হুববুল ওতানে মিনাল ইমান - মুসলমানেরা দেশপ্রেম কে ধর্মের বিশ্বাসের শুরুতে রাখে, হিন্দুরা দেশকে মাতার সম্মানে আখ্যা দেয়, আমার মনে হয় কন দর্মেই দেশপ্রেমের গুরুত্ত কম নয়। বাংলাদেশে বিশ্ব সেরা সব ধর্মের মানুষ বাস করে। বিশ্বাস করি দেশ ভক্তিতে কারও অবহেলা নাই। কিন্তু আমার কথাটা কি আসলেই ঠিক? আমি যা বলতে চাইছি তা হল, যদি সত্যিই আমাদের দেশের জন্য মায়া থাকবে তবে দেন এদেশের মানুষের নিরাপত্তা আজ এত নাজুক?
খালেদা ম্যাডাম এর একটা রাজনৈতিক ইস্যু ছিল দেশ বাচাও মানুষ বাচাও, এক সময় আমরা অনেকে হেসেছিলাম, কি বলেন তিনি, দেশের কি হল, মানুষের কি হল যে এই ডাইলগ? আসলেই এই ডাইলগ নিয়ে তিনি ২০০৮ সালে তেমন সুবিধা করতে পারেন নি। অপর দিকে হাসিনা ম্যাডাম পরিবর্তনের ডাইলগ দিয়ে বাজিমাত করেন (?)। হাসিনা ম্যাডামের দিন বদলের চেস্টার ফল গত তিন বছরে তার অসহায় স্বিকারক্তি "সরকার নাকি মানুষের ঘরে ঘরে নিরাপত্তা দিতে পারে না"
আমার মনে প্রশ্ন জাগে, সরকার কোথায় মানুষের নিরাপতা দিতে পারে? ণিরাপত্তা প্রসংগে রাস্ট্রের ই বা ভুমিকা কি? আমরা যদি একটু খেয়াল করে দেখতে পাবো যে, চলমান রাস্ট্র
শিক্ষাংগনে ছাত্রের নিরাপত্তা দিতে পারে নি, মেধাবিরা প্রান দিয়েছে বিনা কারনে, উল্টা দেশের প্রতিনিধি এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলতে চেয়েছেন
বাজার নিযন্ত্রনে দ্রব্য মুল্যের নিরাপত্তা দিতে পারেন নি, সমাধানে দেশের প্রতিনিধি বলেছেন এদেশের মানুয বেশি খায়
সড়ক পথে মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে নি, ড্রাইভার দহ্মতা ও ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং সড়ক উন্ন্য়নে দেশের মানুষ কে মিথ্যা বলে ধোকা দিয়েছেন, আবুল ভাইযের মহান মহান কেছ্ছা আমরা অনেক শুনেছি
সিমান্তে মানুষের নিরাপত্তা এদেশ তার জনগন কে দিতে পারে নি, দেশের একজন বড় কর্তা বলেছেন সিমান্তের ঘটনা গুলোর চেয়ে নাকি ওনেক বড় কাজ আছে, তাই তিনি সিমান্ত নিয়ে ভাবে না না
ভবিয্যত অর্থনিতির নিরাপত্তা দেয়া তো দুরের কথা মানুষের মাথায় বিশাল ধারের বোঝা চাপিয়েছে। ব্যাংক তারল্য সংকটে ডুবছে, দেশ মুদ্রাস্ফিতি তে ভাসছে।
দেশের মানুষের ক্ষুদ্র বিনিযোগ কারি দের সর্বসান্ত করেছে, শেয়ার মার্কট শেষ করেছে
শিক্ষা প্রতিস্টানে ছাত্রিদের ইজ্জতের নিরাপত্তা দিতে পারে নি, ছাত্রিদের দিয়ে নেতাদের মনরন্জনের ন্যাককার জনক খবর আমরা শুনেছি
সচ্ছ টেন্ডারে নিরাপত্তা দিতে পারেনি, বরং টেন্ডারের ঝামেলায় কেড়ে নিয়েছে মানুষের জিবন।
মেধাবিদের চাকুরীর নিরাপত্তা দিতে পারে নি, প্রশ:য় দিয়েছে নির্লজ্জ দলীয় করন আর চাকুরী বানিজ্য
ইত্যাদি ইত্যাদি...
কি আর করা, এ দেশ তার নিয়ন্ত্রক সরকারের পুলিশের ই তো নিরাপত্তা দিতে পারে নি, পুলিশ কে বিবস্ত্র হতে হয়েছে রাজপথে। আবার তাজ উদদিনের রিলেটিভ কে খেতে হয়েছে থানার জল। স্বাভাবিক প্রশ্ন তো এসেই যায়, দেশের সাধারন মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?
দেশের নিরাপত্তা বলতে কি বোঝায়, সেটার সাথে ঘরের বা কি সম্পর্ক? আমাদের ঘর কি দেশের পুলিশ বা প্রশাষনের আওতার বাইরে? হাসিনা ম্যাডাম ওনেক দেশ ঘুরেছেন পেয়েছেন ওনেক ডিগ্রি। তার সম্মৃদ্ধ ঞানের আলোকে কিভাবে তিনি বলেন দেশের মানুষের ঘরের নিরাপত্তা দেশের আওতার বাইরে এটাই আমার প্রশ্ন?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




