somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্লিজ হাসবেন না

১১ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অফিসে যাচ্ছে ক্যাবলা। হাতে খাবারের প্যাকেট। যাওয়ার পথে ক্যাবলা ব্যাগ থেকে খাবারের প্যাকেটটা বের করে কিছুক্ষণ ভালো করে দেখে ব্যাগটা আবার জায়গামতো রেখে দিল। তারপর হনহন করে সামনের দিকে হাঁটা ধরল। ক্যাবলার অফিসের এক সহকর্মী এটা দেখে ক্যাবলাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ভাই, রাস্তার মাঝে এভাবে খাবারের বাটি খুলে দেখে আবার রেখে দিলেন কেন? খিদে পেয়েছিল বুঝি?’ ‘আমি কি আপনার মতো বোকা নাকি যে রাস্তাঘাটে খিদে পাবে!
আমি অফিসে যাচ্ছি না অফিস থেকে বাসায় ফিরছি—এ বিষয়টি পরখ করতেই খাবারের বাটি দেখছিলাম!’ ক্যাবলার জবাব।


হাবলু আর বিল্টুর মধ্যে কথা হচ্ছে—
হাবলু: জানিস, আজ আমার মোবাইল ফোনে অদ্ভুত একটি মেসেজ এসেছে। আর সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইলটি বন্ধ হয়ে গেছে।
বিল্টু: বলিস কী রে! মেসেজে কী লেখা ছিল?
হাবলু: ব্যাটারি লো।
বিল্টু: বলিস কী? মেসেজটা তাড়াতাড়ি আমাকে পাঠিয়ে দে। আমি ওই মেসেজ সবাইকে পাঠিয়ে সবার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেব।


সঞ্জু তার চেকবই হারিয়ে হন্তদন্ত হয়ে ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছে গেছে—
ম্যানেজার: আপনি একটু সচেতন থাকবেন না! এখন কেউ যদি আপনার স্বাক্ষর নকল করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেয়, তখন কী করবেন?
সঞ্জু: অন্যজন কীভাবে আমার স্বাক্ষর নকল করবে? আমি কি বোকা নাকি!
ম্যানেজার: কেন?
সঞ্জু: আরে আমি তো চেকবইয়ের সব পৃষ্ঠাতেই স্বাক্ষর করে রেখেছি। অন্য কারও স্বাক্ষর নকল করার আর কোনো সুযোগই নেই।


দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে—
প্রথম বন্ধু: জানিস, আমার আর লিজার বিয়ে হয়ে গেছে।
দ্বিতীয় বন্ধু: তাই নাকি রে! আগে তো বলিসনি। এত দিন প্রেম করলি। তা কবে তোদের বিয়ে হলো?
প্রথম বন্ধু: আমার বিয়েটা হয়েছে এ মাসের ১৬ তারিখ। আর লিজার ২৫ তারিখ।


সড়ক দুর্ঘটনা ঘটানোর অভিযোগে সঞ্জুকে আদালতে হাজির করা হয়েছে—
বিচারক: কীভাবে ঘটালেন দুর্ঘটনাটা?
সঞ্জু: কোন দুর্ঘটনা?
বিচারক: কেন, যে দুর্ঘটনাটির জন্য আপনি আদালতে?
সঞ্জু: ওই সময় আমি জেগে থাকলে না হয় বলতে পারতাম। কিন্তু হুজুর, আমি তো ওই দুর্ঘটনার সময় ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলাম।


হাবলুকে স্নানঘরের দরজা খুলে গোসল করতে দেখে পল্টু বেশ লজ্জা পেয়ে চেঁচামেচি করছে। স্নানঘরের ভেতর থেকে হাবলু বলছে, ‘কী রে পল্টু, এভাবে চিৎকার করছিস কেন?’ পল্টু বলল, ‘তোর কি কোনো লজ্জা-শরমের বালাই নেই। বাসায় দরজা খুলে কেউ গোসল করে নাকি?’
‘দরজা খুলে গোসল করব না তো কী! ব্যাটা তুই যে বজ্জাত। লুকিয়ে লুকিয়ে তালার ফুটো দিয়ে আমার গোসল করা যাতে দেখতে না পারিস সে জন্যই তো দরজা খোলা রেখে গোসল করছি।’ হাবলুর জবাব।


মন্টু ও চিকিৎসকের মধ্যে কথা হচ্ছে—
মন্টু: স্যার, আমি বাসার চাবি গিলে ফেলেছি।
ডাক্তার: বলেন কী! কখন এ ঘটনা ঘটালেন?
মন্টু: তা প্রায় মাস দুয়েক হবে।
ডাক্তার: এত দিন আসেননি কেন?
মন্টু: স্যার, তখন একটি নকল চাবি বানিয়ে নিয়েছিলাম। আজকে সেটাও হারিয়ে গেছে, তাই বাধ্য হয়ে আপনার শরণাপন্ন হয়েছি।


দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে—
প্রথম বন্ধু: জানিস, কাল রাতে কী হয়েছিল?
দ্বিতীয় বন্ধু: কেন, কী হয়েছে?
প্রথম বন্ধু: দুই ছিনতাইকারী আমাকে ধরে মারধর করে সবকিছু নিয়ে গেছে।
দ্বিতীয় বন্ধু: তুই না সঙ্গে লাইসেন্স করা পিস্তল রাখিস। ছিনতাইকারীদের ওটা দেখালে তো পারতি!
প্রথম বন্ধু: বোকার মতো কথা বলিস কেন? আমি তো ওটা পেছনে বেল্টের সঙ্গে লুকিয়ে রেখেছিলাম। ভাগ্যিস, ছিনতাইকারীরা টের পায়নি। টের পেলে তো পিস্তলটাও নিয়ে যেত।


প্রথমবারের মতো হাবলু গেছে রেস্তোরাঁয় খেতে। কিছুক্ষণ পর ওয়েটার একটা মেন্যুবই নিয়ে হাবলুর সামনে এসে বলল, ‘স্যার, কোনটা খাবেন?’ হাবলু মেন্যুবইয়ে খাবারের নামগুলো ভালো করে দেখে একদম শেষেরটাতে আঙুল রেখে বলল, ‘এটা দিয়ে দিন।’
ওয়েটার বলল, ‘স্যার, এটা তো আপনি খেতে পারবেন না।’ হাবলু বলল, ‘মেন্যুতে লিখে রেখেছেন অথচ এখন বলছেন, এটা খেতে পারব না। এটা কেমন ফাজলামো।’ ‘স্যার, আপনি শেষেরটা দেখিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু শেষেরটা হচ্ছে এই রেস্টুরেন্টের মালিকের নাম। ওটা কী করে খাবেন, স্যার।’ ওয়েটারের জবাব।


৯ অক্টোবর ২০১০ প্রথম আলোতে প্রকাশিত
কৌতুক সংগ্রহ: আবু হেনা
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×