ছবির এই মানুষটির নাম শওকত আলী। তার
বাড়ী নোয়াখালি জেলার আমির
শাহ পাড়ার আমিন নগর গ্রামে। তিনি
একজন ভাগ্য বিড়ম্বিত দিনমজুর। কখনো
তিনি চায়ের দোকানে পানি টেনে
দেন কখনোবা তাকে দেখা যায়
গ্রামের পথে ভার বহন করে পুরনো
ভাংগা লোহা লক্কর ফেরি করতে।
তার জীবিকা নির্বাহের এমন
নারকীয় অবস্থায়ও রাষ্ট্র কখনোই তার
খোঁজ নেয়নি। অথচ তিনি১৯৭১ সালের
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল
আমিনের সন্তান।
যিনি মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য সাহসের
সংগে যুদ্ধ করে করে নিজের প্রাণ
উৎসর্গ করে গেছেন। আজকে তার
সন্তারদের এমন দৈন্যদশায় তাদের খোঁজ
নেয়ার জন্য না আছে রাষ্ট্র, না আছে
সুশীল সমাজ কিংবা না আছে
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীরা। রাখবে
কি করে তারা যে আজ সত্যিকার
অর্থেই চেতনাহীন। তা নাহলে
মুক্তিযুদ্ধাদের কল্যাণার্থে যে
রয়েছে আলাদা মন্ত্রণালয় তার কাজ
কি। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
এমনকি মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-
নাতনীদের জন্যও সরকারি চাকরিতে
প্রবেশে কোটা ব্যাবস্থা বিদ্যমান
রয়েছে। এমনি আরো নানাবিধ সুবিধা
পেয়ে থাকে মুক্তিযোদ্ধাদের
পরিবারবর্গ । যদিও সেসব
মুক্তিযোদ্ধাদের বড় অংশের বিরুদ্ধে
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অভিযোগ
রয়েছে। সেখানে একজন জীবন
আত্মৎসর্গকারী বীরশ্রেষ্ঠর পরিবার
ব্যপারে রাষ্ট্রের এই ঔদাসীন্য কেন?
তার মানে কি বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের
চেতনাধারী(!) সরকার মুক্তিযুদ্ধকে
কেবলি তাদের রাজনৈতিক পণ্য
হিসেবেই ব্যবহার করে নিজেরদের
সুবিধা আদায় করাই তাদের লক্ষ! তারা
কথায় কথায় নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের
সপক্ষের শক্তি বলে পরিচয় দেয়। তবে
তারা কেন এই বীরশ্রেষ্ঠর পরিবারের
কোন খবর রাখেনি। আজকে কোথায়
গেলো মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও
তার মন্ত্রী অকামা মোজাম্মেল।
আজকে কোথায় গেলো মুক্তিযুদ্ধের
চেতনাবাজেরা?