somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অবিবাহিতা মায়ের সংখ্যা বেড়ে চলায় যুক্তরাষ্ট্রে উদ্বেগ---২০০৭ সাল থেকে জন্ম নেওয়া ১০টি শিশুর মধ্যে ৪টিরই জন্ম দিয়েছে অবিবাহিত মায়েরা

১৬ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পশ্চিমে বিয়ে না করে একত্র বসবাস বা মা-বাবা হওয়ার চল নতুন কিছু নয় ।এই প্রবণতা দেশভেদে কমবেশি হলেও সময়ের সাথে সাথে হয়তো বাড়ছেই কেবল ।বিশেষ করে অল্পবয়স্ক মার্কিন নারীদের ক্ষেত্রে বিয়ে না করে বাচ্চা নেওয়ার এই প্রবণতা এখন বাড়তির দিকেই ।সা¤প্রতিক এক সমীক্ষায় এরকম ফল পাওয়া গেছে যা ভাবিয়ে তুলেছে সেদেশের নীতিনির্ধারকদের ।

'যুক্তরাষ্ট্রে অবিবাহিত অবস্থায় সন্তান জন্মের পরিবর্তিত রূপরেখা' শিরোনামের বুধবার প্রকাশিত এক সরকারি সমীক্ষায় বলা হয়েছে ২০০৭ সাল থেকে জন্ম নেওয়া ১০টি শিশুর মধ্যে ৪টিরই জন্ম দিয়েছে অবিবাহিত মায়েরা ।সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) এ সমীক্ষা চালিয়েছে।

১৯৭০ এর দশক পর্যন্ত মার্কিন নীতিনির্ধারক ও সমাজবিজ্ঞানীরা টিনএজারদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান গর্ভবতী হয়ে পড়ার হারে চিন্তিত ছিলেন যাদের বেশিরভাগই ছিলো অবিবাহিত ।কিন্তু সা¤প্রতিক বছরগুলোতে বিশ ও তিরিশের কোঠার অবিবাহিতা নারীদের মধ্যে মা হওয়ার হার বেড়ে চলাটা তাদের ভাবিত করছে ।৩০ থেকে ৩৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে ২০০২ সাল থেকে এই হার বেড়েছে ৩৪ শতাংশ

আর ২০০৭ সালে বিশের কোঠার মেয়েদের মধ্যে বিয়ে ছাড়া বাচ্চার হার ছিল শতকরা ৬০ ভাগ, টিনএজারদের মধ্যে মাত্র ২৩ আর ৩০ ও তার বেশি বয়সের নারীদের মধ্যে ১৭ ভাগ ।

সমীক্ষায় আরো দেখা গেছে, অবিবাহিত অবস্থায় সন্তান জন্মের একটা বড় অংশই ঘটেছে ওই জুটিদের ক্ষেত্রে যারা একসাথেই থাকে কিন্তু বিয়ে করেনি ।যুগল বসবাসের এ ব্যবস্থা সাধারণত বিয়ের চেয়ে কম স্থিতিশীল হয় ।

বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, বিবাহিত সম্পর্ক বাবা ও সন্তানদের মধ্যে আর্থিক ও মানসিক বন্ধন জোরদার করে ।কিন্তু একইসঙ্গে দাম্পত্য সঙ্কট শিশুদের ওপর চাপও সৃষ্টি করে বলে পরে বিয়ে ভেঙে গেছে এমন মায়ের সন্তানদের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে বিয়ে না করে একা থাকা মায়েদের বাচ্চারা ভালো থাকে ।

শিল্পায়িত বিশ্বের অনেক স্থানেই বিবাহ-বহির্ভূত সন্তানের হার বাড়ছে ।আইসল্যান্ডে এ হার এখন ৬৬ শতাংশ, সুইডেনে ৫৫ ।আবার উন্নত হলেও অনেকখানে তা প্রায় অনুপস্থিত যেমন জাপানে মাত্র ২ শতাংশ ।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এ হার নিয়ে উদ্বেগের কারণ হচ্ছে অন্য দেশগুলোর জুটিরা তুলনায় সাধারণত বেশি স্থিতিশীল ।শিশুদের জন্য সরকারের সহায়তাও সেখানে অনেক ক্ষেত্রে বেশি থাকে ।

যেমন সুইডেনে একটি শিশুর জীবন কেমন হবে তার সঙ্গে তার মা বিবাহিত না অবিবাহিত তার সম্পর্ক নেই বললেই চলে ।কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে শিশুর ওপর এর প্রভাব অনেক ।অবিবাহিত মায়েদের বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ও লেখাপড়া বিবাহিত মায়ের সন্তানের চেয়ে খারাপ হয়ে থাকে ।তবে এর একটা কারণ হতে পারে অবিবাহিতা মায়েরা এসব কথা অন্যদের বলেন বেশি ।

কয়েক দশক আগে পশ্চিমে গর্ভবতী নারীরা সন্তান জন্মের আগেই বিয়েটা করে নিতেন ।কিন্তু সেখানে দেখা গেছে শুধু গর্ভবতী হয়ে পড়ার কারণে যারা বিয়ে করেছেন তাদের মধ্যে বিবাহ-বিচ্ছেদের হার তুলনামূলকভাবে বেশি ।তাহলে কী কোনো অবিবাহিতা গর্ভবতী হলে কী করলে হবু সন্তানদের জন্য ভালো হবে: বিয়ে, যুগলবাস না এ দু'টির কোনোটাই না? সমীক্ষায় এ প্রশ্নের জবাব মেলেনি ।

যুক্তরাষ্ট্রে রহস্যজনকভাবেই ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত অবিবাহিত নারীদের মা হওয়ার হার ছিলো স্থিতিশীল পর্যায়ে ।এমনকী টিনেজার ও কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের মধ্যে তা কমে আসে ।কিন্তু ২০০২ সালের পর থেকে আবার সার্বিকভাবে এ হার বেড়ে চলেছে ।১৯৪০ সালে দেশটিতে মাত্র ৩ দশমিক ৮ শতাংশ সন্তান ছিলো বিবাহ-বহির্ভূত ।

২০০৭ সালে বিবাহ-বহির্ভূত সন্তান জন্মের হার সবচেয়ে বেশি ছিলো মিসিসিপি ও ওয়াশিংটন ডিসিতে- যথাক্রমে ৫৯ ও ৫৪ শতাংশ ।সবচেয়ে কম ইউটাহতে- ২০ শতাংশ ।নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি ও কানেটিকাটে এ হার যথাক্রমে ৪১,৩৪ ও ৩৫ শতাংশ ।

অথচ আমরা তাদের কে Modern বলছি এবং অন্ধ ভাবে Follow করছি ।

নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত আজ আমরা কাদের follow করছি ? কাদের কে বানাচ্ছি আজ আমাদের আইডল ?
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×