somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জার্মানির জয়, ব্রাজিলের বিদায় এবং আর্জেন্টিনার ব্যর্থতা

০৪ ঠা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শুরু করার মত কোন ভূমিকা না পেয়ে সরাসরি বলতে হচ্ছে। এসব নিয়ে লিখতে বসার মত বিশেষজ্ঞও আমি নয়। তবুও লিখার তাগিদ বোধ করছি। ফুটবল বিশ্বে এরকম ঝড় হয়তো সমর্থকদের আরও পেরোতে হয়েছে। কিন্তু আমার মত একজন অর্বাচিন এবং তীব্র যন্ত্রণাবিদ্ধ ব্লগার বিষয়টি শেয়ার করার উদ্দেশ্যেই লিখছে। যন্ত্রণাটা এজন্য নয় যে আমার সাপোর্টের দল ব্রাজিল বিদায় নিয়েছে। এজন্য তেমন কষ্ট অনুভব করিনি বললেই চলে। কারণ বাস্তবিক অর্থে আমি জান দেয়ার মত সমর্থক নয়। আর সেজন্য ব্রাজিলের লাগি দুফোটা অশ্রু অপচয় করার প্রয়োজনও বোধ করিনি। তবে খারাপ লেগেছে এজন্য যে. কাকার লাল কার্ড, আর নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিলের পারফরমেন্স দেখে। সবচেয়ে লজ্জাকর ব্রাজিলের মেলোর অসভ্য আচরণ আর রবিনহোর মত জয়ের নায়কদের মাথা গরম কাণ্ড। মেলো যেন সেদিন ব্রাজিলের ফুটবল ঐতিহ্যকে নিজ পায়ের নিচে পিষ্ট করেছে। ফুটবলে এর চেয়ে খারাপ দৃশ্য কি আর আছে? সে যাই হোক, ব্রাজিলের বিদায়ে আর্জেন্টাইন বন্ধুদের উল্লাসে কষ্ট পেয়েছি। আসলে আমাদের উচিৎ বিজয়ের আনন্দ উপভোগ করা কিন্তু কারও পরাজয়ে উল্লসিত হওয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা আমার বোধগম্য নয়। আর যেহেতু ব্রাজিল সেদিন আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ছিলনা সেহেতু ....! তারপর দিন রাত আটটা মুখোমুখি আর্জেন্টিনা আর জার্মানি। খেলা শেষে ফলাফল জার্মানি ৪ আর্জেন্টিনা ০। একি করল আর্জেন্টিনা! লাখ লাখ ভক্তকে কাঁদিয়ে মেসিদের উপহার একটা ০। তারপর আর্জেন্টাইন বন্ধুদের নিঃশব্দ নিরবতা আমাকে ব্যথিতই করেছে। জার্মানির কথা আর কি বলার। তারা মাঠ কাঁপিয়ে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ রেখেই নিজেদের জয় ছিনিয়ে এনেছে। নিজেদের পৌছে দিয়েছে সেমি ফাইনালে। জার্মানি বিশ্বকাপ জয় করতেই পারে। সে রকম যথেষ্ট হিম্মত দেখা যাচ্ছে জার্মানদের মধ্যে। দেখা যাবে ১১ জুলাই জয়ের মঞ্চে কে গেয়ে উঠে বিজয়ের গান।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×