সমাজতন্ত্রী, কমিউনিষ্ট, সেকুলারিষ্ট ও নাস্তিকরা বলে থাকেন - যার ধর্ম তার কাছে, রাষ্ট্রের কি বলার আছে, ইসলাম সেকেলে আধুনিক যুগে চলতে পারে না , ইত্যাদি ঢালাও মন্তব্য করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত । আর এ ধরনের বিষাক্ত অপপ্রচারে নতুন প্রজন্ম অতি সহজেই ইসলাম বিদ্বেষীদের খপ্পড়ে পড়ে যায় ।
যারা ধর্ম নিরপেতায় বিশ্বাসী তারা নিঃসন্দেহে নিজেকে প্রতারিত করছেন । কারণ ধর্মে বিশ্বাসী কোন মানুষ কখনোই ধর্মের ব্যাপারে নিরপেক্ষ হতে পারেনা । 'নিরপেক্ষ' শব্দের অর্থই হচ্ছে ধর্মের পক্ষেও নয় বিপক্ষেও নয় ।
একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী যখন পরনে ধুতী, গলায় রুদ্রাক্ষেও মালা, গায়ে নামাবলী ও পৈতা জড়িয়ে, মাথায় টিকি, সিঁথিতে সিঁদুর ও হাতে শাখা পরেন, পূজা করেন এবং প্রত্যেহ মন্দিরে গিয়ে দেবতার পদপাদ্যে অর্ঘ-নৈবদ্য নিবেদন করেন, তখন তিনি কি আর ধর্মনিরপে রইলেন ? তিনি তো ধর্মের পইক্ষেই চলে গেলেন ।
একজন শিখ যখন গুরু নানকের অনুসারী হয়ে দাড়ি না কেটে মাথায় পাগড়ী পরেন এবং হাতে বালা ও কৃপান ধারন করেন, গুরুদুয়ারায় গিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন, তখন তো তিনি ধর্মের পক্ষেই থাকলেন ।
একজন খৃষ্টান যখন যিশুখৃষ্টকে তাদের ত্রানকর্তা পৃভু বলে বিশ্বাস করেন, গলায় ক্রুশ ঝুলান, ত্রিত্ববাদ ও বাইবেলে বিশ্বাস করেন, মুখে যিশুর নাম উচ্চারণ করে প্রতি রবিবার গির্যায় প্রার্থনা করেন, আমেরিকার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট যখন বাইবেল স্পর্শ করে প্রেসিডেন্টের শপথ নেন এবং তাদের প্রতিটি ডলারে যখন ছাপার অরে লেখা থাকে 'ইন গড উই ট্রাষ্ট' তখন তারাও তো আর ধর্ম নিরপে রইলেন না, ধর্মের পক্ষেই এলেন ।
একজন মুসলিম পুরুষ যখন নামাজ-রোজা, হজ্জ ও উমরাহ পালন করেন, মুসলিম নারী যখন শালিন পোষাক তথা পর্দা করেন, হিজাব পরিধান করেন, আল্লাহ-রাসুল কোরআন-হাদীস, পরকাল, জান্নাত-জাহান্নামে বিশ্বাস করেন, তিনিও তো ধর্মের পক্ষেই অবস্থান নিলেন ।
এটাই যখন অটল বাস্তবতা, তাহলে 'ধর্মনিরপে' রইল কে ? প্রকৃত বিষয় হচ্ছে ধর্মে বিশ্বাসী কোন মানুষই ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারেন না ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






