somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাচের ঘরে বসে অন্যের ঘরে ঢিল না মারতে নেই।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকের পর হতে এই অসভ্য মহিলার প্রতি আমার ঘৃনা উচ্চ থেকে উচ্চতর হলো।নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারছিনা। প্রধানমন্ত্রী একটা দেশের সিম্বল। এই ধরনের নোংরা ইঙ্গিতপূর্ণ কথা কি কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে বের হতে পারে?! ৭০ বছর বয়সী একজন মহিলা তার সমবয়সী একজনকে কিভাবে এমন অশ্লীল অর্থহীন কথা বলতে পারেন?! এতে কি বেগম জিয়াই শুধু অপমানিত হয়েছেন?নারী হিসেবে কি তার অপমান হয়নি? পুরুষ মানুষেরা যেসব কথা মুখে আনতে কয়েকবার চিন্তা করবেন তিনি নারী হয়ে কিভাবে তা অকপটে বলে ফেলেন?!

তিনি নাকি ভাষাকন্যা ,পীরে কামেল,ওলীয়ে বোগদাদী ! অথচ তার অশ্লীল বাক্যবানে শ্লীলতা হারিয়েছে রাজনীতির ভাষা।বেগম জিয়ার সাথে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। ভালো কথা। রাজনীতিবিদদের মধ্যে ব্যক্তিত্বের লড়াই হয়। বাকযুদ্ধ হয়। অনেক সময় তা শালীনতার সীমাও কিছুটা ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু প্রতিদ্বন্ধী আরেকজন মহিলা রাজনীতিকের সৌন্দর্য্য আর জনপ্রিয়তায়, ঈর্ষায় হিংসায় এমন লাগামহীন অশ্লীলতা সভ্য - অসভ্য যে কোন সমাজেই বিরল ! অযোগ্যতা যে মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে, এটা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

কথা বলাও একটা শিল্প।অথচ তিনি যে ভাষায় কথা বলেন,সে ভাষায় কেবল কোমরে কাছা মেরে ,পায়ে পা লাগিয়ে প্রতিবেশির সঙ্গে ঝগড়া করে অর্শিক্ষিত বা মূর্খ মহিলারা। যে এটিচ্যুড নিয়ে আর যে স্টাইলে তিনি কথা বলেন সেটা সারাক্ষণ পচা সিনেমা দেখা সোনাগাছি আর দৌলতদিয়ার মেয়েদেরই স্যুট করে,একজন প্রধানমন্ত্রী বা সাধারন মানুষকে নয়। তিনি তার পরিবার থেকে বোধহয় কোন ভদ্র, মানবিক, রুচিশীল, অহিংস ও শিষ্টাচার শিখেননি। কোন ভদ্র পরিবারের সন্তান এতো এতো জঘন্য, কুরুচিপূর্ণ, দূর্গন্ধ ও অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করতে পারে না। বাংলাদেশের লজ্জা যে,তাঁর মতো অশ্লীল এবং বিকৃত রুচির একজন মানুষ এদেশের প্রধানমন্ত্রী!!

কেউ যদি কারো সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করে, সেটা তার দিকে দ্বিগুন হয়ে ফিরে আসে।কাচের ঘরে বসে অন্যের ঘরে ঢিল না মারতে নেই। তার ভাগ্য ভাল বেগম জিয়া তার এ ধরনের নিকৃষ্ট কুরুচিপুর্ন কথার পাল্টা জবাব দেন না।বেগম জিয়ার কথাবার্তায়,আচরনে যদি তার মত শালীনতা,ভদ্রতা, আত্নসম্মানবোধ ইত্যাদি না থাকতো ,তিনি যদি এসব গুণ বিসর্জন দিয়ে তার সব কথার জবাব দিতেন তাহলে অশ্লীলতায় ভরা জীবন যার, তার কি মুখ দেখানোর জায়গা থাকতো !! এমনিতেই তার চরিত্র নিয়ে কথা বলার লোকের কোন অভাব নেই।তার উপর মতিউর রহমান রেন্টু তো আস্ত একটা বই-ই লিখেছেন তার চরিত্র নিয়ে!!

আমার ভাবতেও অবাক লাগে এরকম একজন নিকৃষ্ট ,কুরুচিপুর্ন মহিলা গত তিন যুগ ধরে একটা দেশ ও দলের ক্ষমতার শীর্ষে! এই দেশের কেন এত দুর্দশা তা আর বুঝতে কারো বাকি নেই।আজকে তার সমস্ত কুচিন্তার প্রতিফলন ঘটে চলেছে তার দলের নেতা কর্মীদের মাঝে এবং এখানেই আমার ক্ষোভটা সবচেয়ে তীব্র।

যাহোক,চাটুকারিতা আর তেলবাজী হচ্ছে স্বভাবদোষ। কাটানো বড় কঠিন।যারা তার তোষামোদি করে বা গুণ গায় তারাও সব নিচু স্তরের মানুষ। তার এই নিকৃষ্ট ,কুরুচিপুর্ন ,অশ্লীল কথায় গণভবনের সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত সবার মাঝে হাসির রোল পড়ে যাওয়া দেখে কবি নীরেন্দ্রনাথের “উলঙ্গ রাজা কবিতাটিই বারবার মনে পড়ছে –

সবাই দেখছে যে, রাজা উলঙ্গ,তবুও
সবাই হাততালি দিচ্ছে।
সবাই চেঁচিয়ে বলছে শাবাস, শাবাস।
কারো মনে সংস্কার, কারও ভয়-
কেউ বা নিজের বুদ্ধি অন্য মানুষের কাছে বন্ধক দিয়েছে
কেউ বা পরান্নভোজী, কেউ
কৃপাপ্রার্থী, উমেদার, প্রবঞ্চক;
কেউ ভাবছে, রাজবস্ত্র সত্যিই অতীব সূক্ষ্ম,
চোখে পড়ছে না যদিও, তবুও আছে
অন্তত থাকাটা কিছু অসম্ভব নয়।

গল্পটা সবাই জানে।
কিন্তু সেই গল্পের ভিতরে
শুধুই প্রশস্তি বাক্য-উচ্চারক কিছু
আপাদমস্তক ভিতু, ফন্দিবাজ অথবা নিবোর্ধ স্তাবকই ছিল না
একটি শিশুও ছিল- সত্যবাদী,
সরল, সাহসী একটি শিশু।

নেমেছে গল্পের রাজা বাস্তবের প্রকাশ্য রাস্তায়-
আবার হাততালি উঠছে মুহুর্মুহু
জমে উঠছে স্তাবক- বৃন্দের ভিড়।
কিন্তু সেই শিশুটিকে আমি
ভিড়ের ভিতর আজ কোথাও দেখছি না।
শিশুটি কোথায় গেল? কেউ কি কোথাও তাকে কোন
পাহাড়ের গোপন গুহায় লুকিয়ে রেখেছে?
নাকি সে পাথর-ঘাস-মাটি নিয়ে খেলতে খেলতে
ঘুমিয়ে পড়েছে কোন নির্জন নদীর ধারে কিংবা
প্রান্তরের গাছের ছায়ায়

যাও, তাকে যেমন করেই হোক খুজেঁ আনো।
সে এসে একবার এই উলঙ্গ রাজার সামনে নির্ভয়ে দাঁড়াক।
সে এসে হাততালির উর্ধ্বে গলা তুলে জিজ্ঞাসা করুক;
রাজা, তোর কাপড় কোথায়?

নোট: কুচিন্তাগ্রস্ত্য মন মানুষকে অসত্, হিংসুটে, দাম্ভীক এবং হিংস্র করে তোলে এবং সেই কুচিন্তাগ্রস্থ্য মানুষটি যদি হয় সরকার প্রধান-তখন সেই দেশের জনগনের দূর্ভোগের শেষ থাকেনা। তার বিরুদ্ধে কয়েক হাজার কোটি টাকার মান হানির মামলা হওয়া উচিত।

https://www.youtube.com/watch?v=QyKRcuuyFKc&feature=share
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:১৮
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×