আকাশ মুখ দেখে নেয় রোদ্দুর গলা দুপুরে,
বিকেলে গোধূলীর রঙের আকাশ নুয়ে পড়লেই,
নদী আকাশের রঙ বেনারসীতে সেজে ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভাসতে থাকে নিরবধি।
একদা..........
নদীর যৌবন পুড়িয়ে যায়, নদীর বুকে কচুরীপানা ঝেঁকে বসে
শ্যাওলারা ভাসতে থাকে নির্দ্বিধায়,
নদীকে বাঁচতে দেয় না মানুষগুলো, নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে গিয়ে
নদীর বুকে চালায় স্বার্থের ছুরি;
জাল পাতে কখনো, কখনো বাঁধ দেয় বাঁশ গেঁড়ে
নদীর বুক রক্তাক্ত, নদী মরে যায়, নদী কাঁদে
কে আর ভাবে নদীর কথা, কে দেখে নদীর কান্না
নদীকে ভালো না বাসা মানুষগুলোর হা হুতাশ দেখি নদী মারা যাওয়ার পর
নদী আর ফিরে আসে না, বার্ধক্যে এসে নদী নিশ্চল,
ঢেউ নেই, নেই স্বচ্ছ জলের আয়না গাঁথা তার বুকে।
(২৪-০৩-২০১৯)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৫৬