সত্য আর মিথ্যার দ্বন্দ পৃথিবীর আদিকাল থেকে। সদা সত্য কথা বলিবে। সত্যের জয় হবেই। তিক্ত হলেও সত্য বল । এরকম অনেক নীতিবাক্যের সাথে আমরা পরিচিত সেই শিশুকাল থেকে। এত যে শিখলাম! তবুও কি সত্যের প্রথম পাঠ পেরোতে পেরেছি আজও? তবুও কি আমরা সত্য বলতে গিয়ে থমকে দাঁড়াই না? ভয়ে মরি, পাছে না কি বিপদে পড়ি! এত কিছুর পরও কিন্তু সত্য বলা চাই-ই। কারণ আমরা জানি সত্য মুক্তি দেয় মিথ্যা ধ্বংস করে। কিন্তু সমস্যাটা অন্য জায়গায়। সত্য যদি বলতে দেয়া না হয়? হ্যাঁ, এটাই আমাদের প্রধান সমস্যা এই মুহুর্তে। আমরা সত্য বলতে পারিনা। আমাদের শাষক গোষ্ঠী-যারা ইতোমধ্যে নিজেদেরকে স্বার্থবাদী আর ধান্দাবাজ রাজনীতিবিদ এবং শাষক হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে পেরেছেন নিজেদের নিজস্ব যোগ্যতায়- তারা আজকের এই অবাধ স্বাধীনতা আর মুক্তবুদ্ধি চর্চার যুগে কিভাবে মানুষের স্বাধীনতাকে পরাধীনতায় পর্যবসিত করেছেন তা আজ বলতেও লজ্জা করে। এই ধারা কিন্তু একদিনে সৃষ্টি হয়নি। স্বাধীনতার প্রায় চার দশক পেরিয়ে এসেছি বটে কিন্তু দীর্ঘ প্রায় চল্লিশটি বছর জনগণ যে তাদের স্বাধীনতা কোন শাষক শ্রেণির কাছেই পায়নি তা নির্দিধায় বলা যায়। একথা শতভাগ গ্যারান্টি দিয়েই বলা যায় যে যতদিন মানুষ তার মত স্বাধীনভাবে ব্যক্ত করতে না পারবে, যতদিন স্বাধীনভাবে চলতে না পারবে ততদিন এই দেশের স্বাধীনতা আসলে ক্ষমতালোভীদের হাতিয়ার ছাড়া অন্য কিছু নয়। আমরা জানি মিথ্যার পরাজয় ঘটিয়ে একদিন সত্য তার জায়গা করে নেয়। কিন্তু সেই কাজটা ঘটে মানুষের মাধ্যমে। আমরা যারা মানুষ তারা যতদিন নিজেদের অধিকার বিষয়ে সচেতন না হবো ততদিন আমাদের অধিকার কেউ আমাদের হাতে এনে তুলে দেবে না। চলুন না নিজেদের আর একটু জানি, জানি নিজেদের অধিকার বিষয়ে, তারপর ছিনিয়ে নিই আমাদের অধিকার আমাদের-ই হাতে। কেন অযথা অন্যের খেলার পুতুল সেজে বসে আছি?
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১০ রাত ২:৩৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




