ব্লগে অনেক দিন পর আসলাম,
যাইহোক, আসল প্যাচাল পাড়ি,
আমার পোষ্টের শিরোনামটা উদ্ভট, অনেকেই ধর্মবিদ্বেষী মনে করে নিয়েছেন, নেন সমস্যা নাই ..... একটু দাঁড়ান,
রমযান মাস পবিত্র মাস, রহমতের মাস। এই মাসে আল্লাহ্ শয়তানকে শিকল দিয়ে বন্দি করে রেখেছে যাতে আমরা রমযান মাসের মত সৎ ও ধর্মীও জীবন যাপন করতে পাড়ি বাকী ১১ টি মাস ।
কিন্তু, আমি বড়ই অবাক হই বাংলাদেশি মুসলিমদের দেখে !!! তারা রোযা রাখে, ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরে আবার এই মাসে সব থেকে বেশি দুর্নীতিও করে, যেমন ধরেন-
রিক্সাওলা থেকে শুরু করি- রমযান মাস শুরু হলেই বিকাল থেকে আপনি যেখানেই যাবেন না কেন তারা অন্তত ৫-১০ টাকা বেশি ভাড়া নিবেই !!!
আপনি বাজারে যান, রমযান মাস শুরু হবার আগেও দিমের হালি ছিল ৩০-৩২ টাকা, রমযান মাস শুরু হবার আগের দিন বাজারে গিয়ে দেখি দিমের হালি ৩৬-৩৮ টাকা !!! শুধু দিম না প্রায় সব কিছুর দাম বাড়তি !!! যদি এটা শুধুমাত্র এই রমযান মাসে হত তবে অন্য কোনো একটা বুঝ দিতাম মনকে কিন্তু এই ঘটনা প্রতি রমযান মাসেই হয় !!! কারণটা সবাই জানি।
বড় বোনের জন্মদিন উপলক্ষে ৬মাস আগে একটা শাড়ি গিফট করেছিলাম ২৫০০ টাকা দিয়ে কাল সেই শাড়ির দাম করলাম ৬হাজার টাকা, তার কমে দোকানদার শাড়ি দিবে না !!! তার মানে কি দোকানদার অফ সিজনে আমার কাছে শাড়ি লসে বিক্রি করেছিল ? নিশ্চয়ই না। সেই সময়ে সে অন্তত ৫০০ টাকা লাভে আমার কাছে শাড়ি বিক্রি করে ছিল আর রমযান মাসে ৩ গুন লাভে বিক্রি !!! ইসলাম কি এটাকে সাপোর্ট করে? অতিরিক্ত মুনাফা ইসলাম কখনই সাপোর্ট করে না।
আপনি বাংলাদেশের যেখানেই তাকান না কেন, দুর্নীতি আর অসততার পরিমান এই রমযান মাসে বেরে যায় !!!
এই সব কথা বললে কিংবা ধর্ম নিয়ে কিছু প্রশ্ন করলে সবার মুখে এক কথা "তুই নাস্তিক, নাস্তিকের ফাসি চাই।"
একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল,
ঢাকার গাওসিয়া মার্কেটে আমার এক দুলাভাইয়ের দোকান আছে,
গত ঈদে মায়ের মুখে শুনেছিলাম সে নাকি ঈদে ৩০ লক্ষ্ টাকা লাভ করেছে ( ভালো কথা) আবার কিছু দিন আগে শুনলাম সে নাকি হেফাজতের আন্দলনে ১০ হাজার টাকা দান করেছে। এখন কথা হল সে গত ঈদে যে ৩০ লক্ষ টাকা লাভ করেছে সেটা অবশ্যই ইসলাম বহির্ভূত মুনাফার টাকা, অর্থাৎ সে ইসলামের আইন বা জীবনবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না অথচ ইসলামের প্রতি তার প্রেমটা দেখেন হেফাজতের আন্দলনে সে ১০হাজার টাকা দান করেছেন !!!!
ধিক্কার তোমায় মুসলিম বাঙ্গালী।