
কষ্টগুলো নিজের একান্ত, নিতে পারে না কেউ
দেহের রোগও যেন নিজের তৈরী
কষ্ট দিয়ে দেহে, রোগ ভাঙ্গে অশান্তির ঢেউ,
মানুষের জীবন আকাশে উড়ে হাওয়া বৈরী।
বেপরোয়া জীবন যদি হয় কারো
জিভের স্বাদে খেয়ে অতি, জীবন সুখে পোয়াবারো,
জীবন বাঁকে হয়ে যায় তার অশান্তি আঁকা
অদূরেই অসুখ দাঁড়িয়ে, দেখে না সে,
অসুখ অলীক পর্দায় ঢাকা।
মানুষ বুঝেও, করে না বুঝার ভান,
বেড়ে যায় আলগোছে মানুষের বড়ির প্রতি টান,
কাতরায় বিছানায়, ডাক্তার ডাক্তার কয়ে চিল্লায়
যত সুখ শান্তি অতীতের, সবই যায় গোল্লায়।
বড়ি খেয়ে রোগ সারিয়ে মানুষ ফের
রসনাতে রাখে জিভ
স্বাদ পেতে খাবারে, ঝালে ঝুলে... কতই না উপায় করে বের
বুঝে না কেউ, আগত দিনে স্বয়ংক্রিয়তায় নিতে হবে সুখ হতে লিভ।
আরামে আয়েশে সুখের দিনগুলো করে শেষ
দেহের জোড়ায় জোড়ায় আলসেমী, ধরে নেয় দিনগুলো আহা বেশ!
মানুষ হেঁটে যায় অজান্তে নানাবিধ ব্যাধির পথ ধরে
একদিন রকমারি রোগের বসত হয় তার দেহ ঘরে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাসিয়ে দেয় আলসেমির জলে
একদা হারাতে তাকে অশান্তির তলে
দেহযন্ত্র ক্রমেই বিকল!
দেহ নিয়েই নিলো রোগেরা দখল।
কেউ বুঝে না, যে দেহও এক যন্ত্র;
হলে বিকল, হয় না আর কাজ, ফুঁকলেও আরামের মন্ত্র,
দেহযন্ত্রকেও দিয়ে রাখতে হয় ডিজেল অকটেন তেল
মানুষ খায় ভাজাপোড়া, ঝাল, খেতে চায় না
আঙ্গুর কলা আপেল।
©কাজী ফাতেমা ছবি
০৩-০৩-২০২৩
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


