ষ্টিফেন হকিন্সের পরকাল ভাবনা
বিজ্ঞানীর বিশ্বাস আর বিজ্ঞান এক নয়, প্রমানহীন তত্ত্ব আর প্রমাণযুক্ত তথ্য এক নয়। এই জায়গাটিতে আমরা অনেক সময়ই মারাত্মক ভুল করে ফেলি। এক সময় বেশিরভাগ নাস্তিক বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করতো মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল নয় তাই তারা মহাবিশ্ব ধ্বংসের বেপারটাও বিশ্বাস করতেন না। কিন্তু পরবর্তীতে হাবল এর টেলিস্কোপ,রেড শিফট তাদের জানায় যে মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল এবং একই সাথে তাপ গতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র সুস্পষ্ট ভাবে জানায় যে মহাবিশ্বের সব কিছুই তাপ হারিয়ে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আর এর আলোকেই নাস্তিক বিজ্ঞানীরা তাদের পূর্বের বিশ্বাস যেমন অসম্প্রসারণশীল মহাবিশ্ব কিংবা বিশ্ব জগত ধ্বংস না হওয়ার ধারনা ভুল বলে বুঝতে পারেন। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয় হল, তারা বিজ্ঞানী হয়ে যে বিশ্বাসের উপর আসীন ছিলেন বিজ্ঞানই এক সময় তাকে বাতিল করে দিয়েছে তার তথ্য প্রমানের আলোকে।
এবার আসা যাক ষ্টিফেন হকিন্স এর কথায় যা কালের কণ্ঠ প্রচার করেছিল। তিনি বলেছেন যে পরকাল বলতে নাকি কিছুই নেই। আচ্ছা ষ্টিফেন হকিন্স কি স্রস্টার সাথে যোগাযোগ করে এটা জেনেছেন যে, মহাবিশ্ব ধ্বংসের পর নতুন একটি ব্যবস্থা মহান স্রস্টা তৈরি করবেন না? তাহলে তার এ কথার ভিত্তি কি??? ভিত্তি হল বিশ্বাস। আর আগেই তো বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীর বিশ্বাস আর বিজ্ঞান এক নয়, তত্ত্ব আর তথ্য এক নয়। তাই আসুন আমরা বিজ্ঞানীর বিশ্বাসকে বিজ্ঞান ভেবে যাতে বিভ্রান্ত না হই। আর বিভ্রান্তি থেকে বেঁচে থাকার জন্য সর্ব বিজ্ঞানের উৎস মহান স্রস্টা থেকে জ্ঞান প্রাপ্ত নবীদের শরণাপন্ন হই।