মাইরের মধ্যে ভাইটামিন আছে! মাথায় আর কিছু ঢুকে না, স্যার! মাইরের মধ্যে ভাইটামিন থাকে কেমনে? এতো অদ্ভুত কথা আপনে আবিষ্কার করেন কোনখান থিকা!? তিনদিন আগে ছোটন টেবিলের উপর পুরোনো একটা খাতায় লেখাটা দেখতে পেয়েছিলো, এরপর থেকে তার চিন্তার অবধি নেই।
স্যার খুব বিরক্তি নিয়ে ছোটনের দিকে তাকালেন। স্যারের প্রচন্ড ইচ্ছে করছে ওকে ধরে দুটো আছাড় দিতে। কিন্তু তেমন কিছুই করতে পারছেন না স্যার। স্যার এখন লিখছেন। বাসায় বিদ্যুৎ নেই, মূলত গোটা এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। ঝড় বৃষ্টির রাত, এমন সময় বিদ্যুৎ না থাকাটাই স্বাভাবিক। স্যার নিবিড় মনোযোগে চেয়ারের হাতলে হাত রেখে তালু মুঠ করে গালে ভর দিয়ে বসে আছেন, মাঝে মধ্যে ডান হাতটা চেয়ারের হাতলে রেখে তর্জনী নাড়াচ্ছেন।
ছোটন এক জায়গায় বসে থাকার মানুষ নয়। সে অস্থির প্রকৃতির। স্যারকে সে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বারবার এটা সেটা নানান রকম প্রশ্ন করবে।
স্যার এতো কি ভাবেন? একটু শান্ত স্বরে জিজ্ঞেস করলো।
স্যার সোজা বসে থেকেই উত্তর দিলেন, ভাবি না লিখি।
স্যারের এই উত্তর শুনে ছোটনের মাথা চক্কর মারলো। এ কেমন লেখা লিখেন স্যার! খাতা নাই কলম নাই! কিছুই মাথায় ঢুকে না আমার!
স্যার অনেকটা শান্ত স্বরে বললেন, আসলে আমি মনে মনে লিখছি।
স্যার আপনার মাথায় যে কি অদ্ভুত অদ্ভুত জিনিস আসে, আপনে আসলেই অদ্ভুত কিসিমের মানুষ!
স্যার এবার সত্যি প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে বললেন, তোমাকে সাথে রাখাই আমার ভুল হয়েছে! তুমি যাও এখন।
ছোটন খুব করুন সুরে বললো, স্যার আমি কি চলে যাবো?
হ্যা চলে যাবে, এবং দ্রুত।
স্যার আপনাকে এখন কিছু এনে দিতে হবে! খুব মায়া ভরা সুরে বললো।
না, তুমি এখন যাও। একদম সোজা বাসায়, আশেপাশে যেন না পাওয়া যায়।
ছোটন কথাটা শুনে একদম বোকা হয়ে গেলো। আর কোনো কথা বলার মত পেলো না। মুখ ভার করে চুপচাপ ঘর থেকে বের হয়ে গেলো। বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে সবখানে পানি জমে গেছে। এই বৃষ্টিতে ভিজেই স্যারের জন্য এক প্যাকেট সিগারেট এনে টেবিলে রেখে চলে গেলো সে।
স্যার ওর কর্মকান্ড সবই লক্ষ্য করছেন কিন্তু কিছুই বলছেন না। উনি জানেন ওকে কিছু বলে লাভ নেই। সে এক অস্থির প্রকৃতির ছেলে। একদিন স্যার ওকে সঙ্গে করে বাজারে নিয়ে গিয়েছিলো। মাছের বাজারে ঢোকার পর ছোটন পুরোই অস্থির হয়ে গেলো। বারবার কানের কাছে এসে বলতে লাগলো, স্যার ইলিশ মাছ নেন সেই টেস্ট, স্যার ইলিশ মাছ নেন সেই টেস্ট।
এ কান্ড দেখে স্যার বিরক্ত না হলেও পরের কান্ড দেখে পুরোই বিরক্ত হয়ে গেলেন। স্যার যে মাছটা কিনেছিলেন, সেই মাছটা খুব গভীর ভাবে খুঁটিয়ে দেখছিলো। এমন ভাবে দেখছিলো যেন মাছের ময়না তদন্ত করা হচ্ছে।
সে মাছটা হাতে নিয়ে মাছওয়ালাকে বললো, মাছ যদি পচা বের হয় তোমার খবর খারাপ আছে, মনে রাইখো।
.
এই সন্ধ্যা রাতে বিদ্যুৎ নেই। বাইরে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। ছোটন একটা ভাঙা ছাতা নিয়ে হেটে বাসায় ফিরে গেল। বৃষ্টিতে ভিজে সে পুরো একাকার হয়ে ফিরলো বাড়ি। ছোটনের মা এই অবস্থা দেখেই ওকে বকাঝকা করা শুরু করলো; ঐ বেক্কল পোলা, গাধা গরু, তুই একটা বেহায়া। এতো কইরা বললাম, বৃষ্টির দিনে বাইরে যাইস না। না তুই কোনো কথা শুনলি না।
মা বাদ দাও তো এই চিল্লাফাল্লা। এখন একটা গামছা দাও, আর ভাত দাও খিদা লাগছে।
এহ্ ভাত দাও, খিদা লাগছে। হারামজাদা। আগে ক তুই কই আছিলি!? তোর কোন বন্ধুর লগে আছিলি?
মা ঐ একই প্যান প্যান কইরো না তো। আমি স্যারের লগে আছিলাম। তুমি স্যাররে চিনো? উনি অনেক বড় মানুষ, দুনিয়ার সব মানুষ উনারে চিনে! উনার সাথে থাকা মানে বহুত বড় ব্যাপার।
এহ্ গোলামের ঘরে গোলাম। স্যারের লগে আছিলো। তোরে লগে রাখবো কেডায়.? কেউ কি তোর মত পাগল হইছে। ছোটনের মা ভীষণ রেগে আছে। ছেলের এরকম কীর্তি কান্ড দেখে দেখে সে খুব বিরক্ত।
ছোটন জবাব দেয়, একদিন সবই জানতে পারবা মা। আমি কার লগে আছিলাম। এখন খাইতে দাও।
.
আজ তিনদিন হয়ে গেলো অথচ ছেলেটার কোনো দেখা সাক্ষাৎ নেই। সেদিন রাগের মাথায় বেরিয়ে যেতে বলেছিলাম সেইজন্যই কি আসে না! না না, ওরকম ছেলে তো ও না। তাহলে কোনো সমস্যা হলো না তো?! ছেলেটার বাড়ির ঠিকানাও তো জানা নেই।
স্যার দারোয়ান কে ডেকে পাঠালেন। দারোয়ান ছুটে এসে, জি স্যার, ডাকছিলেন?
আচ্ছা, ছোটন ছেলেটা আসেনা কেন? তুমি কি কিছু জানো?
না স্যার, কেন্ স্যার, কোনো দরকার?
এমনিতেই। আজ তিনদিন হলো ছেলেটার কোনো খোঁজ নেই..!
হের কথা বাদ দেন স্যার। এই পোলায় যেই ইবলিস..!
স্যার খুব বিরক্তি নিয়ে বললো, ঠিক আছে তুমি এখন যাও। আর শোনো মানুষকে কখনো ইবলিস বলবানা। মানুষ হলো আশরাফুল মাখলুকাত। মনে থাকবে?
যে স্যার মনে থাকবো।
তুমি যাও আর ছেলেটার বাসার ঠিকানা খুঁজে বের করো।
আইচ্ছা স্যার, এই বলে দারোয়ান চলে গেলো। স্যার বসে ভাবছেন, ছেলেটার কোনো সমস্যা হয়নি তো! কোনো অসুখ বিসুখ হলো না তো। বিভিন্ন রকমের চিন্তা মাথায় আসতে লাগলো।
স্যার চুপচাপ বসে ভাবছেন, এমন সময় দারোয়ান এলো মকবুলকে নিয়ে। মকবুল বাড়ির কেয়ার টেকার, সে জানালো, স্যার আমি ওর বাড়ি চিনি। কাইল সকালে আপনারে নিয়া যামুনে।
না কাল সকালে না, এক্ষুনি নিয়ে চলে।
কন কি স্যার? এই রাইতে, আর বাইরে তো বহুত বৃষ্টি! কাইল যাই স্যার?
না, আমাকে এখুনি যেতে হবে। আর এখন বেশি রাত নয়, মাত্র সাড়ে সাতটা বাজে।
খাড়ান স্যার একটা ব্যবস্থা করি।
মকবুল মনে মনে বলছে, এই লোকটা আসলেই আজব। এই বৃষ্টির মইধ্যে কেউ বাইর হয়। আর কোনহানকার এক পোলার লাইগা, কি যে একটা অবস্থা! ধূরর...
.
বৃষ্টি এখন একটু কম, তবে কিছু জায়গায় একটু একটু পানি জমেছে। মকবুল বিশাল একটা ছাতা জোগাড় করেছে। স্যারকে নিয়ে যাচ্ছে ছোটনের বাড়ি। গ্রাম হলেও রাস্তা ভালোই, হাতে বসানো ইটের রাস্তা হাটতে তেমন অসুবিধে হচ্ছে না।
মকবুল স্যারকে নিয়ে মোটামুটি পুরোনো একটা বাড়ির সামনে এসে দাড়ালো। বাড়িটার চারিদিকে বাশের কঞ্চির বেড়া দেয়া। দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ পুরোনো বাড়ি, তেমন কোনো সংস্কার করা হয়নি অনেকদিন। চালের টিনগুলো মরচে ধরে গেছে এই আবছা আলোর রাতেও স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। মকবুল ছাতা হাতে ধরে দাঁড়িয়ে বাড়ির বাইরের গেটের সামনে থেকে উঁকি দিয়ে জিজ্ঞেস করলো, ছোটন বাড়িতরে তুই?
কোনো রকম সারা শব্দ পাওয়া গেলো না।
মকবুল আবারো জিজ্ঞেস করলো এবার অন্য ভাবে, ছোটনের বাপ বাসায় আছো?
কয়েকবার জিজ্ঞেস করার পর ছোটনের মা উত্তর দিলেন, কেডা আপনে!?
আমি মকবুল, ছোটনের বাপ বাসায় নাই? ছোটন কি করে!?
ও মকবুল ভাই! ছোটনের বাপ তো বাড়িতে নাই। আর ছোটন তো বাড়িতেই ওর শরীরে জ্বর।
এখন তুমি দরজা খুলো, ভেতরে আইতে দেও। তারপর দেখ কে আইছে!
ছোটনের মার বুকে চিনচিন করে উঠলো! কে এসেছে? ছোটন আবার কোনো উল্টা পাল্টা কিছু করে নাই তো? কে আইছে ভাই? খারান দরজা খুলতাছি।
দেখো স্যার আসছেন। ছোটন তোমারে স্যারের কথা কয় নাই?!
ছোটনের স্যার কথাটা শুনে উনি পুরো বিস্মিত হয়ে গেলো, মনে হলো মাথার উপর বাজ পরলো। স্যার আসছেন এই রাতে বৃষ্টির মধ্যে! ছোটন কি কোনো উল্টা পাল্টা কিছু করছে কি না!
আসেন ভাই, স্যারকে নিয়ে আসেন। আগে বলবেন না ছোটনের স্যার আছে সাথে।
স্যার আর মকবুল বাড়িতে ঢুকলেন, মাত্র দুটো রুম। মকবুল ছাতা টা বন্ধ করছে, ছোটনের মা তড়িঘড়ি করে একটা চেয়ার এগিয়ে দিলেন, স্যার আপনে বসেন, কিছু মনে করবেন না স্যার, বাড়িতে কারেন্ট নাই এদিকে হারিকেন জ্বালাই বাতাসে নিভা যায়।
আপনি কোনো টেনশন করবেন না। ছোটন কোথায়? আমাকে ওর কাছে নিয়ে চলুন।
ও পাশের ঘরে শুইয়া আছে। পোলাডায় আমার কোনো কথা শুনে না, বৃষ্টিতে ভিজা জ্বর বাধায়া ফেলছে শরীরে। আচ্ছা আপনে কি ওর স্কুলের স্যার? ওরতো তিনদিন ধইরা জ্বর। তাই স্কুলে যাইতে পারে না।
ছোটন যে ঘরে শুয়ে আছে স্যারকে নিয়ে গেলেন সেই ঘরে। মকবুল চেয়ারটা এগিয়ে দিলো। ছোটন জ্বরের ঘোড়ে গোঙাচ্ছে।
স্যার ছোটনের মাকে জিজ্ঞেস করলেন, ওকে কোনো ডাক্তার দেখিয়েছেন?
না স্যার, ওর বাপ তো ঢাকা গেছে, আসলে তারপর দেখামু। স্যার এক কাপ চা দেই, চা খান। আপনে আসছেন ছোটনরে দেখতে। ওয়তো সারাদিন খালি স্যার স্যার করে। আর জ্বরের ঘোড়ে কি সব যে বইলা উঠে!
স্যার জিজ্ঞেস করলেন, কি কি বলে?
ছোটনের মা বললেন, ও একটা পাগল। কাইল রাইতে বলতাছিলো, মা আমার স্যার আসবো তুমি ইলিশ মাছ রান্ধ, স্যার ইলিশ মাছ খাইবো। মুরগির সালুনও রাইন্ধ, স্যার মুরগির সালুন দিয়া ভাত খাইবো। আবার কয়, মা কালিজিরা চাইলের মুড়ি বানাও স্যার আইতাছে, স্যার মুড়ি খাইবো আর জোছনা দেখবো। কি যে করি এই পোলারে নিয়া, এই তিনদিন কিছুই খায় নাই, আইজ দুপুরে খালি একটু জাউ খাইছিলো। কথাটা বলেই তার চোখ দিয়ে পানি এসে পড়লো।
স্যার ছোটনের দিকে তাকিয়ে আছে। ছোটন একটা মোটা কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে, তার মুখটা একদম মায়ায় ভরা, তিনদিনের জ্বরে অনেকটা শুকিয়ে গেছে। স্যার কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। শরীরে হাত দিয়ে একবার দেখবে নাকি কপালে হাত দিয়ে দেখবেন কতটুকু জ্বর এসেছে। সেটাও করতে পারছেন না। প্রবল মায়া ভর করলে মানুষ ভেবে পায় না সে কি করবে।
ছোটনের মা আঁচল দিয়ে মুখ মুছলেন। স্যার উনার কান্না দেখে বললেন, কাঁদবেন না। ও ছোট মানুষ। তিনদিন ধরে জ্বর, ওর দ্রুত ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন। মকবুল, গ্রামের যে ডাক্তার বসেন তাকে নিয়ে এসো দ্রুত।
মকবুল একটু বোকা হয়ে গেলো কথাটা শুনে। কিন্তু স্যার এই বৃষ্টির রাতে ডাক্তার আসবো?
আসবেন। না হলে তুমি আমার কথা বলবে। যে আমি তাকে অনুরোধ করেছি। তুমি তাড়াতাড়ি যাও।
মকবুল আইচ্ছা ঠিক আছে বলে ডাক্তারের উদ্দেশ্যে রওনা হলো।
.
ছোটন একটু চোখ খুলে তাকালো, কিন্তু সামনে কে তা ভালো ভাবে দেখতে পেলো না, জ্বরের ঘোরে ও চোখের সামনে সব অস্পষ্ট দেখছে। স্যার ছোটনের সামনেই বসে আছেন। ছোটন কাঁথাটা আরেকটু টেনে শরীরে জড়িয়ে নিলো, আরেকটু কুঁকড়ে পড়লো। জ্বর ঠান্ডায় কাঁপছে। ছোটনের মা, হালকা ভেজা একটা কাপড় দিয়ে ওর মুখ টা মুছে দিলেন।
ছোটন দেখ বাবা কে আইছে। তোর স্যার আইছে।
ছোটন প্রচন্ড জ্বরে শরীর কাঁপছে, মনে হচ্ছে আগুনে পুড়ে যাবে শরীর! জ্বরের ঘোরে বলছে, আমার স্যার আইছে!! দেখছো মা আমার স্যাররে দেখছো। কইছিলাম না মা আমার স্যার আসবো। দেখছো মা তুমি। কথা গুলোও স্পষ্ট বের হচ্ছে, কন্ঠটা কাঁপছে। কথা গুলো জড়িয়ে যাচ্ছে!
ছোটনের মা'র চোখ দিয়ে বাঁধ ভাঙা পানি গড়িয়ে পড়ে, তার বলার মত কিছু নেই। আঁচল দিয়ে শুধু চোখের অশ্রু লুকোচ্ছেন!
স্যার এ সব কিছুই অনুধাবন করছেন। তিনি ছোটনের দিকে তাকিয়ে আছেন। তার চোখের কোণে সাদা হালকা ময়লা জমেছে, ওর মা ছেলের মাথায় জ্বলপট্টি দিচ্ছেন আর কাঁদছেন। স্যার কি বলে কি বুঝাবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না। কিভাবে বুঝাবেন ছোটন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে, তিনি সে ভাষাও খুঁজে পাচ্ছেন না।
স্যার খুব উদ্বিগ্ন হয়ে মকবুলের ফেরার কথা চিন্তা করছেন, কখন সে ডাক্তারকে নিয়ে আসবে? দু একবার পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখলেন। কিন্তু মনে কোনো শান্তনা পেলেন না। মনে হচ্ছে এই এলো বুঝি!
.
রাত বাড়ছে, বৃষ্টি বাড়ছে। স্যার সামান্য ঝুকে দুই হাতের আঙুলগুলো একটার সাথে আরেকটায় দুই হাতে মুঠ পাকিয়ে বসে আছেন, আর মনে মনে লিখছেন। স্যারের চোখের সামনে ভেসে উঠছে; ছোটন তার বন্ধুদের সাথে খেলছে, দৌড়োচ্ছে, দস্যিপনা করছে, ঢিল ছুড়ে কাঁচা আম পারছে, সেই আম কুড়িয়ে নিয়ে ছুটে পালাচ্ছে, নদীতে সাতরাচ্ছে, জাল ফেলে মাছ ধরছে, ধানের ক্ষেতের উপর দিয়ে ছুটে চলছে, মুষলধারে বৃষ্টিতে ভিজছে... আজ এমন রাতেও অনেক বৃষ্টি। অঝোরে ঝরছে। ছোটন ঘুমিয়ে পড়েছে, নিষ্পাপ শিশুর মত। স্যার লিখে যাচ্ছেন, শুধু লিখেই যাচ্ছেন। বৃষ্টিও থেমে যায় না, এ লেখাও শেষ হয়ে আসে না...
--- ইহা শুধুই একটি গল্প এবং কাল্পনিক!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:০৪