(০১) প্রতিদিন সকালে মহানগরির রাস্তা ঝাড়ু দেয়া ও দিনে দুই বার (সকালে ও বিকালে) রাস্তায় পানি ছিটিয়ে রাস্তা ধুয়ে দিতে হবে-
(০২) ছোটো গাড়ির ব্যবহার অতিমাত্রায় কমাতে হবে, ছোটো গাড়িতে “সড়ক কর” (Road Tax) আইন প্রবর্তন করতে হবে-
প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস রাস্তায় বের করতে হলে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা “সড়ক” ((Road Tax)) দিতে হবে-
আগে “সড়ক কর”( (Road Tax) পরিশোধ করে ছোটো গাড়ি (প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস) রাস্তায় নামাতে হবে-
তাতে ছোটো গাড়ির চলাচলের পরিমাণ ৫০% - ৭০% কমবে বলে আমি মনে করি-
(০৩) ব্যাপক গনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে-
জলবায়ু তহবিলের টাকায় যাত্রি ছাউনি, ফুট ওভার ব্রিজ, সড়ক সেতু, কালভার্ট নির্মান বন্ধ করতে হবে :
যথাযথ জলবায়ু বিপর্যয় রোধে কার্যকরি ব্যবস্থা নিতে হবে -
যেমন : (ক) সড়ক মহাসড়কের দুেই পাশে বনজ ও ফলের (নিম ও কাঠাল) গাছ লাগানো - সরকারি অফিস ও আবাসিক চত্বরে ব্যাপক পলদ বৃক্ষ রোপন করতে হবে - মোট ভুমির ২৫% বৃক্ষ রোপন নিশ্চিত করতে হবে।
(খ) বায়ু, জল স্রোত ও সৌর শক্তি দিয়ে নবায়নযোগ্য বিদ্যুত ও জ্বালানি উৎপাদন করতে হবে -
(গ) ইট ভাটা সম্পুর্ণ বন্ধ করে বিকল্প ইট (ব্লক ইট, কমপ্রেস স্টালাইজার, প্যরা সিমেন্ট, আর্থ ব্লক, থারমাল ব্লক) ব্যবহারের করতে হবে-
(০৪) স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য পুস্তকে “বায়ু দুষণ, “জলবায়ু বিপর্যয়”, “পরিবেশ বিপর্যয়”, “সচেতনতা ও করনিয়” বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি-
(০৫) নদী ভাঙ্গন রোধে নেদারল্যান্ডসের মতো উপকুলে স্থায়ি “বেড়ি বাধ” নির্মান করতে হবে-
(০৬) গবাদি পশু পাখি নিয়ে বসবাসের উপযোগি “সাইক্লোন সেল্টার” (Cyclone Shelter) নির্মাণ করতে হবে-
(০৭) সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে যাওয়া সম্ভাব্য জনগোষ্ঠিকে উন্নত বিশ্বে “অভিবাসনের” উদ্যোগ নিতে সরকারকে বিনত অনুরোধ জানাচ্ছি-
(০৮) দেশে Climate Emergency ঘোষনার জন্যে সরকারের নিকট আবেদন (দাবি) জনাচ্ছি -
(০৯) শহরের খাল “দখল মুক্ত” করে পানির প্রবাহ সৃষ্টি করতে হবে, “জলাবদ্ধতা” কমাতে হবে -
(১০) দেশের সর্বত্র মরে যাওয়া খাল ও নদী খনন করে “নাব্যতা” বাড়িয়ে পানির প্রবাহ সৃষ্টি করতে হবে -
(১১) নদী শাসন করে “নদী ভাঙন” রোধ করতে হবে -
(১২) কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করে, বায়ু, জল স্রোত ও সৌর শক্তি দিয়ে নবায়নযোগ্য বিদ্যুত ও জ্বালানি উৎপাদন করতে হবে -
(১৩) ইট ভাটা সম্পুর্ণ বন্ধ করে বিকল্প ইট (ব্লক ইট, কমপ্রেস স্টালাইজার, প্যরা সিমেন্ট, আর্থ ব্লক, থারমাল ব্লক) ব্যবহারের আইন করতে হবে-
সড়ক মহাসড়কের দুেই পাশে বনজ ও ফলের (নিম ও কাঠাল) গাছ লাগানো - সরকারি অফিস ও আবাসিক চত্বরে ব্যাপক পলদ বৃক্ষ রোপন করতে হবে - মোট ভুমির ২৫% বৃক্ষ রোপন নিশ্চিত করতে হবে।
(১৪) সেনা, নৌ, বিমান বাহিনি, বিজিবি, পুলিশ, আনসার সহ সকল সরকারি অফিস ও বরাদ্দকৃত ভুমিতে বৃক্ষ বনজ ও ফলের (নিম ও কাঠাল) গাছ রোপনের উদ্যোগ নিতে হবে -
(১৫) সারা দেশে রাস্তার দুই পাশে সড়ক বিভাগ ও বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন (নিম ও কাঠাল) করতে হবে -
বিশেষ করে নিম গাছ ও কাঠাল গাছ অধিক পরিমানে লাগাতে হবে। নিম গাছ কিটনাশকের চাহিদা কমাবে। দেশবাসি বছরে কোটি কোটি টাকার কাঠাল খেতে পারবে ও ১০-২০-৩০ বছর পরে কোটি কোটি টাকার কাঠ বিক্রি করতে পারবে।
(১৬) ২০৩০ খৃষ্টাব্দের মধ্যে খনিজ জ্বালানি, তেল (ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন প্রভৃতি), কয়লা, ইউরেনিয়াম, জ্বালানো অর্থাৎ জিবাষ্ম জ্বালানির ব্যবহারের পরিমাণ অর্ধেক কমাতে হবে। ২০৫০ খৃষ্টাব্দের মধ্যে খনিজ জ্বালানি সম্পূর্ন বন্ধ করতে হবে।
(১৭) ক্ষতিগ্রস্থ রাষ্ট্র হিসেবে জাতিসংঘ ও ক্ষতির জন্যে দায়ি রাষ্ট্রসমূহের কাজ থেকে ক্ষতিপুরন দাবি করতে হবে ও ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানে বাধ্য করতে হবে এবং আদায় করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:০১