
©কাজী ফাতেমা ছবি
হ্যাঁ আমি ব্যস্ত আছি আপাততঃ ঘুম ভেঙ্গেছিল ফজরের অক্ত,
রাত বারোটায় শুয়ে ওঠা তো কষ্টকর, ঘুমটাও খুব শক্ত,
চোখ আধবোজা জায়নামাজে দাঁড়িয়েছিলাম, নামাজ শেষ,
ভেবেছি একটু শুয়ে নেই, এখনো যে চোখে ঘুমের রেশ।
বেলা বেড়ে যায় অনায়াসে, ঘড়িতে তখন বাজে ছয়,
স্কুলে যাবে খোকা, ভাতের হাঁড়ি চুলায়, আর নয় সময় অপচয়,
চোখ বন্ধ অথবা খোলা, ভেবেছি না হয় দেব ডিম ভেজে
তরকারী বসাতে বড্ড ঝামেলা, পারবো না পা রাখতে সময়ের লেজে!
বেলা গড়িয়ে যায়, স্কুল ইউনিফর্মে সাজে খোকা,
কত কিছু বলে দিতে হয়, কলম নাও, খাতা অথবা আইডি কার্ড, কী বোকা!
পানির বোতল নাওনি, আহা খোকা দৌঁড়ায় সাথে সময়,
অফিসের সময় চলে আসছে বলে, আর ভাবা যায় না বসে তন্ময়।
স্নাস সাড়তে হবে, খেতে হবে ডিম, চুলার আগুন জ্বালাতে হয় দাউ দাউ,
ঘরময় অফিস যাত্রী, রান্না, খাওয়া, তৈরী কতই না হাউকাউ,
চুল শুকাতেও সময়ের প্রয়োজন, ফ্যানের স্পিড বাড়াই;
না দম নেয়ার নেই সময়, কী করে আর দাঁড়াই।
ব্যস্ততার উচু সিঁড়িতে পা রেখে আগাই, সময়ের হাতেই হাত রাখি,
একটুখানি আলসেমী আহা যায় না দেয়া ফাঁকি;
অফিসের টেবিলে ফাইলের স্তুপ, আমাকে লিখতে হবে প্রচুর,
দিতে হবে কড়ি এমপ্লয়িদের, ঘাড়ের উপর খাড়া কড়ির অভুক্ত জনতা
কষ্টে দেহ ভেঙ্গে চুর চুর।
করছি এইতো, দিচ্ছি, পেয়ে যাবেন বিত্ত বৈভব সব আজই,
বৃথাই দাঁড়িয়ে থাকলে আমি এলোমেলো, থাকবে পড়ে সব কাজই;
সময় চলে যায় দুপুরে, নামাজ লাঞ্চ, মুঠোফোনে রিংটোন যায় বেজে,
সময়মত করতে পারবো শেষ কাজ! ঘাম জমে চিন্তার ভাঁজে।
একটুখানি ফাঁক, আমি কবিতার খাতায় মন ডুবাই,
মাথার ভিতরে ছন্দ জমা আর নাই;
এলোমেলো ছন্দপতনে কাব্য করে ফেলি তৈরী;
দিনভর কাজের চাপে মনের আবহাওয়া যে বৈরী।
নীড়ে ফিরেই নাস্তার আয়োজন
নইলে বেজার সকল প্রিয়জন;
এই সেই করতে করতে রাত নয়টা, চায়ের কাপে বাজাই টুংটাং
ঘড়িতে তাকাই, দেখি সময়ের ভুংভাং।
রাত বারোটা, আমি সময়ের কাছে সময় চাই অল্প ভিক্ষা,
চোখ স্বয়ংক্রিয়তায় বন্ধ, মন স্বপ্নপুরীতে, আরেকটি ব্যস্ততম
দিনের অপেক্ষা।
(এইতো দিনের ডায়রী শেষ)
৩০/০৮/২২
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



