সকলের প্রিয় আহার তিন রকমের, অর্থাৎ কারো সাত্ত্বিক আহার প্রিয়, কারো রাজসিক আহার প্রিয়, কারোও তামসিক আহার প্রিয়। এই তিন প্রকার আহারের বর্ণনা
নিম্নরুপঃ
সাত্ত্বিক আহার ঃ যে আহার আয়ু ও সাত্ত্বিক ভাব বৃদ্ধি করে, শক্তি ও আরাগ্য বৃদ্ধি করে, চিত্তের আনন্দ বৃদ্ধি করে এবং যাতে রুচি বৃদ্ধি করে, যে আহার রসযুক্ত অর্থাৎ যা ( মুড়ি, চিড়ার মত শুষ্ক পদার্থ নয়) রসাল ঠান্ডা দ্রব্য, যা স্নেহযুক্ত অর্থাৎ যে সকল বস্তুতে ঘৃতাদি স্নেহ পদার্থ আছে, যেমত দুগ্ধাদি, যে বস্তুর সারাংশ দেহে স্থায়ী হয়, এইরুপ দ্রব্য এবং যাতে চিত্তের সন্তোষ বোধ হয়, সে সকল দ্রব্য সাত্ত্বিক গণের প্রিয়।
অর্থাৎ আয়ু বৃদ্ধি হয় ক্ষীরে, সত্ত্বগুণ ঘৃতে, বল দুগ্ধে, আরাগ্য তিক্তে, সুখ মধুতে, প্রীতি পায়সে। ঘৃত, মধু, পায়স সাত্ত্বিক আহার। ইহা সাত্ত্বিক ব্যক্তিগণের প্রিয়, কারণ যারা সত্ত্বগুণ প্রধান, তাদের প্রবৃত্তিও সৎ হয়, এজন্য সৎ প্রবৃত্তির অনুকুল আহারই তাদের প্রিয়।
কেননা গুণভেদে আহারের প্রভেদ রয়েছে, সুষুম্নায় বায়ু চললে সত্ত্বগুণের প্রাধান্যহেতু প্রবৃত্তিও সৎ হয় বলে সাত্ত্বিক আহারে রুচি হয় এবং ঈড়াপিঙ্গলায় বায়ু চললে রজো-তমোগুণের বৃদ্ধি হয় বলে প্রবৃত্তিও তদানুযায়ী হয়ে সেই গুণ বিশিষ্ট আহারেই তাদের রুচি বৃদ্ধি হয়। উপরিউক্ত রুপে সাত্ত্বিক আহারই সত্ত্বগুণ বিশিষ্টদের প্রিয়। (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫২