পদ্মা সেতুর সুফল ও বরিশালের উন্নয়ণ – ০২
বরিশাল বিভাগের ১৪ টি সেতু উদ্বোধন হয় ০৭ নভেম্বর ২০২২ খৃষ্টাব্দে - সেতুগুলো হচ্ছে- বরিশাল সদর উপজেলার
(০১) চন্দ্রমোহন সেতু,
(০২) কলাতলা সেতু,
(০৩) তালুকদার হাট সেতু,
(০৪) সুন্দরকাঠী সেতু। এছাড়া ঝালকাঠি জেলার
(০৫) কচুয়া সেতু,
(০৬) কাঁঠালিয়া সেতু,
(০৭) তালগাছিয়া সেতু,
(০৮) সাতানী সেতু। পটুয়াখালী জেলার
(০৯) চন্দ্রপাড়া সেতু,
(১০) দশমিনা কলেজ সেতু, পিরোজপুর জেলার
(১১) কাটাপোল সেতু,
(১২) মাহমুদকাঠী সেতু,
(১৩) সংগীতকাঠী সেতু ও
(১৪) শিয়ালকাঠী সেতু উদ্বোধন করা হয-
(১৫) পিরোজপুরের কঁচা নদীতে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হচ্ছে ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ খৃষ্টাব্দ ।
প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সংযুক্ত হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের এ গুরুত্বপূর্ণ সেতুটির উদ্বোধন করেন। এর আগে সেতুটির নাম ছিল ‘‘বেকুটিয়া ব্রিজ’’। পরবর্তিতে সেতুটির নামকরণ করা হয় ‘‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ৮ ম বাংলাদেশ-চিন মৈত্রি সেতু’’। সেতুটিকে ঘিরে দুই প্রান্তের জনসাধারণের মধ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। এ সেতুটির মাধ্যমে রাজধানি থেকে বেনাপোল পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
বরিশাল বিভাগিয় সদরের সঙ্গে খুলনা বিভাগিয় শহরের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপনসহ কুয়াকাটা সাগরসৈকত, পায়রা সমুদ্র বন্দর, মোংলা সমুদ্র বন্দর, বেনাপোল ও বাংলাবান্দা স্থল বন্দরকে সেতুটি সরাসরি সড়ক সংযুক্ত করেছে।
সেতুটির অবস্থান রাজাপুর-নৈকাঠী-বেকুটিয়া-পিরোজপুর জেলা সড়কে। পাশাপাশি পদ্মা সেতুর সুফল সৃষ্টি করেছে। সড়ক পথে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক এ মহাসড়কটি প্রায় ১০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের হলেও যান চলাচলে সময় লাগত চার ঘণ্টা। কঁচা নদীর বেকুটিয়া পয়েন্টে সেতুটি চালুর পর এ সময় এক ঘণ্টা কমেছে, থাকছে না ফেরির বিড়ম্বনা।
(চলবে ০৩)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪৫