somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেয়া তুমি কি জানো (দানবিক রাক্ষস)

২৩ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কেয়া সে দিন আমি তোমায় বলেছিলাম,
তোমার সাথে পরিচয়,
তোমার কাছে আসা,
আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়,
তুমি আমার পূর্ণতা,
তুমি আমার মুকুট,
তুমি আমার সিংহাসন,
তুমি আমার রাজত্ব,
তুমি আমার মহাকাব্য,
তুমি আমার সাহিত্য,
তুমি আমার দেবী,
তুমি আমার পবিত্র গ্রন্থ,
তুমি আমার ইউনিভার্স,

কেয়া আমি তোমার হাত ধরে হাটতে চাই,
সারাটা জীবন, অনন্তকালের পথ ধরে।
কেয়া তুমি উড়ন্ত পাখি
আর আমি সাদামেঘ হয়ে তোমার সঙ্গী হতে চাই।
তোমাকে ভালোবাসতে চাই, এই জীবন দিয়ে,
তোমাকে ভালোবাসতে চাই, জম্ন থেকে জম্নান্তরে।
তোমাক ভালোবাসতে চাই, হাজার বছর ধরে,
তোমার দিকে চেয়ে থেকে আমি পার করতে চাই সহস্র শতাব্দী।

আমি যখন তোমার হাত ধরে, এসব বলছিলাম তখন আমি তোমার চোখে দেখেছি , তুমি উদাস বনে হারিয়ে গেছো, কি জানি ভাবছো!
হয়েত ভাবছো এসব কি সত্যি নাকি নিছক কল্পনা?
কিংবা ভাবছো অন্য কথা!

তুমি আমার সব কথা শুনেই গেলে কিছু বললে না,
আমার কাধে কিছুক্ষন মাথা রেখলে তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস,
তুমি চলে গেলে, সন্ধা হয়ে গেছে বলে।

রাত গভীর। আকাশে পূর্ণচন্দ্র ঝলমল করছে, কিন্তু কেয়া তুমি জানালার পাশে দাঁড়িয়ে অনুভব করছো শুধুই অন্ধকার। তোমার মনের ভিতর যেন কোনো ভয়ঙ্কর যুদ্ধ চলছে।আমার কথাগুলো ঝংকারের মতন বাজছে তোমার কানে।
একদিকে ভালোবাসা, অন্যদিকে সমাজের নির্মম শেকল, দায়বদ্ধতা । আর ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছো তুমি, যেন একটি ক্রীতদাসী, যাকে তার ভাবনার শৃঙ্খলে বন্দি করে রাখেছে।
তুমি জানো কেয়া আমি তোমাকে ভালোবাসি সারাজীবনের জন্য, নিঃস্বার্থভাবে। কিন্তু সমাজ বলে, তাদের এই ভালোবাসা নিষিদ্ধ। ধর্ম বলে, এই সম্পর্ক হারাম। পরিবার বলে, এটা অসম্ভব।
কেয়া তুমি কি মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছ এটা ভেবে যে ছোটবেলা থেকে তোমাকে যা শেখানো হয়েছে, সমাজের নিয়মই শেষ সত্য, ধর্মের শাসনই চূড়ান্ত আইন, আর তুমি সেটা ভাংগার সাহস পাচ্ছো না!
তাই কি তুমি কাঁদো, রাতের পর রাত নিরবে যন্ত্রণা সহ্য করে। তুমি জানো, আমিও অনেক কষ্ট পাচ্ছি।
কিন্তু তুমি এটাও জানো, আমাদের দুজনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে এক অদৃশ্য দেয়াল, যা ভাঙার ক্ষমতা তোমার নেই।

কেয়া, তুমি কি স্বাধীন নাকি মানসিক দাসত্বের পরাধীন ক্রীতদাসী?

কেয়া, তুমি কি জানো, আমি স্বাধীন, আমি বিদ্রোহী , আমি শেকল মানি না, মানি না এই সমাজের নস্ট নিয়ম কিংবা ধর্ম।
কেয়া তুমি কি জানো, Kratos দেবতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিল, শুধুমাত্র তার হারানো ভালোবাসার প্রতিশোধ নিতে, Kratos তার পরিবারের জন্য Olympus ধ্বংস করে দিছিল।
কেয়া তুমি কি জানো, Gorr the God Butcher প্রতিজ্ঞা করেছিল সমস্ত ঈশ্বরকে ধ্বংস করে দিতে, কারণ তারা তার ভালোবাসার কষ্ট অনুভব করেনি!

কেয়া তুমি আমাকে বলতে পারো, আমরা দেবতা নই বরং নিছক মানুষ যে আমরা ঈশ্বর বা সময়ের বিরুদ্ধে যেতে পারব। সমাজের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানে একাকীত্ব, এক নিষ্ঠুর লড়াই। পৃথিবী কখনো প্রেমিকদের জন্য সহানুভূতিশীল ছিল না। আমরা সমাজের তৈরি করা ক্রীতদাস। কিভাবে আমরা এই শেকল ভাঙতে পারব?”

তবে কেয়া তুমি কি জানো , Kratos প্রথমে ভাবত যে দেবতাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো অসম্ভব। কিন্তু যখন তার পরিবারকে হত্যা করা হলো, যখন সে দেখল যে সে শুধুই একজন ক্রীতদাস, তখন সে বিদ্রোহ করল। সে রক্ত আর আগুনের মধ্যে দিয়ে নিজের ভাগ্য নিজে গড়ল।

তবে কেয়া তুমি কি জানো , Gorr the God Butcher একজন নশ্বর ধার্মিক ছিল, কিন্তু সে যখন দেখল দেবতাদের কোনো ভালোবাসা নাই তাদের জন্য তখন সে রাগে, ক্রোধে দেবতাদের হত্যা করার প্রতিজ্ঞা করে আর তখনই Necrosword তার কাছে আসে আর সে God Butcher হয়ে যায়।

কেয়া তুমি আমাকে একবার বলো, আমি হয়ে যাব, দানবিক রাক্ষস , সব কিছু ভেংগে চুরমার করে দিব, আকাশ পাতাল এক করে দিব, এই সময় , এই সমাজ সব পরিবর্তন করে দিব , শুধু তোমাকে পাবার জন্য।
তুমি যদি একবার বলো, আমি হয়ে যাব kratos আর হাতে নিব Blades of Chaos সব ধংস করে দিব, শুধু তোমাকে পাবার জন্য।
তুমি যদি একবার বলো, আমি হয়ে যাব Gorr the God Butcher আর হাতে নিব Necrosword যা দিয়ে সব ঈশ্বরকে আমি করব বধ, শুধু তোমাকে পাবার জন্য।

কেয়া তুমি একবার বলো....
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগ কি শিখিয়েছে?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৬






অপমান, অপদস্থ থেকে বাঁচার উপায় শিখাইনি? ওস্তাদ মগা শ্যামী পাহাড়ে বসেও এসবের সমাধান করতে পারে, আপনি সামান্য অসুস্থতার জন্যও ব্লগে মিলাদ দেননি, দোয়া করেছেন কার জন্য? খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোরআন হাদিসই যদি মানতে হবে তবে আল্লাহ ফিকাহ মানতে বললেন কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪৬




সূরাঃ ৫ মায়িদা, ৬৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৭। হে রাসূল! তোমার রবের নিকট থেকে তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে তা’ প্রচার কর। যদি না কর তবে তো তুমি তাঁর... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ধর্ম অবমাননার ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২৯


ঢাকায় এসে প্রথম যে স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম, সেটা ছিল মিরপুরের একটা নামকরা প্রতিষ্ঠান। লটারির যুগ তখনো আসেনি, এডমিশন টেস্ট দিয়ে ঢুকতে হতো। ছোট্ট বয়সে বুঝিনি যে স্কুলের টিচাররা কোন মতাদর্শের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওরা দেশের শত্রু; শত্রু দেশের মানুষেরও...

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৮

ওরা দেশের শত্রু; শত্রু দেশের মানুষেরও...

অন্তর্জাল থেকে নেওয়া সূর্যোদয়ের ছবিটি এআই দ্বারা উন্নত করা হয়েছে।

ইসলামের পবিত্র আলো ওদের চোখে যেন চিরন্তন গাত্রদাহের কারণ। এই মাটি আর মানুষের উন্নয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

এডমিন সাহেব আমাকে নিয়ে অনেক বক্তব্য দিতেন এক সময়।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৯



আমার "চাঁদগাজী" নিকটাকে উনি কি জন্য ব্যান করেছিলেন, সেটা উনি জানেন; আসল ব্যাপার কখনো আমি বুঝতে পারিনি; আমার ধারণা, তিনি হয়তো নিজের দুর্বলতাগুলো নিয়ে ভয়ে ভয়ে থাকতেন; মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×