somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী।
স্বাধিনতার শত সহস্র, লক্ষ কোটি “সুফল" - কিন্তু একটি মাত্র “কুফল” - দেশের নিতি নির্ধারণে অযোগ্য লোকেরা সব উচ্চাশনে - রাজনিতিতে ও প্রশাসনে - ফলে দেশটি যথাযথভাবে উন্নতিতে আগাতে পারছে না।তারপরেও যেটুকু এগিয়েছে, অধিকাংশ সাধারণের ব্যক্ত

১৯৪৮ খৃস্টাব্দের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলিগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকালিন সংগঠনটির নাম ‘পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলিগ’ হলেও ১৯৫৫ খৃস্টাব্দের সম্মেলনে ‘মুসলিম’ শব্দটি কর্তন করে অসম্প্রদায়িক নীতি গ্রহণ করা হয়।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৪৮ খৃস্টাব্দের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলিগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকালিন সংগঠনটির নাম ‘পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলিগ’ হলেও
১৯৫৫ খৃস্টাব্দের সম্মেলনে ‘মুসলিম’ শব্দটি কর্তন করে অসম্প্রদায়িক নীতি গ্রহণ করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হল মিলনায়তনে ‘নাজমুল করিমের’ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একটি সভায় ‘পূর্বপাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলিগ’ নামে একটি নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। রাজশাহির নঈমউদ্দীন আহমেদকে আহবায়ক করে ১৫ সদস্যের কমিটি আত্মপ্রকাশ করে। ১৫০ মোগলটুলি মুসলিম লিগ ওয়ার্কার্স ক্যাম্পই ছিলো পূর্বপাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলিগের প্রথম কার্যালয়-
১৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রথম ‘আহবায়ক কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন, বরিশালের আব্দুর রহমান চৌধরী, ফরিদপুরের শেখ মুজিবুর রহমান, কুমিল্লার অলি আহাদ, নোয়াখালির আজিজ আহমেদ, পাবনার আব্দুল মতিন, দিনাজপুরের দবিরুল ইসলাম, রংপুরের মফিজুর রহমান, খুলনার শেখ আব্দুল আজিজ, ঢাকার নওয়াব আলি, ঢাকা সিটির নুরুল কবির, কুষ্টিয়ার আব্দুল আজিজ, ময়মনসিংহের সৈয়দ নুরুল আলম, চট্টগ্রামের আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী-
দবির-খালেক ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক দবিরুল ইসলাম
১৯৫৩ খৃস্টাব্দের ছাত্রলিগের প্রথম সম্মেলনে সভাপতির পদ অলংকৃত করেন। সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন খালেক নেওয়াজ খান। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনকেই পরের বছর বিদায় নিতে হয় ১৯৫৪ এর নির্বাচনে বিজয়ি হওয়ায়। পূর্ব পাকিস্তানের ক্ষমতার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে শেরেবাংলা -সোহরাওয়ার্দি- ভাসানির যুক্তফ্রন্ট কোন্দলের মুখে পড়ে আওয়ামি লিগ।
১৯৫৪ খৃস্টাব্দে কামরুজ্জামানের শুধু নয়,
১৯৫৫ খৃস্টাব্দে পরবর্তি সভাপতি আব্দুল মমিন তালুকদারেরও জুটি রূপে এম. এ. ওয়াদুদ ছাত্রলিগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপালন করেন। ওয়াদুদের মেয়ে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রি ও বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রি ডাঃ দীপু মনি। মতিয়াগ্রুপ ছাত্রইউনিয়ন করা দীপু মনি আওয়ামি লিগের যুগ্ম সম্পাদক।
১৯৫৪-১৯৫৫ এবং ১৯৫৬-১৯৫৭ দু’মেয়াদে ছাত্রলিগের সভাপতির পদে দায়িত্বপালনকারী আব্দুল মমিন তালুকদার-
১৯৫৭-১৯৬০ মেয়াদে ছাত্রলিগের সভাপতি ছিলেন রফিক উল্লাহ চৌধুরী। সি.এস.পি. পরিক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারি রফিক উল্লাহ আমলাতান্ত্রিক জিবনব্যবস্থা বেছে নেন। বর্তমান স্পিকার ডঃ শিরীন শারমিন চৌধুরী তার মেয়ে। রফিক উল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে দু‘বছর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন কাজী আজাহারুল ইসলাম। ব্যারিস্টারি পড়তে বিলাতে গমন করায় পরবর্তি এক বছর (১৯৫৯-১৯৬০) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপালন করেন শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। ১৯৬০-১৯৬৩ ওই দুই মেয়াদেই সভাপতি হন শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।
১৯৬০-১৯৬৩ পর্যন্ত শাহ মোয়াজ্জেমের সঙ্গে শেখ ফজলুল হক মনির জুটি ছিল ছাত্রলিগের ইতিহাসে একটি বলিষ্ঠ জুটি।
১৯৬৩-১৯৬৫ মেয়াদে ছাত্রলিগের সভাপতি ছিলেন কে. এম. ওবায়দুর রহমান। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে ছিলেন সিরাজুল আলম খান।
ফেরদৌস আহমেদ কোরেশি ও আব্দুর রাজ্জাক ও মাজহারুল হক বাকি ও আব্দুর রাজ্জাক জুটিও ছাত্রলিগের ইতিহাসে এক অনবদ্য চরিত্র। ফেরদৌস কোরেশি ছাত্রলিগের সভাপতি শুধু নন, ডাকসুরও ভি.পি. ছিলেন। ১৯৬৫-৬৬ মেয়াদে।
১৯৬৫-১৯৬৬ মেয়াদে ছাত্রলিগের সভাপতি ছিলেন মাজাহারুল হক বাকি। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা আন্দোলনের তুখোড় নেতা হিসাবে সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের ন্যায় বলিষ্ঠ ভুমিকায় অবতির্ণ ছিলেন বাকি।
আব্দুর রউফ ১৯৬৮-১৯৬৯ খৃস্টাব্দে ছাত্রলিগের সভাপতি হন আব্দুর রউফ। খালেদ মোহাম্মদ আলি আব্দুর রউফের সঙ্গে ছাত্রলিগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন খালেদ মোহাম্মদ আলি। ১৯৬৯ গণঅভ্যুত্থানের সময়ে তিনি বিশিষ্ট ভুমিকাপালন করেন।
তোফায়েল আহমেদ ছাত্ররাজনিতির ইতিহাসে কিংবদন্তিতুল্য মহানায়ক। ১৯৬৯ র গণঅভ্যুত্থান হয় তার নেতৃত্বে। তোফায়েল আহমেদ ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানত্তোর ২৩ ফেব্রুয়ারি কারামুক্ত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘‘বঙ্গবন্ধু’’ উপাধীতে ভূষিত করেন। ছাত্রলিগের সভাপতি হন এরপর পরই। তার সাধারণ সম্পাদক আ.স.ম. আব্দুর রবও পরের বছর ডাকসু ভি.পি. হন।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×