বুলবুলি পড়ে মহিলা কলেজে ইন্টার মিডিয়েট ১ম বর্ষে জি,পি এ ৫ ছিল তার এস,এস সি তে সহজ সরল বললে ভূল হবে । দেখতে সে অসাধারন কিন্তু তা সবার গোচরে আসে না কেননা বোরখা ছাড়া তাকে দেখেছে এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম ,বেশ চালাক ই বলা যায় তাকে।
তার সেল ফোন নাম্বার যেন বেহাত না হয় এ জন্য সে অনেক সচেতন
সে থাকে কলেজ হোষ্টেলে বাবা মায়ের দ্বিতীয় সন্তান তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ বর্ষের ছাত্র।
তাদের বাড়ি গ্রামে হলেও তারা শহরের মতই থাকে ,বাবা সরকারী বাংক কর্মকতা হওয়ার কারনে অফিসের প্রয়োজনে বিভিন্ন জায়গায় থাকতে হয় তার।
বুলবুলি তার কয়েকজন বান্ধবী মিলে প্রাইভেট যাওয়ার আগে বাবার সাথে তার কথা বলা রোজ দিনের কাজ ,তাই কল করতে গিয়ে দেখে মোবাইল ফোনে টাকা নাই, কোথাও মোবাইলের কার্ড না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে অন্য এক বান্ধবীকে দিয়ে ফ্লেক্সি করালো,এরপর আর বেশিক্ষন অপেক্ষা করতে হয়নি,
বুলবুলি: হ্যালো কে বলছেন প্লিজ ,
মোবা: জি ম্যাম ,আমি অপরিচিত একবন্ধু তবে অপরিচিত থাকবো না কেননা এত সুন্দর আপনার ভয়েজ কেহ অপরিচিত থাকবেই না,
বুলবুলি: দেখুন ভাই দয়া করে আপনী আর আমাকে ফোন করবেন না,, প্রথমে ভালো ভাবে বলা হলো ,,কিন্তু কাজ হলো না তার পর গালাগালি ,হুমকি কোন কিছুতেই কাজ হলো না, চলতেই থাকলো...একজন দু,জন একদিন দু,দিন চলছে প্রতিদিন...
তারপরের ঘটনা গুলো আর তেমন জানা হলো না,কেটে গেল ২বছর । তারপর একদিন জানা হলো তার অবস্থা ,সে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। যে ছেলের সাথে তার বিয়ে হয়েছে, সে তাকে বলেছিল সে ইউনিভার্সিটি পড়ে ,পালিয়ে যাওয়ার পর যে সে জানতে পারে ছেলে কোন রকমে এস,এস,সি পাস করে, এখন বাবার টাকার শ্রাদ্ধ করছে,সাথে রয়েছে বোতল এবং কলকি খাওয়ার সু অভ্যাস।
এরপর বাবার বাড়ী বা শ্বশুর বাড়ী কোথাও তার থাকা হলো না ,কেউ তাদের মেনেও নেয়নি। বিয়ের কারনে এইচ.এস.সি ও পাস করা হয়নি তার । যার জন্য সে ঘর ছাড়ল সেও এখন বিনা কারনে সন্দেহ করে এবং বাবার কাছ থেকে টাকা আনার জন্য নির্যাতন করে। শেষ অবধি সে তার স্বামীকে তালাক দিয়ে তার এলাকার এক চাচার মাধ্যমে ঢাকয় চলে আসে কাজ করে গার্মেন্টসে ,গার্মেন্টসে আর আট দশ জন মেয়ের মতোই চলছে তার জীবন। এই হল বুলবুলি বর্তমান অবস্থা ফ্লেক্সি দিল বন্ধুত্ব কেড়ে নিল স্বপ্ন,দিয়ে গেল ভালোবাসার তিক্ত স্বাধ...!
এভাবে চলছে..
আন্টি দাদি সবার কাছে আসা বিরক্তিকর কল..কয়জনের নাম্নার আর কল ব্লগ করা যায়..!
আমার পরিচিত একজন খালাকে রোজ একজন ফোন করে , নানান কথা বলে তিনি অপর প্রান্তের জনাব কে বলেন দেখ তুমি আমাকে চেনো ? আমার নাতী আছে তোমার বয়সের হবে তার পরও সে বিস্বাস করে না। নাম্বার কোথায় পেয়েছ জানতে চাইলে রোমান্টিক কথার ডালপালা তৈরি করে।
সম্ব বত জনাব ছেলেটি কোন দোকানে চাকরী করে মোবাইল নতুন কিনেছে।
খালা তাকে একসময় বলে ,বাবা আমার বাসার ঠিকানা নাও আমার বাসায় এসে এক কপ চা খেয়ে আমাকে দেখে যেও।
এখন প্রশ্ন:
তারা মোবাইল নাম্বার কোথায় পায়..?
এর সহজ উত্তর হল ফ্লেক্সি লোড.
তাই আসুন সবাই ফ্লেক্সি কে বর্জন করি.
””ফ্লেক্সিলোড নিপাত যাক”

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




