somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারতে বাংলাদেশ-ফোবিয়ার হেতু কি?

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলাদেশের সীমানায় ভারতীয় জেলে আটকের ঘটনায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বড়াল ও পদ্মার নদীর মোহনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনার পর থেকেই আরো অনেক বাংলাদেশী সাংবাদিকের মতো তীক্ষ্ণ নজর রাখছিলাম ভারতীয় গণমাধ্যমে। তখনই ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে প্রকাশিত ‘স্বরাজ্য ম্যাগ’ নামের এক গণমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণের একটি শিরোনামে হঠাৎ চোখ আটকে যায়। যার বাংলা অর্থ, বিএসএফ এর নতুন মাথাব্যাথা: বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী জওয়ানরা মৌলবাদী হয়ে উঠছে এবং প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে ‘প্রসাদ’।

রাজশাহী-মুর্শিদাবাদ সীমান্তের ওই ঘটনার মাত্র তিনদিনের মাথায় (২১ অক্টোবর ২০১৯) প্রকাশিত এই প্রতিবেদন জুড়েই ছিল উগ্র সাম্প্রদায়িকতার ছাপ। যেখানে জানানো হয়েছে, বিশেষত যেসব সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই, সেইসব সীমান্তে পূজাদের সময় দেবদেবীদের উদ্দেশ্যে বিএসএফ জওয়ানদের দেওয়া ‘খিচুড়ি’ আনুষ্ঠানিকভাবে ওপারে পাঠানোর রেওয়াজ ছিল। একইভাবে বিজিবির জওয়ানরাও ঈদ এবং অন্যান্য ধর্মীয় উৎসবে বিরিয়ানী এবং মিষ্টি পাঠাতেন। তবে তারা ‘প্রসাদ’ নিতে অস্বীকার করার পরে অনেক জায়গায় থেমে গেছে এই শুভেচ্ছা বিনিময়।

এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি না হলেও একান্ত আলাপে বিজিবির এক কর্মকর্তা বলেছেন, “সীমান্তে এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।” সর্বশেষ চলতি সপ্তাহে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব দীপাবলি উপলক্ষেও বিভিন্ন সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীরা শুভেচ্ছা ও উপহার বিনিময় করেছেন বলেও জানান তিনি।

যদিও উল্লেখিত প্রতিবেদনের উপ-শিরোনামে অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, “নিম্নস্তরে ইসলামীকরণ ও উগ্রপন্থীকরণের কারণে আমাদের ‘কাফের’ ভাবছে বিজিবির সদস্যরা। এ কারণেই তারা এত প্রতিকূল ও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে।” এছাড়া “বিজিবির নিম্নস্তরে ইসলামীকরণে আন্তঃসীমান্ত পাচার, বিশেষত গবাদি পশু এবং মানবপাচারের উত্থান হয়েছে” বলেও উল্লেখ করা হয়।

সীমান্তে কর্মরত বিএসএফ কর্মকর্তাদের ভাষ্য দাবি করে স্বরাজ্য ম্যাগের সহযোগি সম্পাদক জয়দ্বীপ মজুমদার তাঁর প্রতিবেদনের শুরুতেই জানিয়েছেন, “বাংলার মুর্শিদাবাদ জেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিজিবি জওয়ানদের দ্বারা বিএসএফের এক হেড কনস্টেবলকে হত্যা এই দ্বন্দ্ব ও শত্রুতার পরিচায়ক মাত্র।” দু'দেশের সীমান্ত বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের মধ্যেকার সম্পর্ক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ হলেও বিজিবির জওয়ান, ল্যান্স নায়েক, নায়েক এবং হাবিলদার স্তরের সাথে বিএসএফ জওয়ানদের ‘ক্রমবর্ধমান বৈরিতা’ অনুভব করছেন বলে তাঁকে জানিয়েছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।

গত কয়েকদিনে এই প্রতিবেদনটি নিয়ে কথা হয়েছে ওপার বাংলার একাধিক বন্ধুর সাথে। যারা জন্মসূত্রে হিন্দু হলেও কট্টর নন, মূলত রাজনীতি, সাহিত্য, সংবাদ, চলচ্চিত্রের মতো বুদ্ধিবৃত্তিক নানা কাজের সাথে জড়িত। তাদের মুখেই জানতে পারি, ‘স্বরাজ ম্যাগ’ নামের এই পত্রিকাটি মূলত উগ্র হিন্দুবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) অন্যতম মুখপাত্র। যে কারণে তারা এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করবে, এটা খুবই স্বাভাবিক। তবে রাষ্ট্রীয় চাপে এমন প্রচারণাটা মূলধারার গণমাধ্যমেও শুরু হতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

যে কারণে এমন প্রচার :
ভারতীয় বন্ধুদের ভাষ্য, সীমান্তে স্থিত বিএসএফ ও বিজিবি কর্মীরা যে যার রাষ্ট্রীয় সীমানাকেন্দ্রিক সার্বভৌমত্ব রক্ষার কাজে নিয়োজিত৷ তারা উভয়েই আপনার রাষ্ট্রের ব্যাপারে দায়বদ্ধ এবং নিজ নিজ রাষ্ট্রকে অপবহির্শক্তির হাত থেকে সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর৷ এই সুরক্ষার বিষয়টি বাদে বর্ডারের অপরপ্রান্তের অপর রাষ্ট্রের অন্দরে কী হচ্ছে তা দেখার বা তা নিয়ে ভাবার কোনো অবকাশ নেই, যদি না অপর রাষ্ট্রের সীমানা থেকে কোনোরকম কোনো ‘থ্রেট’ একপক্ষ পেয়ে থাকে৷ দুটি প্রতিবেশী রাষ্টের পারস্পরিক গণসংস্কৃতি, বিশ্বাস, ভাবনার তরিকা, অভ্যাস ইত্যাদি ক্ষেত্রে ফারাক আছে, মিলও আছে, কিন্তু ফারাকগুলিই একেকটির দৃশ্যমান পরিপ্রেক্ষিতের ভিন্নতা বজায় রাখে রাষ্ট্রের নিরীখে। একেকটি রাষ্ট্রের নিজস্বতাও তার সার্বভৌমত্বের অংশ৷
এখন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গণসমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বাঙালী মুসলমান৷ তাই তার বর্ডার গার্ডের মধ্যে নিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ট্রের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব অনুযায়ী ইসলাম বিশ্বাসীর সংখ্যাই বেশি৷ আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের শতাংশের হিসেবের থেকে কিছুটা বেশি সনাতন বিশ্বাসী মানুষ বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডে থাকলেও জনবিন্যাসের বাস্তবতা অনুযায়ী হিন্দুর চেয়ে ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা বেশি৷

অন্যদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে স্থিত ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সে নিয়োজিত কর্মীদের মধ্যে ভারতের ধর্ম বিশ্বাস ভিত্তিক জনবিন্যাস অনুযায়ী মুসলিমের চেয়ে হিন্দুর সংখ্যা অনেক বেশি৷ যদিও পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে নিয়োজিত বিএসএফ কর্মীরা কেউই পশ্চিম বাংলার বাঙালী হিন্দু বা মুসলিম নয়৷ তারা হয় উত্তর ভারত, মধ্য ভারত, পশ্চিম ভারত অথবা উত্তরপূর্ব ভারতের হিন্দু বা মুসলিম। যদিও হিন্দু বেশি৷

হিন্দুরা সাধারণত গরু খায় না৷ আবার বিশ্বাসী মুসলমানও এমন কিছু করে না যাতে তার ঈমান নষ্ট হয়৷ বিশ্বাসী মুসলিমদের সামনে কেউ যদি নিজস্ব আচারে আল্লাহর একত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, সেই ব্যক্তির ওই আচরণে সমর্থন জানানোটা তাদের ঈমানী নৈতিকতার পরিপন্থী৷ একইভাবে বিশ্বাসী হিন্দুকে যদি তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গো-মাংস খাওয়ানোর মতো কাজে প্রণোদিত করতে চাওয়া হয়, সেক্ষেত্রে প্রনোদিত হওয়াটাও নিজের বিশ্বাসের প্রতি অবিচার! তো সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান বাঙালীর বর্ডারে নিয়োজিত লোকেরা যেহেতু বেশির মুসলিম তাই কোনো পৌত্তলিক দেবতার প্রতি নিবেদিত প্রসাদগ্রহণের ঘটনা তাদের কাছে ঈমানী চেতনার বিরোধী। যেভাবে বিশ্বাসী হিন্দুর কাছে গো-মাংস খাওয়া অধর্ম৷

প্রতিটি মুসলিমের অধিকার আছে তার ঈমান রক্ষা করার৷ প্রতিটি হিন্দুরও অধিকার আছে গো-মাংস গ্রহণ না করে সংস্কার রক্ষা করার৷ এখন বিজিবি প্রসাদ নেয়নি বলে বিএসএফের কাঁধে বন্দুক রেখে স্বয়ং সেবক সংঘ যদি বিজিবির মধ্যে ‘র‍্যাডিক্যাল ইসলাম’ বা ইসলামী জঙ্গিবাদের ভূত দেখলে তো বিজিবিও কোরবানীর মাংস বিএসএফকে দিতে চাইবে। এক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যাত হলে তারা শুধুমাত্র বিএসএফ কর্মীদের দিকে ‘র‍্যাডিক্যাল হিন্দুত্বের’ অভিযোগও তুলতে পারে! কিন্তু বিজিবি প্রসাদ প্রত্যাখান করার যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা আসলে তাদের এক্তিয়ারের মধ্যেই পরে। কারণ এটা তাদের ‘কালচারাল চয়েস’৷ একইভাবে বিএসএফ যদি কোরবানীর গো-মাংস না নিতে চাইতো, সেটাও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার৷ কে কী খাবে বা খাবে না কী পরবে বা পরবে না এই সিদ্ধান্ত তার ব্যক্তিগত৷ এই সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক, জঙ্গিবাদী বা জাতিবাদী নয়৷

বিজিবি নিজ মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রসাদ প্রত্যাখ্যান করেছে তাঁর ধর্মবিশ্বাসের অধিকার রক্ষায় এবং সার্বভৌমত্বে দাঁড়িয়ে৷ অন্য রাষ্ট্রের বর্ডার গার্ডে নিযুক্ত বিশ্বাসী মুসলিমকে প্রসাদ দিতে চাওয়া এবং প্রত্যাখ্যাত হয়ে তার দিকে জঙ্গীবাদের অভিযোগ করাই বরং অন্যের ‘ডেমোক্রেটিক’ এবং ‘সভারনিটি’ ভায়োলেট করার সামিল। বিজিবির গায়ে পরে বিএসএফের মালিক রাষ্ট্রের এই ঝগড়া আপাত অর্থে অর্থহীন হলেও রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যবাহী৷ কারণ প্রসাদের অজুহাতে বিজিবির দিকে র‍্যাডিক্যাল ইসলামের ব্যাপারে যে অভিযোগ স্বয়ং সেবক সংঘ তুলেছে তা অমূলক হলেও এই মিথ্যাপ্রচার দিয়েমপশ্চিমবঙ্গে ও ত্রিপুরায় বাংলাদেশ-ফোবিয়াকে জোরালো করতে পারবে। আর ইসলামোফোবিয়া, বাংলাদেশ-ফোবিয়া, এসব হলো পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় এনআরসি বাস্তবায়বের জন্যে বানোয়াট একটি বিষয়৷

আমার বন্ধুরা আরো বলেছেন, এনআরসির জন্য বাংলাদেশ ফোবিয়া তৈরি করা দরকার, যাতে প্রচার করা যায় বিজিবির মদদে হুহু করে কয়েক বছরে পূর্ববঙ্গ থেকে পশ্চিমবঙ্গে এবং ত্রিপুরবঙ্গে মানুষ ঢুকেছে৷ এই মিথ্যা প্রচারকে সামনে রেখে এনআরসির সমর্থনের গণভিত্তি তৈরি করা হবে। তারপর ওই গণভিত্তির গণকেই এনআরসি দিয়ে বাস্তুচ্যুত, দেশচ্যুত করা হবে৷ বাংলাদেশ-ফোবিয়ার মাধ্যমে এই ষড়যন্ত্র রচনা করতেই বিজিবির সাথে বিএসএফকে দিয়ে পায়ে পা তুলিয়ে ঝগড়া করানোর ফিকির খুঁজছে দিল্লী৷ এই কাজ তাদের পক্ষে আরো সহজ কারণ দুই বাংলার বর্ডার অথবা বাংলাদেশ ও ত্রিপুরা সীমান্তের ভারতীয় সীমানার নিয়োজিত বিএসএফ কর্মীরা অধিকাংশই হিন্দুস্তানী ও হিন্দীভাষী৷ বিজেপি তথা দিল্লীর এই ষড়যন্ত্রে তারা অংশীদার। কারণ, বিজেপি ও স্বয়ং সেবক সংঘের রাজনীতি হলো হিন্দী জাতিবাদী রাজনীতি৷ হিন্দুত্বের একমাত্রিক স্লোগানকে সামনে রেখে তারা আসলে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা থেকে বাঙালী উচ্ছেদ করে এই অঞ্চলকে হিন্দুস্তানী, মারোয়ারি, বিহারী, গুজরাতিদের লীলাভূমি বানাতে চায়৷ বানিয়া পুঁজির বাজার ও কারখানা বানাতে চায়৷এটাই হিন্দী জাতিবাদ।

হিন্দী-হিন্দু-হিন্দুস্তানী জাতিবাদের লক্ষ্য ইসলামোফোবিয়ার মতো বাংলাদেশফোবিয়া তৈরি করে এনআরসি বাস্তবায়িত করা। সেকারণেই বিজিবির বিরুদ্ধে এমন ফালতু অভিযোগ তুলেছে হিন্দী জাতিবাদী আরএসএসরা। বন্ধুদের সোজাসাপ্টা বক্তব্যে পাঠকদের কাছে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে গেছে আশাকরি। এক্ষেত্রে একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমার প্রত্যাশা, ভারতীয়দের এই ফোবিয়া তথা অস্বাভাবিক ভীতি বা উদ্বেগ ‘বিদ্বেষ’ না ছড়াক। ভারতবর্ষে রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক স্থিতি বজায় থাকুক।

ইতিহাস কথা বলে : ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ইতিহাস এই উপমহাদেশে নতুন নয়। তবে স্বরাজের এই প্রতিবেদনটি স্মরণ করিয়ে দেয় ১৮৫৭ সাল। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার এদেশে ৫৫৭ ক্যালিবার এনফিল্ড (পি/৫৩) রাইফেল নিয়ে আসে। ১৮৫৩ সালে তৈরি এই রাইফেলের ব্যবহৃত কার্তুজে চর্বিযুক্ত অংশ ছিল, যা ব্যবহারের পূর্বে সৈন্যকে তা দাঁত দিয়ে ভেঙ্গে ফেলতে হতো। গুজব রটানো হলো এই চর্বিযুক্ত অংশ গরু এবং শুকরের চর্বি দিয়ে তৈরি। যেহেতু গরু ও শুকরের চর্বি মুখে দেওয়া হিন্দু এবং মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের সৈন্যদের কাছে অধার্মিক কাজ ছিল, সেহেতু এই গুজবের মধ্য দিয়েই জন্ম নেয় ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ১৮৫৭–৫৮ সালের সিপাহী বিদ্রোহ বা ভারতীয় মহাবিদ্রোহ

*ছবিতে দীপাবলী উপলক্ষে হিলি সীমান্তে বাংলাদেশ-ভারতের উপহার বিনিময়।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:১৫
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×