দেশের সম্পদ কিভাবে রক্ষা করতে হয় সেটা উরুগুয়েকে দেখে শিখার আছে। একটা প্রমানিত ভিডিও থাকার পর ও, ৩য় বারের মত অপরাধের পুনরাবৃত্তি করার পর ও একটা দেশের প্রেসিডেন্ট সুয়ারেজের পক্ষে বিবৃতি দেয়। ফুটবল ফেডারেশন, প্লেয়ার এবং পুরো দেশবাসি ওর পিছনে গিয়ে দাঁড়ায়। ওকে লজ্জা না ভেবে বিমান বন্দর হতে রিসিভ করে নিয়ে আসে। এই ছেলে দেশের জন্য উজাড় করে দিবে নাতো কার জন্য দিবে?
আর আমরা? সময় সুযোগ পেলেই যে কাউকে মুহূর্তে ফাঁসিতে লটকে দেই।
সাকিব আল হাসানের কথারে অন্যভাবে তুলে ধরা হচ্ছে!সংবাদমাধ্যমের এই টাইপের কোন কথাই বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করেনা! "দেশ নয়, টাকা চাই সাকিবের" - পত্রিকার হেডলাইন। এই হল আমাদের দেশের বেগুনি সাংবাদিক।
আমরা যারা এলাকায় যেসব ছোটখাটো ক্লাব/টিমে খেলি,কোন ব্যাপারে চূড়ান্ত রকমের মন খারাপ হইলে 'ধুর,আর খেলবোই না এই টিমে' কথাটা অসংখ্যবার বলি,কিন্তু কথাটা বলে মিনিট পাচেকের মধ্যেই ভুলে গেছি। ওইসব টিম আর দেশের হয়ে খেলা এক না,জানি! তবে কোচের সাথে বাদানুবাদের কোন পর্যায়ে সাকিব কি বলছে,সেইটাও জানা দরকার!আর একেবারেই ব্যক্তিগত পর্যায়ের কথা নিয়ে এত হুলস্থুল হওয়ার জন্যে মিডিয়ার দায়ই বেশি!
বিসিবির কাছ থেকে ছুটি পাওয়ার মৌখিক আশ্বাস পেয়েছিলেন, সঙ্গে পাওয়ার কথা ছিল সিপিএলে খেলার অনাপিত্তপত্রও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এর কিছুই পেলেন না সাকিব আল হাসান!
মৌখিক সম্মতি নেওয়ার পর এনওসি পরেও পাঠানো যায়,এরকম অসংখ্য উদাহরণ আছে।আর সাকিব চলে যাওয়ার পর তারে ডেকে পাঠানোর মানে কি?!ভাবটা এমন সাকিব যাইতেছে, এরা যাওয়ার পরে তা জানতে পারছে।ফাইজলামি!ক্যারিবিয়ান তো জিন্দাবাজার পয়েন্ট না,গেলাম আর চলে আসলাম।যাওয়ার সাথে সাথে আবার ফিরে আসতে হবে,এইটা বিরাট পেইনফুল!আর সাকিব অনাপত্তিপত্র পাবে,এটা জেনেই গেছে আমি সিউর!সে সব নিয়ম ভাইংগা জোর কইরাই গেছে,এইটা জীবনেও আমি বিশ্বাস করিনা!
সব মানুষেরই ধৈর্য্যের একটা সীমা আছে । খুঁত খুঁজতে চাইলে যে কোন মানুষেরই ক্ষণে ক্ষণে ভুল ধরা যায় । আসলে সাকিব এ পোড়া দেশে জন্ম নিয়েই ভুল করছে ।আমরা সাকিবের মত ট্যালেন্টদের যোগ্য না ,কখনো এরকম ট্যালেন্টেড কাউকে প্রোডিউস করতে পারব বলেও মনে হয় না। অনন্ত জলিল মার্কা মুর্খরাই এদেশের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করবে । দেশের সিনেমা,ক্রিকেট ধ্বংস করবে আর আমরা তালি বাজাব । বাহ ,জলিল সাহেবতো আন্তর্জাতিক মানের সিনেমা বানাইছে, পাপন সাহেব তো স্কুলের হেডমাস্টারের মত স্ট্রিক্ট।
এ অবস্থা চলতে থাকলে প্রকৃত গুণীরা হারিয়ে যাবে । যে দেশে গুণীর কদর নেই, সে দেশে গুণী জন্মে না।যে বাংলা একসময় সমগ্র ভারতে শিল্প,সাহিত্য,খেলাধুলা ,বিজ্ঞান লিড দিত তারাই এখন সবচে পিছিয়ে !