আবারও আবরার! নিরাপদ সড়কের দাবিতে দ্বিতীয় দফা আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল গত মার্চে, রাজধানীর নর্দ্দা এলাকায় বাস চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুতে। গত মাসে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও এখনো তরতাজা। এরই মধ্যে চলতি মাসের প্রথম দিনে মোহাম্মদপুরে রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাঈমুল আবরার। এটা কী নেহাতই কাকতালীয়! সর্বশেষ ঘটনাটি মনে করিয়ে দেয় বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসবের মঞ্চে দেশবরেণ্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর মৃত্যুর পরও অনুষ্ঠান স্থগিত না হওয়ায় কলঙ্কিত হয়ে থাকা পাঁচ বছর আগের সেই রাতটিও।
সে রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছিলাম, “নিমন্ত্রিত অতিথির মৃত্যুও হায়, বেনিয়াদের ব্যবসা বাড়ায়। শুধু শিল্পী বা তার শিল্প নয়, তাদের মৃত্যুকেও কি করে বেঁচে দিতে হয় তা জেনে গেছে তারা। এই যেমন - বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সংগীত উৎসবের সম্প্রচার সহযোগী হওয়ার সুবাদে পাওয়া কাইয়ুম চৌধুরীর মৃত্যু দৃশ্যের ফুটেজেও নিজস্ব লগোসহ ‘এক্সক্লুসিভ’ ট্যাগ লাগিয়েছে মাছরাঙা টেলিভিশন!”
আরো লিখেছিলাম, উচ্চাঙ্গ সংগীত উৎসব - বিশালায়োজন, বিরাট ব্যাপার-স্যাপার। তবে টিকিট কেটে আসা কোনো দর্শক ছিলো না কিন্তু। হয় আমন্ত্রিত অতিখি, নয় দর্শনার্থী। এদের গান না শোনালে টাকা ফেরত দেয়ারও কোনো ঝামেলা ছিলো না। তবুও মাত্র এক মিনিটের নীরবতায় উড়িয়ে দেয়া হলো কাইয়ুম চৌধুরীর মৃত্যুর শোক। বাহ কি প্রখর শিল্পমনা দুর্দান্ত আবেগী সঙ্গীতপ্রেমী সব। শিল্পীরাও পারলেন বটে। পুঁজি কি-না পারায়!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৩